Advertisement

মহানগরকে সুরক্ষিত রাখার পণ, পরিবার ছেড়ে রাত জাগছে কলকাতা পুলিশ

করোনার মধ্যে পুজো উদবোধনকে ঘিরে শহরের পথে নামানো হয়েছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী। বিভিন্ন জায়গায় মোতায়েন হয়েছিল বিশেষ বাহিনী। যদিও হাইকোর্টের রায়ের কিছুটা স্বস্তি পেয়েছিলেন পুলিশকর্মীরা।

কলকাতাকে সুরক্ষিত রাখতে পরিবার স্বজন ছেড়েই ডিউটি দিয়ে যাচ্ছেন কলকাতা পুলিশ
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 23 Oct 2020,
  • अपडेटेड 11:18 PM IST
  • গত সপ্তাহে কোভিড-১৯ হানায় প্রাণ কেড়েছে তিন পুলিশকর্মী
  • কলকাতাকে সুরক্ষিত রাখতে পরিবার স্বজন ছেড়েই ডিউটি দিয়ে যাচ্ছেন কলকাতা পুলিশ
  • এখনও পর্যন্ত ২ হাজার ৯২৩ জন পুলিশ আক্রান্ত হয়েছেন কোভিড হানায়

যেদিন থেকে অতিমারীতে ছেয়েছে মহানগর সেদিন থেকেই 'ফ্রন্টলাইন ওয়ারিয়ার্স' তকমা নিয়েই লড়াই চালিয়েছেন তাঁরা। গত সপ্তাহে কোভিড-১৯ হানায় প্রাণ কেড়েছে তিন পুলিশকর্মী। কিন্তু কর্তব্য থেকে টলাতে পারেনি কোনও ভাইরাসই। পুজোয় তাই কলকাতাকে সুরক্ষিত রাখতে পরিবার স্বজন ছেড়েই ডিউটি দিয়ে যাচ্ছেন কলকাতা পুলিশ। 

দুর্গাপুজো এই রাজ্যের আবেগ, সংস্কৃতি, উন্মাদনা, সবকিছু। আর সেই আনন্দকে পরিপূর্ণতা দিতে নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যায় প্রশাসন। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। করোনার মধ্যে পুজো উদবোধনকে ঘিরে শহরের পথে নামানো হয়েছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী। বিভিন্ন জায়গায় মোতায়েন হয়েছিল বিশেষ বাহিনী। যদিও হাইকোর্টের রায়ের কিছুটা স্বস্তি পেয়েছিলেন পুলিশকর্মীরা।

সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে এখনও পর্যন্ত ২ হাজার ৯২৩ জন পুলিশ আক্রান্ত হয়েছেন কোভিড হানায়। এদের মধ্যে ২ হাজার ৭০৬ জন এখনও সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তবে মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। 

এই পুজোয় বিধি আরও কড়া তাই নজরদারীও যথেষ্টভাবে প্রয়োজন। রাতে হয়ত থাকতে হবে থানায় কিংবা ব্যারেকে। তাই নিজেদের পরিবারকে আত্মীয়দের বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছেন অনেক অফিসারই। টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে দক্ষিণ পূর্ব শাখার কলকাতা পুলিশের এক অফিসার বলেন, "আমি জুন এবং জুলাই থেকে দু সপ্তাহ অন্তর বাড়ি যাওয়া বন্ধ করেছি। কিন্তু যখন বুঝলাম এখন থেকে এটাই নিউ নর্ম্যাল জীবন তখন কড়া স্বাস্থ্যবিধি মেনেই বাড়ি যাওয়া শুরু করলাম। প্যান্ডেলে নো-এন্টি কিন্তু রাস্তায় হাজার হাজার মানুষ। এই অবস্থায় ছেলে-বৌ কে শ্বশুরবাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছি।" 

তিনি বলেন, " গত মাসে ২২ জন কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। আগামী কয়েকদিন আমাকে ভিড় সামলাতে হবে। জানি না নিজেও কখন আক্রান্ত হয়ে যাব।" বেশিরভাগ পুলিশ অফিসার থানাতেই এই ক'দিন থাকবেন এমনটাই জানিয়েছেন। লক্ষ্মীপুজোর পর সকলেই করোনা পরীক্ষা করাবেন।

Advertisement

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement