Cyclone Dana Updates: বঙ্গোপসাগরে চোখরাঙাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় দানা। ইতিমধ্যেই দানা শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নিয়েছে। ক্রমেই স্থলভাগের দিকে এগোচ্ছে। বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই কলকাতা এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় আকাশের ভোলবদল। বইছে ঝোড়ো হাওয়া। কোনও কোনও এলাকায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আজ দক্ষিণবঙ্গের কোনও কোনও জেলায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে। জারি করা হয়েছে রেড অ্যালার্ট। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ মধ্য রাত এবং আগামীকাল ভোরে উত্তর ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে পুরী এবং সাগরদ্বীপের মধ্যে অতিক্রম করতে পারে সাইক্লোন। ওড়িশার ভিতরকণিকা থেকে ধামারার মধ্যে আছড়ে পড়তে পারে দানা। ঝড়ের গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১০০-১১০ কিমি। সর্বোচ্চ বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১২০ কিমি। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ থেকে ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টি হতে পারে কোথাও কোথাও। আজ দক্ষিণ ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুরে প্রবল বৃষ্টির লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, ঝাড়গ্রামের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। পুরুলিয়া-সহ দক্ষিণের বাকি জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শনিবার দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামের কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে বৃষ্টির তীব্রতা বাড়ছে উপকূলে, সঙ্গে চলছে ঝড়ও।
১৩ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে বঙ্গোপসাগরের উপর দিয়ে স্থলভাগের দিকে এগিয়ে আসছে ‘দানা’। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে শুক্রবার সকালের মধ্যে এটি তীব্র ঘূর্ণিঝড় হিসেবেই ওডিশা উপকূলে তার আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা প্রবল বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া অফিস। ল্যান্ডফলের স্থান ভিতরকণিকা ও ধামারাতে। ইতিমধ্যে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছে ধামরা সমুদ্র সৈকতে। সমুদ্রতটে দৃশ্যমানতা কার্যত নেই বললেই চলে। বৃষ্টির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে হাওয়ার দাপট।
দানা মোকাবিলায় রাত জাগছেন মুখ্যমন্ত্রী।
পারাদীপ থেকে আর ৬০ কিমি দূরে রয়েছে দানা। প্রতি ঘণ্টায় বুলেটিন প্রকাশ করছে হাওয়া অফিস।
ধামারা থেকে আর ৯০ কিমি দক্ষিণ দক্ষিণ-পূর্বে রয়েছে ‘দানা’। এটিই সম্ভাব্য ‘ল্যান্ডফলের’ স্থান। সাগরদ্বীপ থেকে এখনও ১৯০ কিমি দূরে রয়েছে ঘূর্ণিঝড়।
বৃহস্পতিবার রাতেই ওড়িশার উপকূলে তার ‘ল্যান্ডফল’ প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যেতে পারে। তা চলবে শুক্রবার ভোর পর্যন্ত। এর ফলে ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার মৌসম ভবনের ডিজি মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র জানিয়েছেন, ‘চোখ’ না থাকলেও ‘দানা’ তাণ্ডব চালাবে উপকূলে। ভারী বৃষ্টি এবং ঝোড়ো হাওয়ার সতর্কতা থাকছে। ‘ল্যান্ডফলের’ পর ঘূর্ণিঝড় দক্ষিণ পশ্চিম দিকে বাঁক নেবে। তার পর ক্রমে তার শক্তিক্ষয় হবে।
আপাতত গতি কম। তবে শক্তি সঞ্চয় করছে ঘূর্ণিঝড় দানা। ধামারা থেকে ১৮০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে এই ঘূর্ণিঝড়। রাত যত বাড়বে তত শক্তি বাড়াবে দানা।
ঘূর্ণিঝড় দানার দাপটে পুরীতে ভারী বৃষ্টি। ওড়িশা জুড়েই চলছে তাণ্ডব।
সামান্য গতি বাড়াল ঘূর্ণিঝড় দানা। উপকূলে আছড়ে পড়ার সময় এর গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১১০ কিমি। তবে এখন ১৩ কিমি বেগে এই ঝড় আসছে। এর আগে গতিবেগ ছিল ১০ কিমি প্রতি ঘণ্টায়।
রাত ৮টার পর শিয়ালদা হাসনাবাদ ও দক্ষিণ শাখায় লোকাল ট্রেন চলাচল বন্ধ। ফাঁকা প্ল্যাটফর্ম।
বিদ্যুৎ ভবনে থাকছে কন্ট্রোল রুম। হেল্পলাইন নম্বর 8900793503/8900793504। টোল ফ্রি নম্বরে (19121) ডকেট কলও করা যাবে। কোনও অভিযোগ থাকলে হোয়াটসঅ্যাপ করা যাবে 8433719121 নম্বরে।
মৌসম ভবন জানিয়েছে, ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও ‘দানা’র তাণ্ডব চলবে অন্ধ্রপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, ছত্তীসগঢ়, বিহার এবং তামিলনাড়ুতে। ইতিমধ্যেই বিহারের ১২ জেলায় সতর্কতা জারি করেছে রাজ্য প্রশাসন।
নবান্নে এলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সারা রাত কন্ট্রোল রুমে থেকে নজরদারি চালাবেন তিনি। সঙ্গে রয়েছেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্ত।
ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র কারণে কলকাতা বিমানবন্দর বন্ধ রাখার কথা বুধবারই ঘোষণা করেছিলেন কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত কোনও বিমান ওঠানামা করবে না বলেও ঘোষণা করা হয়েছে। শুধু কলকাতা বিমানবন্দরই নয়, ভুবনেশ্বরের বিজু পট্টনায়েক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরও বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে ১৬ ঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আবহাওয়া দফতরের দেওয়া আপডেট অনুযায়ী, পারাদ্বীপ থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড়। ধামরা থেকে এর দূরত্ব ১৮০ কিলোমিটার। সাগরদ্বীপ থেকে ২৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড়।
কলকাতায় ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই আবহাওয়ার পরিবর্তন হবে। কলকাতায় আজ থেকে ঝড় চলবে রাতভর। ল্যান্ডফলের সময় হাওয়ার গতিবেগ বাড়বে বলে অনুমান আবহবিদদের।
পশ্চিমবঙ্গের গাঙ্গেয় উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে প্রভাব পড়তে চলেছে সাইক্লোন দানার। পূর্ব মেদিনীপুরে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্ষেত্রে বাতাসের গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৯০ কিলোমিটার। রাজ্যের একাধিক জেলায় প্রভাব পড়তে চলেছে সাইক্লোন দানা-র। এই জেলাগুলি হলো পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, বাঁকুড়া। বৃহস্পতি এবং শুক্রবার এই জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সকাল থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনাতে।
ডিভিসি-কে তোপ দেগে মমতা বলেন, ‘আবার ২৪ হাজার কিউসেক জল ছেড়েছে। এর থেকে ডিভিসি যদি খননটা ঠিক মতো করে, তাহলে আরও বেশি জল ধরে রাখতে পারে।’
সমুদ্রে ১৩ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে উপকূলের দিকে এগোচ্ছে ‘দানা’। অভিমুখ মূলত উত্তর-পশ্চিম। আবহবিদেরা জানিয়েছেন, ওড়িশার ভিতরকণিকা থেকে ধামারার মধ্যে ‘দানা’ আছড়ে পড়তে পারে।
‘দানা’য় সতর্ক কলকাতা পুরসভা। বাতিল হয়েছে পুর আধিকারিকদের বড় অংশের ছুটি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সতর্ক নিকাশি, সিভিক, বিদ্যুৎ ও আলো, উদ্যান, স্বাস্থ্য এবং জঞ্জাল সাফাই বিভাগ। পুর-প্রস্তুতির উপর নজরদারি চালাচ্ছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। পরিস্থিতির ওপর নজর রাখতে আজ রাতে পুরসভাতেই থাকবেন তিনি
বঙ্গোপসাগরে দানা ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হওয়া থেকে ল্যান্ডফল- আবহাওয়ার গতিপ্রকৃতির উপর নজর রেখে চলেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। এক্স হ্যান্ডেলে তারা একটি ভিডিও পোস্ট করেছে।
জেলায় জেলায় খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। একইসঙ্গে নবান্নেও ২৪ ঘণ্টার জন্য কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে নবান্নে থেকেই রাজ্যের সার্বিক পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নের হেল্প লাইন নম্বরটি হল ০৩৩-২২১৪৩৫২৬।
স্থলভাগের আরও কাছে এল ঘূর্ণিঝড় 'দানা' ৷ ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৩ কিমি ৷ 'দানা'-র অবস্থান ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে মাত্র ১৮০ কিমি দক্ষিণ-পূর্বে রয়েছে। ধামরা থেকে ২১০ কিমি দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছে ৷ সাগরদ্বীপ থেকে ২৭০ কিমি দূরে রয়েছে৷
মেট্রো পরিষেবা স্বাভাবিক থাকছে কলকাতায়। বৃহস্পতিবার তেমনটাই জানিয়েছেন মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। দক্ষিণেশ্বর-দমদম-কবি সুভাষ লাইনে প্রতি দিনের মতোই সময় অনুযায়ী মেট্রো চলবে। হাওড়া ময়দান থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত পরিষেবাও স্বাভাবিক থাকবে। সল্টলেক থেকে শিয়ালদা মেট্রোর সময়সূচিতেও কোনও পরিবর্তন নেই।
দানা ইতিমধ্যে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। স্থলভাগের দিকে ঘণ্টায় ১২ কিলোমিটার গতিবেগে এগিয়ে আসছে। ঘূর্ণিঝড়টি বর্তমানে পারাদ্বীপ থেকে ২৬০ কিলোমিটার এবং ধামারা থেকে ২৯০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। সাগরদ্বীপ থেকে এর দূরত্ব এখন ৩৬০ কিলোমিটার। যত সময় যাচ্ছে ততই এগিয়ে আসছে এই ঘূর্ণিঝড়।
'ডিভিসি আবার ২৪ হাজার কিউসেক জল ছেড়েছে। ঝাড়খণ্ডে বৃষ্টি হলে আরও ছাড়বে। ড্রেজিং করলে ৪ লক্ষ কিউসেক জল বেশি ধরে রাখতে পারে ডিভিসি। কলকাতায় আর জল জমে না। কারণ আমরা পলি সরিয়ে দিয়েছি'। মমতার নিশানায় ডিভিসি।
'কোনও গুজবে কান দেবেন না। ভয় পাবেন না। সতর্ক থাকুন। পুলিশ ও প্রশাসন যেখানে যেখানে খালি করতে বলছে, সেটা মান্যতা দিন। সমুদ্রে ভ্রমণ করবেন না। মাছ ধরতে যাবেন না। আশা করি সরকারি নির্দেশিকা মেনে চলবেন'। বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আমরা লোকজনকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি। আমরা ৩৫১৯৪১ জনকে চিহ্নিত করেছি। আমরা ৮৫১টি ত্রাণ শিবির চালাচ্ছি। ত্রাণ শিবিরে ১৫৯৮৩৭ জনকে আনা হয়েছে। নবান্নে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নবান্নের হেল্পলাইন নম্বর- ০৩৩-২২১৪-৩৫২৬ ও ১০৭০
'আমি রাতভর নবান্নে থেকে পরিস্থিতির উপর নজর রাখব। মুখ্যসচিব বাড়ি থেকে নজর রাখবেন। আবার সকালে চলে আসবেন নবান্নে'। বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ঘূর্ণিঝড়ের আগে আমরা সতর্ক। আবহাওয়া দফতর বলছে, এদিকে বেশি প্রভাব ফেলবে না। এটা ঠিক নয়। এদিকেও প্রভাব পড়বে: মমতা
ঘূর্ণিঝড়টি সম্ভাব্য যে এলাকায় আছড়ে পড়তে পারে, সেই ধামারা বন্দর থেকে ২৪০ কিমি দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব দিকে রয়েছে। স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সময় এর গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার। দমকা হাওয়ার গতি কখনও কখনও ১২০ কিলোমিটারও হতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
সুন্দরবনে পৌঁছে গেলেন সিপিএম নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। ঘূর্ণিঝড় দানা-র বড়সড় প্রভাবের আশঙ্কা রয়েছে সুন্দরবনে। প্রতিটি ঝড়েই সুন্দরবনের মানুষদের পাশে দাঁড়ান কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। সুন্দরবন অঞ্চলে প্রচলিত কথা, ঝড়ের আগে কান্তি আসেন। এবারও অন্যথা হল না।
দিঘায় বাড়ছে জলোচ্ছ্বাস। সকাল থেকে দিঘার সমুদ্র উত্তাল হয়ে ওঠে। সেখানে পর্যটকদের সমুদ্রে নামতে বারণ করা হয়েছে। হোটেলগুলো থেকে পর্যটকদের বুকিং ক্যানসেল করা হয়েছে। পুলিশ প্রশাসন মাইকিং চালাচ্ছে।
আবহাওয়া দফতরের সর্বশেষ বুলেটিন অনুযায়ী, ওড়িশার ধামারা থেকে ২৪০ কিমি দূরে রয়েছে ঘূর্ণিঝড় দানা। পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপ থেকে দূরত্ব ৩১০ কিমি।
দানা-র মোকাবিলায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ মহকুমা শাসকের দফতরে খোলা হয়েছে বিশেষ কন্ট্রোল রুম। শুক্রবার পর্যন্ত এই কন্ট্রোল রুম চলবে। পাথরপ্রতিমা, নামখানা, সাগর, কাকদ্বীপ এই চারটি ব্লকে এই কন্ট্রোল রুম কাজ চালাবে।
১০০ থেকে ১১০ কিমি গতিবেগ। ১২০ সর্বোচ্চ গতিবেগ। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা। দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রামে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। বিক্ষিপ্তভাবে ২৪ থেকে ২৫ তারিখ অত্যন্ত ভারী বৃষ্টি হবে। দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতে বৃষ্টি হবে। আজ দুপুরের পর থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন হবে। হাওয়ার পরিমাণ বাড়বে। পূর্ব মেদিনীপুর ও দুই ২৪ পরগনাতে বেশি প্রভাব পড়বে। তার জন্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় নদীর জলস্তর বাড়তে পারে। সমুদ্রে জলোচ্ছ্বাস দেখা যাবে। মৎস্যজীবীদের জন্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মাছ ধরার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
বাবুঘাট, চাঁদপাল ঘাট থেকে সমস্ত ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। গঙ্গার ঘাটে নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ।
এই মুহূর্তে সাগরদ্বীপ থেকে ৩৫০ কিলোমিটার দূরে ্বস্থান করছে সাইক্লোন দানা। আবহাওয়াবিদদের অনুমান, বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকালের মধ্যে দানা আছড়ে পড়তে পারে।
গতকাল রাতে তীব্র ঘূর্ণিঝড় আরও শক্তিশালী হয়েছে। মধ্য বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থান। উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে নিজস্ব গতি ঘন্টায় ১২ কিলোমিটার। পারাদ্বীপ থেকে ২৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ পূর্ব দিকে। ধামারা থেকে ২৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব দিক। সাগরদ্বীপ থেকে ৩৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিক।
বাংলায় দুর্যোগের ঘনঘটা। শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে 'দানা'। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, ২৪ অক্টোবর রাত এবং ২৫ অক্টোবর ভোরে উত্তর ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে পুরী এবং সাগরদ্বীপের মধ্যে অতিক্রম করতে পারে সাইক্লোন। ঝড়ের গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১০০-১১০ কিমি। সর্বোচ্চ বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১২০ কিমি।
ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র সবথেকে বেশি প্রভাব পড়বে ওড়িশায়। ভদ্রক জেলার ধামারা ও কেন্দ্রাপাড়া জেলার ভিতরকণিকার মধ্যে ল্যান্ডফলের সম্ভাবনা।
হাওড়া থেকে কিছু ট্রেন বাতিল করা হয়েছে আগামী শুক্রবার ২৫ অক্টোবর। তবে, শুক্রবার সকাল ১০টা পর্যন্ত এই সমস্ত লাইনে যে ট্রেনগুলি বাতিল হয়নি, সেগুলি সব স্টেশনেই থামবে। যদিও কোনও কিছু পরিবর্তন করা হয়, তাহলে সেটা পরে জানানো হবে।
ময়ূরভঞ্জ জেলায় ঝড়ের গতিবেগ হতে পারে ৮০-৯০ কিলোমিটার। জগৎসিংহপুর, কটক, জাজপুর জেলায় এই গতিবেগ হতে পারে ৬০-৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। অন্য দিকে, পুরী, খুরদা, ঢেঙ্কানল এবং কেওনঝড়ে ‘দানা’র গতি হতে পারে ঘণ্টায় ৬০-৭০ কিলোমিটার, সুন্দরগড়ে ৫০-৬০ কিমি, গঞ্জাম নয়াগড়, আঙ্গুল, দেওগড় এবং সম্বলপুরে এই ঝড়ের গতি হতে পারে ৪০-৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়।
২৫ তারিখ অর্থাৎ শুক্রবার হাওড়ায় বহু লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পূর্ব রেল।
বাতিল হওয়া লোকাল ট্রেনের তালিকায় একবার চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক--
হাওড়া-বর্ধমান কর্ড লাইনে বাতিল ট্রেনগুলি হল--
36811 হাওড়া-বর্ধমান (কর্ড লাইন) লোকাল
36071 হাওড়া-গুড়াপ লোকাল
36081 হাওড়া-মসাগ্রাম লোকাল
36031 হাওড়া-চন্দনপুর লোকাল
36011 হাওড়া-বারুইপাড়া লোকাল
36812 বর্ধমান-হাওড়া (কড লাইন )
36012 বারুইপাড়া-হাওড়া লোকাল
36032 চন্দনপুর-হাওড়া লোকাল
36072 গুড়াপ-হাওড়া লোকাল
36082 মসাগ্রাম-হাওড়া লোকাল
হাওড়া-বর্ধমান মেন লাইনে বাতিল ট্রেনগুলি হল---
37811 হাওড়া-বর্ধমান (মেন লাইন) লোকাল
37211 হাওড়া-ব্যান্ডেল লোকাল
37213 হাওড়া-ব্যান্ডেল লোকাল
37215 হাওড়া-ব্যান্ডেল লোকাল
37217 হাওড়া-ব্যান্ডেল লোকাল
37041 হাওড়া-শেওড়াফুলি লোকাল
37111 হাওড়া-বেলুড় মঠ লোকাল
37011 হাওড়া-শ্রীরামপুর লোকাল
37043 হাওড়া-শেওড়াফুলি লোকাল
37221 হাওড়া-ব্যান্ডেল লোকাল
37651 হাওড়া-মেমারি লোকাল
37045 হাওড়া-শেওড়াফুলি লোকাল
37224 হাওড়া-ব্যান্ডেল লোকাল
37047 হাওড়া-শেওড়াফুলি লোকাল
37013 হাওড়া-শ্রীরামপুর লোকাল
37049 হাওড়া-শেওড়াফুলি লোকাল
37212 ব্যান্ডেল-হাওড়া লোকাল
37213 ব্যান্ডেল-হাওড়া লোকাল
37215 ব্যান্ডেল-হাওড়া লোকাল
37220 ব্যান্ডেল-হাওড়া লোকাল
37222 ব্যান্ডেল-হাওড়া লোকাল
37226 ব্যান্ডেল-হাওড়া লোকাল
37741 ব্যান্ডেল-কাটোয়া লোকাল
37743 ব্যান্ডেল-কাটোয়া লোকাল
37781 ব্যান্ডেল-বর্ধমান লোকাল
37783 ব্যান্ডেল-বর্ধমান লোকাল
37785 ব্যান্ডেল-বর্ধমান লোকাল
37711 ব্যান্ডেল-পাণড়য়া লোকাল
37782 বর্ধমান-ব্যান্ডেল লোকাল
37784 বর্ধমান-ব্যান্ডেল লোকাল
37786 বর্ধমান-ব্যান্ডেল লোকাল
37812 বর্ধমান-হাওড়া (মেন লাইন) লোকাল
37042 শেওড়াফুলি-হাওড়া লোকাল
37044 শেওড়াফুলি-হাওড়া লোকাল
37046 শেওড়াফুলি-হাওড়া লোকাল
37048 শেওড়াফুলি-হাওড়া লোকাল
37050 শেওড়াফুলি-হাওড়া লোকাল
37415 শেওড়াফুলি-তারকেশ্বর লোকাল
37012 শ্রীরামপুর-হাওড়া লোকাল
37014 শ্রীরামপুর-হাওড়া লোকাল
37742 কাটোয়া-ব্যান্ডেল লোকাল
37746 কাটোয়া-ব্যান্ডেল লোকাল
37652 মেমারি-হাওড়া লোকাল
37612 পাণ্ডুয়া-হাওড়া লোকাল
37112 বেলুড় মঠ-হাওড়া লোকাল
হাওড়া-গোঘাট লাইনে বাতিল ট্রেনগুলি হল---
37371 হাওড়া-গোঘাট লোকাল
37309 হাওড়া-তারকেশ্বর লোকাল
37303 হাওড়া-সিঙ্গুর লোকাল
37311 হাওড়া-তারকেশ্বর লোকাল
37385 তারকেশ্বর-আরামবাগ লোকাল
37387 তারকেশ্বর-আরামবাগ লোকাল
37324 তারকেশ্বর-হাওড়া লোকাল
37322 তারকেশ্বর-হাওড়া লোকাল
37416 তারকেশ্বর-শেওড়াফুলি লোকাল
37386 আরামবাগ-তারকেশ্বর লোকাল
37388 আরামবাগ-তারকেশ্বর লোকাল
37372 গোঘাট-হাওড়া লোকাল
37304 সিঙ্গুর-হাওড়া লোকাল
পূর্ব রেলের CPRO কৌশিক মিত্র জানান, সাইক্লোন ডানা আসছে। সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসাবে হাওড়া ডিভিশনের বেশকিছু ট্রেন ২৫ তারিখ বাতিল করা হচ্ছে ।
হাওয়া অফিসের সর্বশেষ আপডেট বলছে, সাগরদ্বীপ থেকে সাড়ে ৩০০ কিমি দূরে রয়েছে ঘূর্ণিঝড় দানা। আজ রাত থেকে আগামিকাল ভোর পর্যন্ত ল্যান্ডফলের সম্ভাবনা। তারপর ২৬ অক্টোবরেও ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টিপাত বজায় থাকবে। ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে লাল সতর্কতা জারি করা হল।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ থেকে ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টি হতে পারে কোথাও কোথাও। আজ দক্ষিণ ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুরে প্রবল বৃষ্টির লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, ঝাড়গ্রামের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। পুরুলিয়া-সহ দক্ষিণের বাকি জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শনিবার দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামের কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
আজ থেকেই ভারী থেকে অতি ভারী, কোথাও কোথাও অত্যন্ত ভারী বৃষ্টি শুরু বাংলায়। আজ অত্যন্ত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে দুই মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার। কারণ ল্যান্ডফল এরিয়া থেকে ১৫০ কিলোমিটার এর মধ্যে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা। ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১২০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের সম্ভাবনা থাকছে এই জেলায়। এছাড়া ঝড় প্রভাব একটু বেশি পড়ার সম্ভাবনা থাকছে পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। এই জেলাগুলিতে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৯০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। পাশাপাশি পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘা উপকূল এলাকায় ১ থেকে ২ মিটার এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন উপকূলে ০.৫ থেকে ১ মিটার পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাস হওয়ারও সম্ভাবনা থাকছে।
রাতেই উপকূলে আছড়ে পড়বে সাইক্লোন দানা। ওড়িশার ধামারা, ভদ্রকের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসরত লোকজনকে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ। ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসা হচ্ছে।
দানা আছড়ে পড়ার আগে ৯ জেলার জেলাশাসককে নিয়ে জরুরি বৈঠক সারলেন মুখ্যসচিব। বিশেষ করে সমুদ্রের উপকূলবর্তী এলাকায় সমুদ্রের কাছাকাছি এলাকা থেকে মানুষকে সরিয়ে শিবিরে রাখার কাজ নিয়ে পর্যালোচনা করেন বলে জানা যাচ্ছে। যে সব জেলায় ইতিমধ্যেই কালিপুজোর মণ্ডপ তৈরি করে ফেলা হয়েছে সেগুলির বাঁধন যাতে কোনভাবে আলগা না থাকে তার দিকে বিশেষ নজর দিতে বলা হয়েছে।
সাইক্লোন 'দানা' কতটা শক্তিশালী, ঠিক কোথায় ল্যান্ডফলের সম্ভাবনা, সব লাইভ দেখুন।
ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় দানা। আজ সন্ধে ৬টা থেকে ১৫ ঘণ্টার জন্য বন্ধ থাকবে কলকাতা বিমানবন্দর। ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় দানা এখন শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিয়েছে। ইতিমধ্যেই শিয়ালদায় প্রায় ২০০ লোকাল ট্রেন বাতিল করেছে রেল। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আজ রাতেই আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় দানা।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কলকাতার একাংশে বৃষ্টি শুরু। বইছে দমকা হাওয়া।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ মধ্য রাত এবং আগামীকাল ভোরে উত্তর ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে পুরী এবং সাগরদ্বীপের মধ্যে অতিক্রম করতে পারে সাইক্লোন। ওড়িশার ভিতরকণিকা থেকে ধামারার মধ্যে আছড়ে পড়তে পারে দানা। ঝড়ের গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১০০-১১০ কিমি। সর্বোচ্চ বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১২০ কিমি।
আরও কাছে চলে এল ঘূর্ণিঝড় দানা। এই মুহূর্তে সাগরদ্বীপ থেকে ৩৭০ কিমি দূরে রয়েছে ঘূর্ণিঝড় দানা। ওড়িশার ধামারা থেকে দূরত্ব ৩১০ কিমি।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ থেকে ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টি হতে পারে কোথাও কোথাও। আজ দক্ষিণ ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুরে প্রবল বৃষ্টির লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, ঝাড়গ্রামের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। পুরুলিয়া-সহ দক্ষিণের বাকি জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শনিবার দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামের কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
বৃহস্পতিবার মাঝরাত থেকে শুক্রবার সকালের মধ্যে ল্যান্ডফল করবে সাইক্লোন 'দানা'। তা নিয়ে সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। সতর্ক রেলও। শিয়ালদা দক্ষিণ ও হাসনাবাদ শাখায় বৃহস্পতিবার রাত্রি ৮ টা থেকে শুক্রবার সকাল ১০ টা পর্যন্ত ১৯০ টা লোকাল ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। ওই সময় ওই দুই শাখায় কোনও ট্রেন চলবে না। কোন কোন ট্রেন চলবে না তার তালিকাও দিয়েছে পূর্ব রেল। তাদের তরফে জানানো হয়, শিয়ালদা-ক্যানিং সেকশনের আপ লাইনের ১৩ ও ডাউনের ১১ ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। সোনারপুর-ক্যানিং সেকশনের আপ ও ডাউনের ৭ ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। শিয়ালদা-লক্ষ্মীকান্তপুরে সেকশনের আপ ও ডাউন লাইনের ২৫ ট্রেন বাতিল হয়েছে। শিয়ালদা-বজবজ সেকশনের ২৯ ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। আপ ও ডাউন লাইনের ট্রেন আছে এর মধ্যে। শিয়ালদা-সোনারপুর সেকশনের আপ ও ডাউন লাইনেক ১১ ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। সোনারপুর-বারুইপুর সেকশনের ২ ট্রেন বাতিল হয়েছে। শিয়ালদা-বারুইপুর সেকশনের আপ ও ডাউন লাইনের ১৬ ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। শিয়ালদা-নৈহাটি সেকশনের ২ লোকাল বাতিল করা হয়েছে। লক্ষ্মীকান্তপুর-বারুইপুর সেকশনের ৩ ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। শিয়ালদা-ডায়মন্ডহারবার সেকশনের ৩০ ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। লক্ষ্মীকান্তপুর-নামখানা সেকশনের ১৯ লোকাল ট্রেন বাতিল হয়েছে।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ মধ্য রাত এবং আগামীকাল ভোরে উত্তর ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে পুরী এবং সাগরদ্বীপের মধ্যে অতিক্রম করতে পারে সাইক্লোন। ঝড়ের গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১০০-১১০ কিমি। সর্বোচ্চ বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১২০ কিমি।
বঙ্গোপসাগরে চোখরাঙাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় দানা। ইতিমধ্যেই দানা শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নিয়েছে। ক্রমেই স্থলভাগের দিকে এগোচ্ছে। বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই কলকাতা এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় আকাশের ভোলবদল। বইছে ঝোড়ো হাওয়া। কোনও কোনও এলাকায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আজ দক্ষিণবঙ্গের কোনও কোনও জেলায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে। জারি করা হয়েছে রেড অ্যালার্ট। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।