রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠল মুর্শিদাবাদের শক্তিপুরে। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার শক্তিপুর রামনবমী উৎসব উদযাপন কমিটির তরফ থেকে রামনবমী উপলক্ষে একটি শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। শোভাযাত্রাটি যখন শক্তিপুর হাই স্কুল মোড়ের কাছাকাছি পৌঁছায় সেই সময় কিছু দুষ্কৃতী হঠাৎই মিছিলে অংশগ্রহণকারীদেরকে লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছুঁড়তে থাকে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, রামনবমী উপলক্ষে এই মিছিলের আগে ও পেছনে পর্যাপ্ত পরিমাণ পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলেও দুষ্কৃতীরা ঢিল পাথর ছোঁড়া থেকে বিরত হয়নি। এরপর পুলিশ লাঠি চালিয়ে দু'পক্ষকে সরানোর চেষ্টা করলে হঠাৎই এলাকাতে ব্যাপক বোমাবাজি শুরু হয়। পুলিশকে লক্ষ্য করেও বেশ কয়েকটি বোমা ছোঁড়া হয়েছে বলে গ্রামবাসীদের অভিযোগ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, সন্ধের পর এই সংঘর্ষ শক্তিপুর থানার কাজীপাড়া, মানিক্যহার সহ আরও কিছু নতুন এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, দুষ্কৃতীদের হামলার ঘটনায় প্রচুর গ্রামবাসী আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে কয়েক জনের অবস্থা যথেষ্ট গুরুতর। আহতদেরকে মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং জেলার অন্যান্য হাসপাতালে ভর্তি করান হয়েছে। ঘটনাস্থলে জেলার প্রায় সমস্ত শীর্ষ পুলিশ আধিকারিকরা। দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে পুলিশ।
এদিন জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশকে লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়তে হয়। আহতদের বহরমপুরের মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বঙ্গ বিজেপির অভিযোগ, সমাবেশে পাথর ছোড়া হয়েছে এবং দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছেনে, "একটি শান্তিপূর্ণ রামনবমীর মিছিল, যার জন্য প্রশাসনের থেকে সমস্ত য অনুমতি ছিল, কিন্তুন শক্তিপুর বেলডাঙ্গা - দুই ব্লক এলাকাতে দুষ্কৃতীরা আক্রমণ করে। আশ্চর্যের বিষয়, এই সময়, মমতার পুলিশ এই ভয়ঙ্কর হামলায় দুষ্কৃতীদের সঙ্গে যোগ দেয় এবং কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। মিছিলটিকে শেষ করতে ও ভক্তদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য তাদের উপর শেল বর্ষণ করা হয়েছে।” পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে এবং অতিরিক্ত বাহিনী এলাকায় পাঠানো হয়েছে।