CM Mamata Banerjee on RG Kar Doctor Death: আর জি কর কাণ্ডে চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনে বিচারের দাবিতে পদযাত্রায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার মৌলালি থেকে ডোরিনা ক্রসিং পর্যন্ত মিছিল করেন মমতা। এদিন চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের তদন্তে ডোরিনার মঞ্চ থেকে সিবিআইকে ডেডলাইন বেঁধে দেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি, আরজি কর ভাঙচুর কাণ্ডে দায়ী করেন সিপিএম-বিজেপিকে। এসব সব লক্ষ্মী ভাণ্ডারের ওপর সকলের হিংসার কারণে বলে দাবি করেন মমতা।
সিপিএম- বিজেপিকে আক্রমণ করে বলেন, "রাজনীতি করলেন, আর আগুন লাগাতে চাইলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অপমান করে হবে। অমানবিক ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করেছেন। ডিওয়াইএফআই নিজেদের ফ্ল্যাগ নিয়ে আর বিজেপি ন্যাশনাল ফ্ল্যাগ নিয়ে গেছিল। গেছিলেন তো আরজি কর-এ প্রমাণ লুঠ করতে...সব ভেঙে ফেলেছেন। আপনারা জানেন না, রোগীর কত জিনিস লাগে?" মমতা আরও দাবি করে বলেন, "আমি জানি সিপিএম আর বিজেপি ভাঙচুর করেছে। আমি সাধারণ মা-বোনেদের স্যালুট জানিয়েছি। ওরা ঠিক কাজ করেছে। জাতীয় পতাকা আর ডিওয়াইএফআইয়ের পতাকা নিয়ে রাম-বাম আরজিকরে ভাঙচুর কমেছে। আজ বাংলায় ইঁদুর কামড়ালে ১৫৫টা টিম পাঠাতে হয়। লজ্জা করে না!"
কলকাতা পুলিশের তদন্ত নিয়ে আরও বলেন, "পুলিশ ৯০ শতাংশ প্রমাণ জোগাড় করে ফেলেছিল। ওরা ৩৪ জনকে ডেকেছিল। আরও অনেক কাউকে ডাকার ছিল। এগুলো বাইরে বলা যায় না, ক্রিমিনাল এভিডেন্স বাইরে চলে এলে দোষীরা সাবধান হতে পারে। পুলিশ সমস্ত তদন্ত বাবা-মাকে দেখিয়েছিল। ওরা বলেছিল ভরসা আছে। রবিবার অবদি সময় চেয়েছিলাম, তর সইল না।"
বলেন, "আমি সোমবার গেছিলাম, কলকাতা পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে। মিডিয়া ট্রায়ালের জন্য তদন্ত সামনে আসতে পারে না। জ্যুডিশিয়াল ম্যাজিসট্রেটকে নিয়ে এসে পোস্টমর্টেম হয়, ভিডিও হয়, ডিএনএ, ডগ স্কোয়াড, সিসিটিভি ফুটেজ পাঠানো সব করেছে পুলিশ। সারা রাত ওরা ঘুমায়নি। মেয়েটির ডেড বডি পুলিশ এসকর্ট করে নিয়ে গেছে। সেই বডি নিয়ে যাওয়ার সময় বিজেপির নেত্রী বাবা-মাকে নামিয়ে নিয়েছিল। পরে তালতলা থানায় এফআইআর করে বডি পৌঁছে দিয়ে আসে। যতক্ষণ না শেষকৃত্য হবে ততক্ষণ ঘুমোতে পারিনি। আমি রাজনীতি করি, তবে কারও ক্ষতি আজ অবদি করিনি।"
এদিন মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, 'অনেকে ফেক ভিডিও তৈরি করে মানুষের মনকে উত্তেজিত করছে, আসল সত্যি জানবার জন্য নয়। মিথ্যে সামনে এনে মিথ্যে লুকিয়ে দেওয়ার জন্য়। আজকাল সোশ্যাল মিডিয়ার সব সংবাদ সত্য নয়। কোনও ঘটনাই ঘটেনি অথচ পয়সা কামানোর জন্য, রাজনীতি করার জন্য টাকা দিয়ে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে। টোটাল মিথ্যে ঘটনা বানাতে AI ব্যবহার করছে। যুগটা কলিযুগ।'
আরজি করে অভিযুক্তের ফাঁসির দাবিতে ৩ কিলোমিটার পথ হাঁটেন তাঁরা। এদিন রাম-বাম-শ্যামের ষড়যন্ত্র হতে দেওয়া হবে না বলে স্লোগান তুলে দাবি তোলেন তৃণমূল কর্মীরা। 'নাটক নয় বিচার নেই', 'শাস্তি নয় ফাঁসি চাই', 'আমরা সবাই ফাঁসি চাই, বাংলার মানুষ ফাঁসি চায়', 'কুৎসা নয় সত্যি চাই', 'সত্যি কি জানতে চাই', স্লোগান তোলেন তাঁরা। সিবিআইকে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় রবিবারের মধ্যে সমস্ত অপরাধীদের গ্রেফতারের দাবি তোলে তৃণমূল। দোষীদের ফাঁসির দাবি তুলে এই তিন দাবিতে আজ এই প্রতিবাদ মিছিল করে তৃণমূল।
এদিন পদযাত্রার প্রথম সারিতে দেখা যায় তৃণমূলের মহিলা ব্রিগেডের সাংসদ শতাব্দী রায়, মহুয়া মৈত্র, রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, জুন মালিয়া এবং মন্ত্রী শশী পাঁজাদের।