রামনবমীতে শোভাযাত্রায় তৃণমূলের একাধিক নেতানেত্রী। একদিকে হাওড়ায় রামনবমীর শোভাযাত্রা করলেন যাদবপুরের প্রার্থী সায়নী ঘোষ। অন্যদিকে ঘাটালে রামের পুজো দিলেন, মিছিলে হাঁটলেন দেব। দু'জনের মুখেই শোনা গেল জয় শ্রীরাম ধ্বনিও।
বুধবার সকাল ৯টা হাওড়ার মহাবীর চক হনুমান মন্দির থেকে শোভাযাত্রা শুরু হয়। সায়নী ছাড়াও ছিলেন প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, অরূপ রায় এবং মনোজ তিওয়ারিও।
এদিন শোভাযাত্রায় সায়নীকে জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিতে দেখা যায়। তিনি বলেন, 'আমরাও শোভাযাত্রা করি। কারা অস্ত্র নিয়ে মিছিল করে, বাংলার মানুষ দেখতেই পাচ্ছেন। আমরাও দুর্গাপুজোয় শোভাযাত্রা করি। কিন্তু কখনও ধুনুচির বেশি উঠতে পারলাম না।'
অন্যদিকে দেবও রামনবমীতে জনসংযোগের সুযোগ হাতছাড়া করেননি। তৃণমূলের তরফে যদিও রামনবমীর জন্য ঘাটালে আলাদা করে কোনও মিছিলের আয়োজন করা হয়নি। সেখানকার রাম অনুরাগীদের কমিটির আয়োজিত শোভাযাত্রাতেই অংশ নেন দেব। ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের হনুমানজীর মন্দির থেকে রামনবমীর শোভাযাত্রায় অংশ নেন। পরনে ছিল লাল পাঞ্জাবি, সানগ্লাস। প্রায় ৭ কিলোমিটার হেঁটে এসে ঘাটাল বাসস্ট্যান্ডের কাছে রামমন্দিরে পুজো দেন দেব। পুজো দিয়েই তাঁকে জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিতে দেখা যায়।
উল্লেখ্য, এদিন রামনবমী নিয়ে বিশেষ বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এক্স হ্যান্ডেলে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, 'শুভ রামনবমী উপলক্ষ্যে সকলকে জানাই শুভেচ্ছা। সবাইকে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানাচ্ছি। সবার মধ্যে শান্তি, সমৃদ্ধি বজায় থাকুক।'
প্রসঙ্গত, রামনবমী উপলক্ষ্যে মোট ২০০ টি শোভাযাত্রার অনুমতি চাওয়া হয়েছিল লালবাজারের কাছে। সব ক'টিরই অনুমতি দিয়েছে প্রশাসন। তবে সেই সঙ্গে বেঁধে দেওয়া হয়েছে শর্তও। কোনও মিছিলেই ২০০ জনের বেশি থাকা যাবে না বলে শর্ত দেওয়া হয়েছে।