চোপড়ায় যুগলকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক পেটানো তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। রবিবার সন্ধেয় তাঁকে গ্রেফতার করে ইসলামপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানা যাচ্ছে। ধৃতের নাম তাজম্মুল হক ওরফে জেসিবি। এলাকার যাবতীয় সমস্যা সমাধানে হত সালিশি সভায়। যার নাম ছিল ‘ইনসাফ সভা’। চোপড়াকাণ্ডে সুয়োমোটো মামলা হয় তাঁর বিরুদ্ধে। চোপড়ার ডাঙাপাড়া এলাকার বাসিন্দা তাজম্মুল হক ওরফে জেসিবিকে চোপড়া থেকে আটক করে ইসলামপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
রবিবার দুপুরে ভিডিওতে দেখা যায় তাজম্মুল ওরফে জেসিবিকে। ভাইরাল হওয়া দেখা যায় এক তরুণীকে রাস্তার মধ্যে ফেলে এক ছড়া কঞ্চি দিয়ে বেধড়ক মারছেন জেসিবি। মার খেতে খেতে গুটিয়ে যাওয়া মেয়েটিকে চুলের মুঠি ধরে টেনে এনে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলা হচ্ছে। তার পরে আবার শুরু হচ্ছে মার। একইসঙ্গে এক তরুণকেও একই ভাবে মারতে দেখা যায় তাঁকে।
যদিও ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করেনি 'বাংলা ডট আজতক ডট ইন।' ?যা প্রকাশ্যে আসার পরই শুরু হয় বিতর্ক। একে একে মুখ খুলতে শুরু করেছিলেন রাজ্যের বিরোধীরা। পরে ইসলামপুরের পুলিশ ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে। তাঁকে গ্রেফতার করার জন্য অভিযানও শুরু হয়। এবং সন্ধের মধ্যেই জেসিবিকে গ্রেফতার করা হয়।
জানা যাচ্ছে, জেসিবি চোপড়ার বেশ প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা। সূত্রের খবর, তিনি বিধায়ক হামিদুর রহমানের ঘনিষ্ঠ। সূত্রের খবর, বিধায়ক ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুবাদে উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া ব্লকের লক্ষ্মীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শেষ কথা তিনিই। তাঁর কথাতেই এলাকায় সকলের ওঠাবসা। পুলিশ সূত্রে খবর, জেসিবি-র বিরুদ্ধে একাধিক খুনের মামলাও রয়েছে।
জানা গেছে, এক মহিলার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগে রাস্তায় ফেলে তালিবানি কায়দায় বেধড়ক মারধরে অভিযুক্ত জেসিবি। ভাইরাল ভিডিয়োতেও দেখা যাচ্ছে, তিনি বেশ ক'য়েকটি বাঁশের কঞ্চি একসঙ্গে ধরে পেটাচ্ছেন ওই মহিলাকে। রাস্তায় পড়ে কাতড়াচ্ছেন তিনি। তখনও আশপাশের মানুষ কার্যত দাঁড়িয়ে দেখেছেন। তাঁকে আটকানোর চেষ্টাও করছেন না। জানা যাচ্ছে, এক ব্যক্তি লুকিয়ে মোবাইলে ভিডিওটা তুলেছিলেন। সেই ব্যক্তি এখন ভয়ে গ্রাম ছাড়া।