ষষ্ঠ দফা নির্বাচনের আগে অপসারিত পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার। তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। জানা যাচ্ছে, নির্বাচনের সঙ্গে সম্পর্কিত নয় এমন কোনও পদে তাঁকে বদলি করা হবে। কী কারণে তাঁর বদলি?
পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকারের বদলি প্রসঙ্গে এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেন তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাতে অভিষেক দাবি করে লেখেনন, 'রবিবার বিজেপি নেতা সমিত মণ্ডলকে নগদ ৩৫ লক্ষ টাকা সমেত ধরেছে জেলা পুলিশ। ওই নেতাকে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সভামঞ্চেও দেখা গিয়েছিল। ওই জেলারই এসপিকে সোমবার বদলি করে দিল নির্বাচন কমিশন। এটিই মোদীর গ্যারান্টি। ধর্ষক এবং দুর্নীতিবাজদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল।'
আগামী ২৫ মে, ষষ্ঠ দফায় মেদিনীপুরে ভোট। তার আগে পুলিশ সুপার ধৃতিমানকে অপসারণের নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন। তাঁর পরিবর্তে কাকে আনা হচ্ছে, তার জন্য জানা যাচ্ছে রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছে তিন জনের নাম চেয়েছে কমিশন। মঙ্গলবার বেলা ১১টার মধ্যে তিনজন অফিসারের নাম পাঠাতে হবে।
এর আগে পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার পদের দায়িত্বে থাকা অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়াও, পূর্ব মেদিনীপুরের কন্টাইয়ের এসডিপিও দিবাকর দাসকেও সরানো হয়। ভূপতিনগর থানার ওসি গোপাল পাঠক এবং পটাশপুর থানার ওসি রাজ কুণ্ডুকে সরানোর নির্দেশ দেয় কমিশন। ভোট বঙ্গে মালদার হবিবপুর থানার আইসি এবং মুর্শিদাবাদের রানিতলা থানার ওসিকেও সরানোর নির্দেশ দিয়েছিল কমিশন।