সাইক্লোন আসছে তাতে কী! দুর্যোগ দেখতে পর্যটকের ভিড় ঠেকাতে নাজেহাল পুলিশ। কেউ কেউ আবার দিঘা, মন্দারমনিতে বেড়াতে এসেছেন শুধু ঘূর্ণিঝড় দেখবেন বলে। প্রাণের ভয় বিন্দুমাত্র নেই। এই ধরনের মানসিকতা ইদানীং বেড়েই চলেছে। বিপর্যয়কে চাক্ষুষ দেখতে চায় মানুষ। একেই বলা হয় আঁধার পর্যটন বা ডার্ক ট্যুরিজম।
সারা বিশ্বের মানুষের বিভিন্ন ধরনের শখ রয়েছে। খাওয়া, ঘোরা তো বটেই, এখন অদ্ভুত এক শখ তৈরি হয়েছে, তা হল ডার্ক ট্যুরিজম বা আঁধার পর্যটন। আজকাল আঁধার পর্যটনে আসক্ত বহু মানুষ। মানুষের এই নতুন পছন্দকে পুঁজি করে সারা বিশ্বের পর্যটন শিল্প ব্যস্ত। মানুষের এই নতুন পছন্দকে পুঁজি করে সারা বিশ্বের পর্যটন শিল্প ব্যস্ত। অ্যাডভেঞ্চার পছন্দের মানুষের মধ্যে উন্মাদনা দেখা যাচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে আঁধার পর্যটন কী, যা নিয়ে সারা বিশ্ব উন্মাদ।
আঁধার পর্যটন কী?
আঁধার পর্যটন সেই জায়গাগুলি যেখানে এখনও ট্র্যাজেডির চিহ্ন রয়েছে। এসব স্থানে গিয়ে মানুষ যুদ্ধের ভয়াবহতা, মহাবিপর্যয়, দুঃখ-কষ্ট ও গণহত্যার চিহ্ন দেখে। এই ধরনের ধ্বংসাবশেষের মধ্যে এমন জায়গায় থাকতে এবং তার ছবি তুলতে পছন্দ করে।
ডার্ক ট্যুরিজমের উন্মাদনা রয়েছে
আমেরিকার ৮০ শতাংশ মানুষ তাদের জীবনে অন্তত একবার আঁধার পর্যটন করে। তারা সুন্দর উপত্যকার চেয়ে এই ধ্বংসাবশেষ দেখতে বেশি আগ্রহী। একই সঙ্গে এর মধ্যে ৩০ শতাংশ মানুষ ইউক্রেনে যাওয়ার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছেন।
এগুলি বিশ্বের শীর্ষ আঁধার সাইট
বিশ্বের বিখ্যাত ডার্ক ট্যুরিজম, নিউইয়র্কের গ্রাউন্ড জিরো, ইউক্রেনের চেরনোবিল, রুয়ান্ডার মুরাম্বি জেনোসাইড মেমোরিয়াল, লিথুয়ানিয়ায় কেজিবি সদর দপ্তর, জাপানের হিরোশিমা এবং কম্বোডিয়ার টুওল স্লেং জেনোসাইড মিউজিয়াম সবচেয়ে বিখ্যাত।