Advertisement

জলের নীচে সংসার, আতঙ্কে কাঁপছে গোঘাট থেকে খানাকুল

সকাল থেকেই গোঘাট থেকে খানাকুলের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে নতুন করে প্লাবনের সৃষ্টি হয়েছে। বেশ কিছু এলাকায় ডিভিসির ছাড়া জল নদী দিয়ে এলাকায় উপচে পড়েছে। এলাকার মানুষজন আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। কী হবে কেউ জানে না।

প্রতীকী ছবি
Aajtak Bangla
  • গোঘাট,
  • 31 Jul 2021,
  • अपडेटेड 10:13 AM IST
  • জলের নীচে সংসার বিস্তীর্ণ এলাকায়
  • ত্রাণ নিয়ে অসম বন্টনের অভিযোগ
  • জল ছাড়া চলছেই, দামোদরে

বৃষ্টিপাত চলছেই

দক্ষিণবঙ্গের একাধিক এলাকায় বৃষ্টিপাত চলছেই। ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে বিভিন্ন জায়গা যেমন জলমগ্ন হয়েছে তেমনই নতুন করে একাধিক জায়গা জলমগ্ন হয়ে পড়ছে। জলের চাপ বাড়ছে নদীগুলিতে। সেই সঙ্গে চাপ কমাতে কোথাও জল ছেড়ে ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে, আবার কোথাও জল ছেড়ে দেওয়ার ফলে নিম্নগতিতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।

পরিস্থিতি সামাল দিতে চেষ্টা প্রশাসনের

প্রশাসনের তরফে বাড়তি সমস্য়া তৈরি হয়েছে। দুদিক রক্ষা করে কাজ করতে সমস্য়ায় পড়তে হচ্ছে। জল জমে থাকায় ত্রাণ ও উদ্ধারও অনেক জায়গায় সম্ভব হচ্ছে না। তবে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট ও জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার এবং দুর্গতদের সহায়তা করার। 

আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে মানুষ

আজও সকাল থেকেই গোঘাট থেকে খানাকুলের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে নতুন করে প্লাবনের সৃষ্টি হয়েছে। বেশ কিছু এলাকায় ডিভিসির ছাড়া জল নদী দিয়ে এলাকায় উপচে পড়েছে। এলাকার মানুষজন আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।

জল বাড়ছে, চাষের জমি জলের তলায়

যেভাবে হু হু করে জল বাড়ছে, তাতে হয়তো বড়োসড়ো বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। ইতিমধ্যেই কৃষি ক্ষেত্রে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। চাষের সবজি ও অন্যান্য ফসল জলের তলায় চলে গেছে চাষিদের মাথায় হাত পড়েছে। বহু মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন।

ত্রাণে গাফিলতির অভিযোগ

বন্যা কবলিত এলাকায় মূলত ঝাড়খন্ড, বাঁকুড়া জেলার প্রবল বর্ষণের জেরে ঐ সমস্ত শীলাবতী ও গন্ধেশ্বরী নদী দিয়ে এসে গোঘাটে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। প্রশাসনের নজরদারি থাকলেও তাও গাফিলতির অভিযোগ তুলছে সাধারণ মানুষ। প্রয়োজনের তুলনায় ত্রাণের পরিমাণ অনেকটাই কম।

পানীয় জলের সংকট

এলাকা জলমগ্ন হয়ে থাকায় ইতিমধ্যেই অনেক এলাকায় পানীয় জল সংকটের দেখা দিয়েছে। ফলে পেটের রোগ ও জলবাহিত সংক্রমণের আশঙ্কায় ভুগছে এলাকার বিস্তীর্ণ মানুষ। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে, দ্রুত বন্দোবস্ত করার। আশ্বাস তো মিলেছে। এখন দেখার প্রশাসনের পক্ষ থেকে কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

Advertisement

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement