দত্তপুকুরে বাজি কারখানা বিস্ফোরণে ক্রমেই বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। সোমবার আরও এক দেহ উদ্ধার হল। এখনও ছড়িয়ে-ছিটিয়ে দেহাংশ। বিস্ফোরণের তীব্রতায় গোটা এলাকা কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এখনও পর্যন্ত মোট ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা কত দাঁড়াবে, তাই নিয়ে নিশ্চিত নয় প্রশাসন। গতকাল উদ্ধার হওয়া এক ব্যক্তির হাসপাতালে মৃত্যু হয়।
চারপাশে গাঁ ঘেষে বাড়ি। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। তার মধ্যেই দত্তপুকুরের এই দোতলা বাড়িতে চলছিল বাজি তৈরির কারবার। রবিবার সকালে ভয়াবহ বিস্ফোরণে পুরো এলাকা কেঁপে ওঠে। আশেপাশের বাড়িগুলিো ভেঙে পড়ে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের চোখের সামনেই এই বেআইনি বাজি কারখানা চলছিল।
দত্তপুকুরের এই ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় মোট ৪ জনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৮৬, ৩০৪, ৩০৮, ৩৪, ৯বি দ্য এক্সপ্লোসিভ অ্যাক্ট, ২৪/২৬ ফায়ার সার্ভিস অ্যাক্টে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। বোমা বিস্ফোরণ কাণ্ডে ইতিমধ্যে প্রথম গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম শফিক আলি। নীলগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ওই ব্যক্তিকে। কেরামত আলি নামের এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে পার্টনারশিপে এই কারবার চালাত শফিক। বিস্ফোরণে নিহত কেরামত।
সূত্রের খবর, এর আগে নিম পুকুরিয়া এলাকায় একটি বাজি কারখানা চালাত কেরামত। চলতি বছরের মে মাসে এগরা বিস্ফোরণের পর প্রশাসন বেআইনি বাজি কারখানা নিয়ে কড়াকড়ি শুরু করে। সেই সময়ই গ্রেফতার করা হয় কেরামতকে। বাজির কারখানার লাইসেন্স ছিল না কেয়ামতের। কিন্তু জামিন পেতেই ফের ব্যবসা শুরু। দত্তপুকুরের মোচাপোলের এই বাজি কারখানা চালু করে কেরামত।
স্থানীয়দের দাবি, ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ৮০ মিটার দূর থেকে একটি হাত উদ্ধার হয়েছে। পাশের এক বাঁশ বাগানের থেকে একটু মুন্ডু উদ্ধা হয়। পুকুরেও দেহাংশ মিলেছে। রবিবার স্থানীয়রা ৩টি ছিন্ন হাত উদ্ধার হয়। সেগুলি নিয়ে হাসপাতালে যান এলাকাবাসী। তাঁদের দাবি, এগুলি আরও ৩ নিহতের দেহাংশ।