Advertisement

মোবাইলের অনলাইন গেমই কি কাল হল? গোঘাটে যুবকের মৃত্যুতে রহস্য

কৃষক পরিবারের ছেলে শুভদীপ ঘোষালের বাড়িতে রয়েছে বাবা মা ও বোন। কিছুদিন আগে উচ্চমাধ্যমিক পাশের পর তাকে মোবাইল কিনে দেওয়ার জন্য আবদার করে শুভদীপ। সেইমতো মোবাইল কিনেও দেওয়া হয়। প্রথম থেকেই মোবাইলে গেম (Mobile Online Games) খেলা শুরু করে সে। কিছুদিন আগে রাত্রেও লুকিয়ে গেম খেলা শুরু করে শুভদীপ। ধীরে ধীরে সে মোবাইল গেমের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে।

প্রতীকী ছবি
ভোলানাথ সাহা
  • গোঘাট,
  • 12 Sep 2021,
  • अपडेटेड 3:36 PM IST
  • যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য
  • অনলাইন গেমে আসক্তি ছিল যুবকের
  • তদন্ত শুরু পুলিশের

এক যুবকের রহস্য মৃত্যু। ঘর থেকেই উদ্ধার ঝুলন্ত দেহ। হুগলির গোঘাটের (Hooghly Goghat) ধুলেপুর গ্রামের ঘটনা। মৃত যুবকের নাম শুভদীপ ঘোষাল। পরিবারের দাবি, মোবাইলে অনলাইন গেমের নেশায় আসক্ত হয়ে সাম্প্রতিককালে মানসিক অবসাদে ভুগছিল সে। আর সেই থেকেই এই ঘটনা বলে মনে করছে মৃতের পরিবার।

জানা গিয়েছে, কৃষক পরিবারের ছেলে শুভদীপ ঘোষালের বাড়িতে রয়েছে বাবা মা ও বোন। কিছুদিন আগে উচ্চমাধ্যমিক পাশের পর তাকে মোবাইল কিনে দেওয়ার জন্য আবদার করে শুভদীপ। সেইমতো মোবাইল কিনেও দেওয়া হয়। প্রথম থেকেই মোবাইলে গেম (Mobile Online Games) খেলা শুরু করে সে। কিছুদিন আগে রাত্রেও লুকিয়ে গেম খেলা শুরু করে শুভদীপ। ধীরে ধীরে সে মোবাইল গেমের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে। পরিবারের লোকজন বিভিন্নভাবে বুঝিয়েও তার গেমের নেশা কাটাতে পারেনি। উলটে গেম খেলা নিয়ে পরিবারে অশান্তি বাড়তে থাকে। 

বন্ধুদের সঙ্গে মেশা বন্ধ করে দেয়

পরিবার সূত্রে আরও জানা যাচ্ছে, আস্তে আস্তে শুভদীপ বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে মেলামেশা বন্ধ করে দেয়। বাড়ির মধ্যেই সবসময় মোবাইলে গেম খেলার ব্যস্ত থাকতে শুরু করে। এমনকী পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলা বন্ধ করে দয়ে। ধীরে ধীরে মানসিক অবসাদে মধ্যে চলে যেতে থাকে শুভদীপ।

ঘরেই উদ্ধার দেহ

এরপর অন্যদিনের মতো শনিবার রাতেও খাওয়াদাওয়ার পর নিজের ঘরে চলে যায় শুভদীপ। সকালবেলা দীর্ঘক্ষণ ডাকাডাকির পরেও কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন বাড়ির লোকজন। ভিতরে ঢুকে শুভদীপকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান তাঁরা। তড়িঘড়ি তাকে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। ঘটনার জেরে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। অনলাইনে গেমের আসক্তি থেকেই এই ঘটনা বলে দাবি পরিবারের সদস্যদের। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisement


 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement