CM Mamata Banerjee on Dakshineswar Sky Walk: মেট্রোর প্রকল্পের জন্য দক্ষিণেশ্বরে জমি-জট। দক্ষিণেশ্বর স্কাই ওয়াক ভেঙে ফেলার চিঠি মেট্রো রেলওয়ের। এর তীব্র বিরোধিতা করে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী এদিন কেন্দ্রকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেন, "মেট্রো রেলওয়ে রিলোকেশন প্ল্যান করুক। মেট্রো রেল বলছে স্কাইওয়াক ভাঙতে হবে! আমার রক্ত থাকতে দক্ষিণেশ্বরের স্কাইওয়াক ভাঙতে দেব না। এটা আমার হৃদয়ের মণি মুক্তোর মতো।" মেট্রোকে চিঠি দিয়ে প্ল্যাটফর্মের জন্য জায়গা বদলের চিঠিও দিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকেও তিনি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন।
এ-ও বলেন, "ধর্মস্থান নিয়ে বড়বড় কথা! বলে আমি দুর্গাপুজো করি না। এদিকে দুর্গাপুজো হেরিটেজ তকমা পেয়েছে। আমাদের কাজ ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপ করা। প্রাণ প্রতিষ্ঠা আমাদের কাজ না। আমি যখন রেলমন্ত্রী ছিলাম তখন ইস্ট-ওয়েস্ট প্ল্যান হচ্ছিল না। দক্ষিণেশ্বর, নোয়াপাড়া, জোকা-তারাতলা সব আমার করা। ২০০৯-এর পর ১৫ বছর হয়েছে। একটু করে করছে আর ছবি লাগাচ্ছে। টাকাগুলো রেখে এসেছিলাম। মেট্রোর প্রতিটি প্রকল্প আমার করা।"
আরও বলেন, "মেট্রোর কাজের জন্য আলিপুরের বডিগার্ড ভাঙতে বলা হয়েছে। আমি ভাঙতে দেব না। রেল মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করার পর নীতীশ কুমার রেলমন্ত্রী হয়। তারা ধানবাদ কেটে নিয়ে যায়। আমি বাংলাকে দিয়েছি মেট্রো জোন।"
এদিন তিনি আরও বলেন, "গৌহাটির কামাক্ষ্যা মন্দির, তারাপীঠ, দক্ষিণেশ্বরের আদলে স্টেশন করে দিয়েছিলাম। দিল্লির মেট্রো আমি না থাকলে হত না, অ্যান্টি কলিশন ডিভাইস করে দিয়েছিলাম। যেটা সহযোগিতার কাজ আমি করব। কালীঘাটেও স্কাইওয়াক করছি, কীকরে করছি বলুন? স্কাইওয়াক হলে তাদের দোকান করে দেব। রিলায়েন্স মাথার চূড়া করছে, বাকিটা আমরা করছি। জগন্নাথ মন্দিরও আগামী ২ মাসে তৈরি হয়ে যাবে। মাসির বাড়িটাও ভাল করে করছি। দক্ষিণেশ্বরের স্কাইওয়াকে হাত দিতে দেব না। দক্ষিণেশ্বরে হাত দিলে বিবেকানন্দ, রাসমণির কথা মনে করতে হবে। হাত দিচ্ছে কোথায়? যদি বলে নোখোদা মসজিদ ভাঙতে, আমি ভেঙে দেব? জট থাকলে জট কাটাতে হবে। ভারতবর্ষে সবথেকে বেশি জমি কেন্দ্র ও ডিফেন্সের কাছে আছে। আমি গর্ভমেন্ট অফ ইন্ডিয়া ভাল বুঝি।"
প্রসঙ্গত, দক্ষিণেশ্বর মেট্রো বাড়াতে জমি চেয়ে আবেদন করে মেট্রৌ রেল। বর্তমানে দক্ষিণেশ্বর মেট্রোয় রেক ঘোরানোর জায়গা নেই। ফলে ডাউন প্ল্যাটফর্মে যাত্রীদের নামিয়ে মেট্রোকে ঘুরে আসতে হয়। যে কারণে প্রায় ১০ মিনিট সময় নষ্ট হয়। তাতে বদলের জন্য জায়গা চাওয়া হয়। তবে এই কাজে আপত্তি জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।