Advertisement

Darjeeling 10 Offbeat Destination: পুজোয় বেড়ানোর প্ল্যান? নামমাত্র খরচে ঘুরে আসুন দার্জিলিঙের এই ১০ জায়গায়

পুজোর সময় ঘুরতে যেতে যে কোনও বাঙালিই ভালবাসে। এবার ঘুরে আসুন কম খরচে। বেশ কিছু জায়গা জনপ্রিয় পর্যটকদের কাছে। বিখ্যাত জায়গাগুলির চেয়ে কোনও অংশে কম নয় এই জায়গাগুলি। দু-তিনদিনের ডেস্টিনেশন হিসেবে এবং অফবিটে যারা ঘুরতে ভালবাসেন তাঁদের জন্য একদম আদর্শ এই জায়গাগুলি। 

দার্জিলিং-এর আশেপাশে ১০টি সেরা অফবিট প্লেস
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 24 Aug 2024,
  • अपडेटेड 2:54 PM IST

পুজোর সময় ঘুরতে যেতে যে কোনও বাঙালিই ভালবাসে। এবার ঘুরে আসুন কম খরচে। বেশ কিছু জায়গা জনপ্রিয় পর্যটকদের কাছে। বিখ্যাত জায়গাগুলির চেয়ে কোনও অংশে কম নয় এই জায়গাগুলি। দু-তিনদিনের ডেস্টিনেশন হিসেবে এবং অফবিটে যারা ঘুরতে ভালবাসেন তাঁদের জন্য একদম আদর্শ এই জায়গাগুলি। 

তবে এই মুহূর্তে রেলের টিকিট কাটতে চাইলে পাবেন না। সেক্ষেত্রে বাসের টিকিট কাটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। তবে ফ্লাইটে যেতে হলেও টিকিট এখনই কাটতে হবে। কারণ সময় এগিয়ে এলে টিকিটের দাম বেড়ে যায়। এবার দেখে নিন এবারের পুজোতে ঘুরতে যাওয়ার সেরা ১০ ডেস্টিনেশনের ঠিকানা থাকল এই প্রতিবেদনে।  

কোলাখাম- কালিম্পঙ জেলার ছবির মতো সুন্দর পাহাড়ি জনপদ হল কোলাখাম। নির্জন নিরিবিলিতে এই এই গ্রামে থাকতে দারুণ লাগবে। যে কোনও হোমস্টে-র বারান্দায় বসলে দেখা যাবে দিগন্ত বিস্তৃত পাহাড়। গ্রামে পাইন, ফার, ওক গাছের সারি। পাখির কলরবে এলাকা মুখর থাকে সব সময়। পর্যটকের ভিড় নেই বললেই চলে। কলাখান থেকেই বরফ ঢাকা পাহাড় দেখা যায়। গ্রামজুড়ে রয়েছে ফুলের সারি। গ্রামে রয়েছে অপূর্ব ছাঙ্গে ফলস। শিলিগুড়ি জংশন থেকে গাড়ি রিজার্ভ বা নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে গাড়ি ভাড়া করে ১১৫ কিলোমিটার দূরের এই জনপদে পৌঁছতে পারেন। শিলিগুড়ি বা নিউ জলপাইগুড়ি থেকে গাড়ি ভাড়া করে এই গ্রামে পৌঁছনো যায়। আবার কালিম্পং থেকে শেয়ারেও গাড়ি পাওয়া যায়। কাঞ্চনকন্যায় এলে প্রান্তিক স্টেশন নিউ মাল জংশন স্টেশনে নামতে পারেন। সেখান থেকে কোলাখাম যেতে পারেন। দূরত্ব প্রায় ৫২ কিলোমিটার। সেখান থেকেও যেতে পারেন।

কোলাখাম

দারাগাও- পাইনঘেরা পাহাড়ি গ্রাম। ছবির মতো কাঠবাড়ি। দুদিকের দেওয়ালেই জানলা। একদিকের জানলা খুলে উঁকি মারলেই নিচে এঁকেবেঁকে চলেছে তিস্তা। আর, অন্যদিকের জানলার বাইরে আকাশে টাঙানো কাঞ্চনজঙ্ঘা। কী ভাবছেন? স্বর্গ! স্বর্গই বটে। উত্তরবঙ্গের নতুন এই স্বর্গের নাম-দারাগাঁও। কালিম্পং থেকে উনিশ কিলোমিটার। পথে পড়বে মিলিটারি ক্যাম্প। তারপর পাইনের আলো-ছায়া ঘেরা পথ দিয়ে খানিক এগোতেই রামধুরা। রামধুরা ছাড়িয়ে সোজা রাস্তা ধরে আরো খানিকটা এগোতে হবে। মিনিট দশ পরেই এসে পড়বে দারা গাঁও। ছবির মতো গ্রাম। এখনও পর্যটকদের ভিড় তেমন বাড়েনি। ফলে, হিমালয়ের সবুজ অনেক সজীব, কুমারী এখানে। হাতে গোনা সাত-আটটা হোমস্টে। রয়েছে কমলালেবুর বাগান। শীত এলেই কমলা ধরে। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে গেলে গাছভর্তি কমলালেবু আর পাহাড় উজিয়ে আসা কমলা রঙের রোদ দেখে হয়তো ফিরতে ইচ্ছেই করবে না শহরে। পূর্ব হিমালয়ের অন্যতম সেরা ভিউ পয়েন্ট এই গ্রাম। শিলিগুড়ি থেকে বা কালিম্পং থেকে চলে যান দারাগাঁওতে। 

Advertisement
দাড়াগাঁও

মঝউলে- সিকিম সীমানার পাহাড়ি নদীর পাশের এলাকা মঝউলে। পশ্চিমবাংলায় অংশ হলেও এই গ্রামটি সিমিকি সংস্কৃতি বহন করে। আসলে মঝউলে থেকে সিকিমের রিষিখোলার দূরত্ব মাত্র চার কিলোমিটার। এখান থেকে সিকিমের সিল্ক, রুটে ট্রেক করে যেতে পারেন। হেঁটেও গ্রাম ঘুরতে পারেন। আর এখানকার দরজা সারা বছরই খোলা থাকে। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে গ্যাংটকগামী গাড়িতে মঝউলে যাওয়া যায়। এখান থেকে সিকিমের পেডং, রিষিখোলা খুব কাছে। শিলিগুড়ি থেকে গাড়ি ভাড়া করে গেলে সবচেয়ে ভাল। নইলে ভেঙে ভেঙে যেতে হবে।

মঝউলে

বিদ্দং- সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে এই উচ্চতা প্রায় তিন হাজার ফুট। পাইন, ফারের জঙ্গলে নিরিবিলিতে ছুটি কাটানোর দারুণ ডেস্টিনেশন। কালিম্পঙের গা ঘেঁষে বয়ে যাওয়া ব্রেলি নদীর তীরেই বিদ্দং গ্রাম। কালিম্পং শহর থেকে এই গ্রামের দূরত্ব মাত্র ১৫ কিলোমিটার। গ্রামকে ঘিরে রয়েছে ঘন অরণ্য। সকালে পাখির কিচির মিচির এবং রাতে পোকার গুনগুনানি ছাড়া এখানে আর কোনও শব্দ পাওয়া যায় না। এখানেও মোবাইল নেটওয়ার্ক যুব উইক। পূর্ণিমা রাতে এই গ্রাম অপরূপ পরীর দেশ হয়ে ওঠে। গ্রামের প্রচুর বাঁশঝাড় রয়েছে। নিউ জলপাইগুড়ি বা শিলিগুড়ি থেকে কালিম্পং হয়ে বছরের সব সময়ই যেতে পারেন বিদ্দং গ্রামে। কালিম্পং, লাভা, লোলেগাও, রিশপ খুব কাছেই।

বিদ্দং

লিংসে- উত্তরবঙ্গের আরেকটি অফবিট পর্যটনকেন্দ্র হল লিংসে। কালিম্পঙের কাছেই অবস্থিত এই গ্রামটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় পাঁচ হাজার ফিট উপরে অবস্থিত। এখানে ইকো ট্যুরিজমের ব্যবস্থা আছে। শহুরে জীবন থেকে পালাতে দুদণ্ড শান্তি পেতে লিংসে পালিয়ে যাওয়া যায়। লিংসে গ্রামের নাম না শুনলেও অনেকেই দুলখারকা হ্রদ চেনেন। সেখান থেকে হাঁটা পথে লিংসে গ্রাম। গ্রামে ঢোকার রাস্তাটি ফুলে ফুলে ভরা। ফুল আর অর্কিডের মাঝ দিয়ে হেঁটে যেতে হলে বিদেশী লোকেশনও পিছনে পড়ে থাকবো যেন রূপকথার রাজ্য। এখানে ধান চাষ, এলাচ চাষ হয়। শিলিগুড়ি এবং কালিম্পং থেকে গাড়ি ভাড়া করে লিংসে পৌঁছে যান।

লিংসে

লেপচাজগৎ- দার্জিলিং থেকে মাত্র ১৯ কিলোমিটার দূরত্বে রয়েছে লেপচাজগৎ। লেপচাজগতে ‘মেঘ গাভীর মতো চরে’। পাইনে ঘেরা এই পাহাড়ি জনপদে মাঝে মাঝে ঢাকা পড়ে যায় একরাশ কুয়াশায়। ঠিক সেই মুহূর্তে পাইনের জঙ্গলে দাঁড়িয়ে লেপচাজগৎকে মনে হয় মায়াবি। সঙ্গে সন্ধ্যের পরেই ঝিঁ ঝিঁর পোকার ডাক। লেপচাজগতের কোলে বসে আলোয় মোড়া দার্জিলিঙয়ের দৃশ্য বেশি মায়াবি। 

লেপচাজগৎ

দাওয়াইপানি- চুপচাপ নির্জনে প্রকৃতির রূপসুধা পানে মন হলে দাওয়াইপানি চলে যান। সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের যে রংবাহারি শোভা দেখবেন বরফাবৃত হিমালয়ের বুকে, তা সহজে ভুলতে পারবেন না। সম্প্রতি অনেকগুলি হোম স্টে তৈরি হয়েছে মূল রাস্তার গায়ে। এনজেপি বা শিলিগুড়ি থেকে কম-বেশি ৮০ কিমি দূরে দাওয়াইপানি গ্রাম। জোড়বাংলো বা ঘুম পর্যন্ত শেয়ার গাড়িতে গিয়ে বাকি পথ গাড়ি ভাড়া করে পেশক রোড হয়ে পৌঁছে যেতে পারবেন। শেয়ারের ভাড়া জনপ্রতি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা। আর পুরো গাড়ি ভাড়া করলে পড়বে ২৮০০ থেকে ৩০০০ টাকা।

Advertisement
দাওয়াইপানি

লামাহাটা- উত্তরবঙ্গের অফবিট পর্যটনকেন্দ্রগুলির মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় হল লামাহাটা। যাঁরা দার্জিলিংয়ের ভিড এড়িয়ে একটু নিরিবিলিতে সময় কাটাতে চান, তাঁদের কাছে অন্যতম পছন্দের জায়গা। সবুজ জঙ্গলে ঘেরা পাহাড়ের একদিকে খাড়া পাইনের বন, অন্যদিকে খাড়া নেমে গিয়েছে গভীর খাদ। সব মিলিয়ে এক অনন্য সৌন্দর্যের খনি লামাহাটা। ট্রেনে এনজেপি স্টেশন থেকে, বাসে এলে শিলিগুড়ির তেনজিং নোরগে বাস টার্মিনাস থেকে এবং বিমানে এলে বাগডোগরা এয়ারপোর্ট থেকে সরাসরি গাড়ি ভাড়া করে চলে আসতে আসতে পারেন। গাড়ি ভাড়া বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রেট নেওয়া হয়। তবে মোটামুটি ৩৫০০ টাকা গড়ে গাড়িভাড়া পড়বে। এছাড়াও শেয়ার গাড়ি করে লামাহাটা পৌঁছাতে পারেন। সেক্ষেত্রে ভাড়া অনেকটা কম পড়বে। এক্ষেত্রে লামাহাটা পৌঁছানোর জন্য দুটি রাস্তা আছে। একটি শিলিগুডি থেকে সেভক হয়ে তিস্তা বাজার, পেশক টি গার্ডেন ধরে লামাহাটা পৌঁছতে পারবেন। অন্য রুটে শিলিগুড়ি থেকে কাশিয়াং হয়ে সোনাদা, জোরবাংলো লামাহাটা পৌঁছতে পারবেন। শেয়ার গাড়িতে এলে সব মিলিয়ে খরচ পরবে প্রায় ৪০০-৬০০ টাকা।

লামাহাটা

তিনচুলে- সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ছয় হাজার ফুট উঁচুতে অবস্থিত এই গ্রাম রয়েছে কালিম্পংয়ের দিকে চেয়ে। আর কাঞ্চনজঙ্ঘা তো দাঁড়িয়েই রয়েছে এই গ্রামগুলিকে দেখাশোনার জন্য। এই গ্রামে যদি আপনি একবার গিয়ে পৌঁছান, তাহলে আপনার চোখে শুধু ধরা দেবে সবুজ প্রান্তর। কারণ ছোট ছোট তিনটি পাহাড় ও জঙ্গলে ঘেরা এই পাহাড়ি গ্রাম। আর তিনটি পাহাড় নাকি দেখতে অনেকটা চুল্লির মত, আর সেই কারণেই এই গ্রামের নাম তিনচুলে। অক্টোবর থেকে এপ্রিলের মধ্যে তিনচুলে যাওয়ার সবচেয়ে ভাল সময়। কারণ এই সময় আকাশ পরিষ্কার থাকে। পাহাড় এবং উপত্যকার শোভা আরও স্পষ্ট হয় এই সময়। থাকবার জন্য রয়েছে বেশ কয়েকটি হোম স্টে। ডিসেম্বর-জানুয়ারির মাথয় গেলে ক্রুষারপাতও দেখা মিললেও মিলতে পারে। যদিও তা বিরল। হাওড়া বা শিয়ালদহ থেকে উত্তরবঙ্গগামী ট্রেন ধরে শিলিগুড়ি বা নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে নামতে হবে। সেখান থেকে গাড়ি বুক করেই যেতে হবে তিনচুলে-তে। শিলিগুড়ি থেকে মাত্র ৮০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই গ্রাম।

তিনচুলে

খরচ- খরচ সব জায়গাতেই কম বেশি একই। হোমস্টের খরচ মাথাপিছু হিসেবে ধরা হয়। ১৫০০ থেকে ২৫০০ টাকা পড়ে প্রতিদিন। গাড়ি ভাড়া শিলিগুড়ি বা এনজেপি স্টেশন থেকে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা পড়বে। অক্টবোর মাসে এলাকার সৌন্দর্য অপূর্ব থাকে।মোহময়ী পাহাড়ের হাতছানিতে সাড়া দিয়ে ঘুরে আসতে পারেন এই সমস্ত জায়গায়।

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement