নির্বাচনে হিংসা প্রথা হয়ে দাঁড়িয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। গত ২০১৮-র রক্তক্ষয়ী পঞ্চায়েত নির্বাচন দেখেছে রাজ্যবাসী। ৪৮ জনের প্রাণহানি হয়। শুধু তৃণমূল নয়, বাম আমলের নির্বাচনেও বয়েছে রক্তের বন্যা। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে যাতে রাজনৈতিক হিংসামুক্ত ভোট হয়, তা নিয়ে কড়া পদক্ষেপ নিতে পারে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।
জানা যাচ্ছে, সমস্ত মুখ্য নির্বাচন অফিস থেকে সব জেলাগুলিতে নোটিস পাঠানো হয়। তাতে নির্দেশ দেওয়া হয়, পঞ্চায়েত ভোটে বিধানসভা ধরে কোথায়, কত হিংসার ঘটনা ঘটেছে, তা নিয়ে বিস্তারিত পরিসংখ্যান ও তথ্য পাঠাতে হবে নির্বাচন কমিশনকে।
রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে কলকাতা হাইকোর্টে। এর আগে ২০২৩-এর পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়েও প্রশ্ন তোলে হাইকোর্ট। ব্যালট লুঠ থেকে খেয়ে ফেলার মতো বেনজির ঘটনাও ঘটেছে। কোথাও আবার ভোট দিতেই যেতে পারেননি স্থানীয়েরা। বুথ দখলের মতো একগুচ্ছ অভিযোগ সত্ত্বেও রাজ্য কমিশন কোনও বড় পদক্ষেপ নেয়নি বলে দাবি করেছে বিরোধীরাও।
এবারের লোকসভা নির্বাচনে যাতে মানুষ সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারে তা দেখা হচ্ছে। স্পর্শকাতর বুথ থেকে যে বুথে লুঠের অভিযোগ আছে সেসমস্ত তথ্য দিতে হবে কমিশনকে। কমিশন ভোটের দিন ঘোষণার সময়ও বিশেষভাবে উল্লেখ করেছিল অবাধ ও সুষ্ঠু করার জন্য যথাসম্ভব চেষ্টা করা হচ্ছে। গত বিধানসভা নির্বাচনে সিপিএম-বিজেপির কয়েক'শ কর্মী-সমর্থকদের বাড়িছাড়া হতে হয়েছিল প্রাণভয়ে। বিজেপি বহু কর্মী-সমর্থকদের মারধর, বাড়ি ভাঙচুরের মতো ঘটনা ঘটে।
পিআইবি সূত্রে খবর, গত ২০২১-এর বিধানসভা ভোটে ছ'দফায় সিভিজিল অ্যাপের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘনের মোট প্রায় ১৯৫৮১৫টি কেস রিপোর্ট করা হয়। যার মধ্যে ১৮৪৫৬৩টি কেস নিষ্পত্তি করা হয়। এটা তো শুধু সিভিজিল অ্যাপের কেস। এছাড়া, নির্বাচন সংক্রান্ত বহু সন্ত্রাসের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। এহেন পরিস্থিতিতে লোকসভা ২০২৪ ভোটে কড়াকড়ি করতে পারে কমিশন।