সংস্কৃতের তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া চারিদিকে হইচই ফেলে দিয়েছে। দাঁত দিয়ে মাত্র ৫৬ সেকেন্ডে পাঁচটি নারকেল ছুলতে পারেন ফালাকাটা (Falakata)-এর বিশ্বজিৎ বর্মন (Biswajit Barman)। ছেলেবেলা থেকে দাঁত দিয়ে নারকেল ছাড়ানোর অভ্যেস ছিল। আর সেই শখ যে তাঁকে দুনিয়ার দরবারে জনপ্রিয় করে তুলবে, কে ভেবেছিল।
এই কৃতিত্বের জন্য ইন্টারন্যাশনাল বুক অফ রেকর্ডস ও ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস বিশ্বজিৎ বর্মন (Biswajit Barman)-কে স্বীকৃতি দিয়েছে। বিশ্বজিৎ বর্মন আলিপুরদুয়ার জেলার ফালাকাটা কলেজের সংস্কৃত অনার্সের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। তাঁর বাবা পেশায় একজন কৃষক। তাঁর মা গৃহবধূ।
ছোটবেলা থেকেই খেলার ছলে সে দাঁত দিয়ে নারকেল ছুলতো। ছোটবেলার সেই খেলাই বিশ্বজিতকে সারা বিশ্বের কাছে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে। ফালাকাটা (Falakata)-এর দক্ষিণ ডালিমপুরের বাসিন্দা বিশ্বজিৎ বর্মন (Biswajit Barman)-এর সুনাম জেলার গন্ডি ছাড়িয়ে বাইরের দেশেও ছড়িয়ে পড়েছে।
ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিশ্বজিৎ বর্মন (Biswajit Barman)-এর কাণ্ড দেখতে ডাক পড়ে। বিশ্বজিৎ জানিয়েছেন, ছোট বেলা থেকেই তিনি দাঁতের সাহায্য নারকেল ছুলতো। সেই অভ্যাস তার আজও রয়ে গিয়েছে। তবে আগের থেকে অনেক কম সময়ে অনেক বেশি নারকেল ছুলতে পারেন বিশ্বজিৎ।
বিশ্বজিতের নারকেল ছোলার এই দৃশ্যের ছবি এখন ভাইরাল। বিশ্বজিৎ বর্মন (Biswajit Barman)-এর নারকেল ছোলার দৃশ্য দেখতে তাঁর বাড়িতেও নিত্যদিন মানুষের ভিড় লেগে রয়েছে। বিশ্বজিৎ প্রথমে ১ মিনিটে তিনটি নারকেল ছুলে ইন্টারন্যাশনাল বুক অফ রেকর্ডসে নিজের নাম লিখেছে।
তারপর ৫৬ সেকেন্ডে পাচটি নারকেল ছুলে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে তার নাম তুলেছে। বিশ্বজিৎ বর্মন (Biswajit Barman) পড়াশোনাতেও যথেষ্ট মেধাবী ছাত্র। স্কুল থেকেই পড়াশোনার প্রতি তাঁর যথেষ্ট মনোযোগ।
এছাড়াও বছর একুশের এই যুবক ফুটবল, ক্রিকেট খেলাতেও সমান পারদর্শী। অবসর সময়ে বিশ্বজিত মোবাইলে নানা ধরনের গেম দেখতে অভ্যস্ত।
বিশ্বজিৎ বর্মন (Biswajit Barman) জানিয়েছেন এখন সে নিয়মিত নারকেল ছোলার প্রাকটিস করে। যাতে আরও কম সময়ে বেশি নারকেল ছোলা সম্ভব হয়।তাঁর পিসি সন্ধ্যা বর্মন জানিয়েছে, বিশ্বজিতের এই কাজে তাদের পরিবারের সবাই খুশি।
তাঁর নামডাক আরও ছরিয়ে পড়ুক এই চায় বিশ্বজিতের পরিবার। বিশ্বজিতের এই কৃতিত্বে আলিপুরদুয়ার জেলা সহ খুশি তার পরিবার এবং ফালাকাটা ব্লকের সমস্ত মানুষ।