চোপড়ায় যুগলকে ফেলে মারের ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া দিল জাতীয় মহিলা কমিশন। জাতীয় মহিলা কমিশন পশ্চিমবঙ্গের ঘটনাটির ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে বিবেচনা শুরু করেছে। জানা যাচ্ছে, একজন পুরুষ এবং একজন মহিলাকে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগে প্রকাশ্যে মারধর করা হয়েছে। একটি ভিডিওতে লাঠির গোছা দিয়ে ওই যুগলকে মারধর করতে দেখা গেছে (ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করেনি (বাংলা ডট আজতক ডট ইন)।
ঘটনাটি ঘটেছে গত সপ্তাহে উত্তর দিনাজপুরে। একটি এক্স পোস্টে কমিশন জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর থেকে বিব্রতজনক তথ্য এসেছে। অভিযুক্ত তাজিমুল, ওরফে জেসিবি বিধায়ক হামিদুর রহমানের ঘনিষ্ঠ। সেই ওই যুগলকে মারধর করেছে। বিষয়টিতে জাতীয় মহিলা কমিশন উদ্বিগ্ন। বিশ্বজুড়েই মহিলাদের ওপর হিংসা বাড়ছে। কমিশন আরও জানিয়েছে, এ বিষয়ে শুনানি হবে ৪ জুলাই, দুপুর আড়াইটায়। তাজিমুলকে ব্যক্তিগতভাবে হাজির হওয়ার জন্য বা ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে।
একটি এক্স পোস্টে, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাও ঘটনার নিন্দা করেছেন এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকারের নিন্দা করেছেন। তিনি লেখেন, "পশ্চিমবঙ্গ থেকে একটি ভয়ঙ্কর ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে, যা শুধুমাত্র ধর্মশাস্ত্রে বিদ্যমান বর্বরতার কথা মনে করিয়ে দেয়। বিষয়গুলিকে আরও খারাপ করার জন্য, তৃণমূল ক্যাডার এবং বিধায়করা এই সালিশিকে ন্যায্যতা দিচ্ছেন। তাঁর অভিযোগ, সন্দেশখালিই হোক বা উত্তর দিনাজপুর, দিদির পশ্চিমবঙ্গ মহিলাদের জন্য নিরাপদ নয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জেসিবি ওরফে তাজিমুল রবিবার চোপড়া এলাকাতেই ছিলেন। পুলিশি অভিযানে তিনি গ্রেফতার হন। পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার ইসলামপুর মহকুমা আদালতে হাজির করানো হবে তাঁকে। যে ঘটনার প্রেক্ষিতে রবিবার চোপড়ার ওই তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করা হল, সেটি দিন দুয়েক আগে ঘটেছিল চোপড়া থানা এলাকার লক্ষ্মীপুরে। অন্তত তেমনটাই জানিয়েছেন ইসলামপুরের পুলিশ সুপার জবি থমাস কে।
বিরোধীদের অভিযোগ, জেসিবি এলাকায় অসামাজিক কাজ করে বেড়ান। তাঁর বিরুদ্ধে এক সিপিএম নেতাকে খুন-সহ বহু অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু তার পরেও যে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়নি, তার একমাত্র কারণ, জেসিবি চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমানের ঘনিষ্ঠ।