শীত এখনও জাঁকিয়ে বসেনি, তার মধ্যেই আবারও ঘূর্ণিঝড়ের ভ্রুকুটি। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ২৬ নভেম্বর আন্দামান সাগরে নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। এই সিস্টেমটি পশ্চিম এবং উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে এবং ২৭ নভেম্বরের কাছাকাছি দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং আন্দামান সাগরে একটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। তবে, এখনও পর্যন্ত কোনও ঘূর্ণিঝড়ের কোনও পূর্বাভাস নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
বঙ্গোপসাগরে নভেম্বর মাসে যদি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয় এবং সেই ঘূর্ণাবর্ত যদি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়, তা হলে সেই ঘূর্ণিঝড়টির নাম হবে 'মিগজাউম'। এই নাম দিয়েছে মায়ানমার। তবে ওই সিস্টেমের সুনির্দিষ্ট পথ বা এটি দুর্বল হয়ে পড়বে কি না তা সম্পর্কে জানতে কমপক্ষে আরও কয়েক দিন সময় লাগবে। থাইল্যান্ডের উপকূলে তৈরি হওয়া সিস্টেমটি তামিলনাড়ু উপকূলের দিকে অগ্রসর হয়েছে, তবে বাংলা, বাংলাদেশ এবং মায়ানমারের দিকে বাঁক নিতে পারে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের আধিকারিক জি কে দাস বলেন, 'সিস্টেমটি শনিবারের মধ্যে সাগরে পৌঁছনোর সম্ভাবনা রয়েছে, একটি ঘূর্ণিঝড় সঞ্চালনে পরিণত হতে পারে, সম্ভবত সোমবারের মধ্যে কলকাতা এবং এর পার্শ্ববর্তী উপকূলীয় জেলাগুলিতে বৃষ্টি ডেকে আনতে পারে।
উল্লেখ্য, এটি বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের মরশুম। অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের গঠন দেখা যায় এই অঞ্চলে। চলতি মরশুমে ইতিমধ্যেই দুটি ঘূর্ণিঝড় হামুন ও মিধিলি তৈরি হয়েছে। দুটি ঘূর্ণিঝড়ই বাংলাকে ও ওড়িশাকে বাঁচিয়ে বাংলাদেশ উপকূলের কাছে আছড়ে পড়ে।