CBI on Sandeshkhali Case: সন্দেশখালি কাণ্ডের তদন্তভার গেল সিবিআইয়ের হাতে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, শেখ শাহাজাহানও যাচ্ছেন সিবিআইয়ের হাতে। আজ বিকেল সাড়ে ৪টের পর শাহাজাহানকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে সমস্ত নথিও সিবিআইকে হস্তান্তর করতে হবে। এদিন ইডি অফিসারদের ওপর হামলার ঘটনায় সিটের তদন্ত খারিজ করা হয়। ন্যাজাট থানায় দায়ের হওয়া দু'টি ও বনগাঁ থানার একটি তদন্তভার সিবিআইকে হস্তান্তরের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে সদ্য অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, "সন্দেশখালি কাণ্ডের তদন্ত সিবিআই-এর করা উচিত। রাজ্য পুলিশ যথেষ্ট দক্ষ। কিন্তু তাদের কাজ করতে দেওয়া হয় না।" এরই মধ্যে সিবিআইয়ের হাতে গেল শাহজাহান ও সন্দেশখালি কাণ্ড।
কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশের পর গত ২৯ ফেব্রুয়ারি পলাতক তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশ। অভিযোগের ৫৫ দিন পর তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ গত ৫ জানুয়ারি থেকে নিখোঁজ ছিলেন শেখ শাহজাহান ৷ ২৮ ফেব্রুয়ারি কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম রাজ্যকে সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতারিতে কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই ৷ পুলিশ তো বটেই, এমনকী ইডি, সিবিআই-ও গ্রেফতার করতে পারে সন্দেশখালির তৃণমূলের দাপুটে নেতা বলে পরিচিত শেখ শাহজাহানকে ৷ গত ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে সন্দেশখালিতে শেখ শাহাজাহানের বাড়িতে পৌঁছয় ইডি ৷ সেখানে শাহজাহানের সন্ধান পায়নি ইডির তদন্তকারীরা ৷ উলটে আধিকারিকদের উপর চড়াও হয় স্থানীয়রা ৷ তাঁদের উপর মারধরের অভিযোগও ওঠে ৷ তারপর থেকেই বেপাত্তা হয়ে যান শেখ শাহজাহান ৷
গ্রেফতারের পর তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলির তদন্তভার নেয় সিআইডি। তাঁকে আদালতে তোলা হলে বিচারক ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।
অবশেষে আজ, মঙ্গলবার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে হবে শেখ শাহজাহানকে।