কোচবিহারের অন্তর্গত হলদিবাড়িতে এক নাবালিকা মেয়ের শ্লীলতাহানির ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। এই ঘটনায় তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত সদস্যের নিকটাত্মীয়কে গ্রেফতার করা হয়েছে, যা এলাকায় আরও ক্ষোভের সঞ্চার করেছে। অভিযুক্ত লিয়াকত আলি সরকার, যিনি তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য অহিদা খাতুনের শ্যালক, তাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে স্থানীয় একটি ওষুধের দোকানের সামনে। অভিযোগ অনুযায়ী, লিয়াকত আলি সরকার ওষুধের দোকানে যাওয়ার সময় ওই নাবালিকা মেয়েটিকে জোর করে অনুপযুক্তভাবে স্পর্শ করে। মেয়েটি সঙ্গে সঙ্গে বাড়িতে ফিরে বিষয়টি তার পরিবারের সদস্যদের জানায়। ঘটনাটি জানাজানি হতেই এলাকার মানুষ ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে এবং স্থানীয় মানুষজন হলদিবাড়ি থানায় গিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু করেন।
বিক্ষোভকারীদের দাবি ছিল, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে এবং তাকে কঠোর শাস্তি দিতে হবে। পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। স্থানীয় থানায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয় এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ লিয়াকত আলি সরকারকে গ্রেফতার করে।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে হলদিবাড়ি এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। অনেকেই মনে করছেন, অভিযুক্তের সঙ্গে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের সম্পর্ক থাকার কারণে এই ঘটনায় রাজনৈতিক প্রভাব পড়তে পারে। তবে পুলিশ আশ্বস্ত করেছে যে, তারা পুরো বিষয়টি নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করবে এবং অপরাধীর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এ ধরনের ঘটনায় প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। তারা আরও বলেন, একজন জনপ্রতিনিধির পরিবারের সদস্যের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠলে তা সাধারণ মানুষের মধ্যে আস্থা কমিয়ে দিতে পারে। তাই প্রশাসনের দায়িত্ব এই ঘটনার সঠিক তদন্ত করা এবং অভিযুক্তকে কঠোর শাস্তি প্রদান করা।
এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত রাজনৈতিক মহল থেকে কোনও মন্তব্য আসেনি। তবে তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব জানিয়েছে, যদি অভিযুক্ত দোষী প্রমাণিত হয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এদিকে, নাবালিকার পরিবারের সদস্যরা এখনও শঙ্কিত এবং তারা দ্রুত বিচার পাওয়ার আশা করছেন। তারা জানান, এ ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়।