BSF-এর দেওয়া কার্ড নিলেই এনআরসি-র আওতায় পড়তে হবে বলে সোমবার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর এ হেন অভিযোগ নিয়ে এ বার মুখ খুলল বিএসএফ। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন বিএসএফের ইস্টার্ন কমান্ড ডিআইডজি এসএস গুলারিয়া। জানালেন, আলাদা করে কোনও পরিচয়পত্র বানানোর অধিকার নেই বিএসএফের।
ঠিক কী জানিয়েছে বিএসএফ?
মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ প্রসঙ্গে মঙ্গলবার বিএসএফের ওই কর্তা বলেছেন, 'সীমান্ত এলাকায় এমন কিছু জায়গা রয়েছে, যেখানে কেউ কেউ ভুয়ো আধার কার্ড বানিয়ে রেখেছেন। এটা জানার পর আমরা একটি গেট পাস দিচ্ছি। এই পাস দেখালে অন্যপ্রান্তে যেতে দেয় বিএসএফ। সেখানে গিয়ে তাঁরা চাষবাস করে ফিরে আসতে পারেন।'কোনও ভাবেই যাতে অনুপ্রবেশকারীরা প্রবেশ করতে না পারেন, সে কারণেই এই গেট পাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএসএফের ওই কর্তা। তাঁর সংযোজন, 'আলাদা পরিচয়পত্র তৈরি করার অধিকার আমাদের নেই। অনেক সময় দেখা যায় ভুয়ো আধার কার্ড দেখিয়ে বাংলাদেশিদের একাংশ অনুপ্রবেশ করেন। সবসময় ধরা সম্ভব হয় না। তাই গেট পাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।'
কী অভিযোগ করেছেন মমতা?
সোমবার উত্তরবঙ্গের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, 'বিএসএফের অত্যাচারে মানুষ অতিষ্ঠ। সীমান্তে আলাদা পরিচয়পত্র দিতে যায় বিএসএফ। আমি বলে দিচ্ছি, নেবেন না ওই কার্ড। বলবেন, আমাদের আধার কার্ড রয়েছে, রেশন কার্ড রয়েছে।' এরপরই মমতা বলেন, 'ওই কার্ড যদি নেন, তা হলে এনআরসিতে পড়ে যাবেন। সব থেকে বাদ চলে যাবেন। কোনও সরকারি সুবিধা পাবেন না কিন্তু।'
এনআরসি, সিএএ নিয়ে প্রথম থেকেই সরব মমতা। অতীতে এর বিরোধিতায় আন্দোলনে শামিল হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে ফের এনআরসি, সিএএ ইস্যু উত্থাপিত হয়েছে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী তথা বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর দাবি করেছেন, বাংলা-সহ গোটা দেশে এক সপ্তাহের মধ্যে সিএএ কার্যকর করা হবে। তার পরেই উত্তরবঙ্গে গিয়ে এই প্রসঙ্গটি তোলেন মমতা। পাশাপাশি, বিএসএফের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেন তিনি।