শুভেন্দু অধিকারীকে ফের রক্ষাকবচ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। কোলাঘাট অভিযান কেসে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নিতে পারবে না পুলিশ। বিচারপতি সিনহার বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ রাজ্যের বিরোধী দলনেতার কোলাঘাটের ভাড়াবাড়িতে তল্লাশি অভিযানে যায় পুলিশ। খবর পেয়েই সেখানে হাজির হন শুভেন্দু। তিনি এটি শাসক দলের চক্রান্ত বলে দাবি তোলেন। যদিও পুলিশ সূত্রে খবর, কোনও এক অভিযুক্তের সন্ধানেই তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। সন্ধ্যায় কোলাঘাট থানায় ছুটে যান শুভেন্দু। সঙ্গে ছিলেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। শুভেন্দু দাবি করেন, 'আদালতের আদেশ লঙ্ঘনের জন্য আমি রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে যাব। এটি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর ভাইপোর নির্দেশে করা হয়েছে।' বিজেপি নেতা বলেন, কলকাতা হাইকোর্ট থেকে ইতিমধ্যেই তাঁর রক্ষাকবচ রয়েছে। ফলে তাঁর বিরুদ্ধে কোনওভাবেই পুলিশি কার্যক্রম করা যায় না।
এরপর বুধবার সকালেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার সেই মামলার রায়ে কলকাতা হাইকোর্ট, কোলাঘাট অভিযান কেসে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিতে রাজ্য পুলিশকে নিষেধ করেছে। বিচারপতি সিনহার বেঞ্চ রাজ্য পুলিশকে ১৭ জুন পর্যন্ত শুভেন্দুর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ার নির্দেশ দেয়। পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে আগামী ১০ জুন।
উল্লেখ্য, কোলাঘাটে শুভেন্দুর ভাড়াবাড়িতে তদন্ত অভিযানের ঠিক পরের দিনই রাজ্যে আসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কাঁথির নির্বাচনী সভা থেকে এই ঘটনার প্রসঙ্গ তোলেন তিনি। শুভেন্দু অধিকারীর পাশে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, 'আপনার মন্ত্রীদের ওখানে তল্লাশি অভিযান হয়েছিল, ৫১ কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছিল। আর শুভেন্দুর বাড়িতে রেড হল, একটা চার আনাও পাওয়া যায়নি। এটা শুভেন্দুর এলাকা। আমি আপনাদের এটা বলে যাচ্ছি, মমতা শুভেন্দুর উপর যত অত্যাচার করবেন, ভারতীয় জনতা পার্টি শুভেন্দুকে ততটাই বড় মানুষ বানাবে।'