CM Mamata Banerjee on Netaji Subhas Chandra Bose Anniversary: নেতাজির অন্তর্ধান রহস্য আজও রহস্যই রয়ে যাওয়ার আক্ষেপ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কেন্দ্র সরকার কথা দিয়ে কথা না রাখার দাবি তুললেন মমতা। পাশাপাশি, নেতাজির প্ল্যানিং কমিশন বন্ধ করে মোদী সরকরের নীতি আয়োগ গঠনকেও কটাক্ষ করেন। মঙ্গলবার, রেড রোডে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন মুখ্যমন্ত্রী। বক্তৃতায় প্রশ্ন তোলেন, "তিনি কোথায় হারিয়ে গেলেন? তিনি চলে যাওয়ার পর তাঁর কী দশা হল, তাঁর ওপর কী অত্যাচার হয়েছিল, তাঁকে কোথায় পাঠানো হয়েছিল? তিনি কি আদৌ লুকিয়ে ছিলেন? আমরা আজও জানি না।"
কেন্দ্রকে দুষে বলেন, "দেশের কী দুর্ভাগ্য, দেশকে দিশা দেখাতে গিয়ে কোথায় হারিয়ে গেলেন আজ পর্যন্ত আমরা জানলাম না। তৃণমূল সরকার আসার পর ৬৪-টা ফাইল প্রকাশ্যে এনেছিল, বিজেপি সরকার বলেছিল তারা ফাইল বের করবে, ভুলে গেছে। নেতাজির নামে পোর্ট ও ডক উঠে গেছে, প্ল্যানিং কমিশন উঠে গেছে। আজ একটাই প্ল্যানিং, পলিটিক্স, ডিভাইড এন্ড রুলসে চলে গেছে। তৈরি হয়েছে নীতি আয়োগ। যার কোনও নীতি-আয়োগ নেই। মোমের পুতুলের মতো বসে আছে।"
নেতাজির জন্মবার্ষিকীকে জাতীয় ছুটির দিবস হিসেবে ঘোষণায় কেন্দ্রের বঞ্চনার দাবি তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, "আজ ২০ বছর ধরে চেষ্টা করেও জাতীয় ছুটির দিবস হিসেবে ঘোষণা করতে পারিনি। আমি দুঃখিত, লজ্জিত। এ দেশে পলিটিক্যাল প্রচারে ছুটি হয়ে যায়, কিন্তু যাঁরা দেশের জন্য প্রাণ দেয় তাঁরা বসে বসে কাঁদে।"
নেতাজির উক্তি উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, "ত্যাগ ও উপলদ্ধি কয়েনের এপিঠ-ওপিঠ। ষোলো আনা পেতে হলে ষোলো আনা দিতে হয়।"
আরও বলেন, "আজ নেতাজির স্ট্যাচুর সামনে দাঁড়িয়ে বলতে ইচ্ছে করে, এমন নেতা তো আর জন্মাল না। আরেকটা গান্ধীজি, বিবেকানন্দ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জন্মাবে না।"
প্রসঙ্গত, পরিকল্পনা কমিশন বা প্ল্যানিং কমিশন ভারত সরকারের একটি প্রতিষ্ঠান ছিল। এই প্রতিষ্ঠান ছিল যা বিভিন্ন কার্যক্রমে ভারতের পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করে। ২০১৪ সালে প্রথম স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পরিকল্পনা কমিশন ভেঙে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। এরপর নীতি আয়োগ গঠিত হয়।