Advertisement

পুজোয় সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা, সতর্ক রাজ্য, বেডের সংখ্যা বাড়ানোর নির্দেশ

জেলাশাসকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে এই বিষয়ে যাবতীয় নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। তিনি বলেন পুজোর পর বাংলায় বাড়তে পারে সংক্রমণের পরিমান। সেই কারণে প্রত্যেক জেলায় বাড়াতে হবে সেফ হোম ও কোভিড বেডের সংখ্যা।

প্রতীকী ছবি
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 11 Oct 2020,
  • अपडेटेड 10:47 AM IST
  • পুজোয় সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা
  • কোভিড বেড বাড়ানোর নির্দেশ
  • পুজোয় চালু থাকবে টেলি মেডিসিন

দুর্গাপুজো ঘিরে বঙ্গে বাড়তে পারে করোনা সংক্রমণ, ইতিমধ্যেই এই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে বিভিন্ন মহলে।
সেই বিষয়ে সতর্ক রাজ্য সরকারও। আর তাই পরিস্থিতি মোকাবিলায় আগাম ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ 
দিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম। পাশাপাশি
পুজোর দিনগুলিতে সতর্কতা অবলম্বনের জন্য জেলা শাসকদের ফোনে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীও। 

জেলাশাসকদের নির্দেশ

জেলাশাসকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে এই বিষয়ে যাবতীয় নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। তিনি বলেন
পুজোর পর বাংলায় বাড়তে পারে সংক্রমণের পরিমান। সেই কারণে প্রত্যেক জেলায় বাড়াতে হবে সেফ
হোম ও কোভিড বেডের সংখ্যা। নিশ্চিত করতে হবে অক্সিজেন সরবরাহ। পাশাপাশি ভেন্টিলেটর এবং
ওযুধ সরবরাহ ব্যবস্থার ওপরে আরও জোর দেওয়া হয়েছে। এছাড়া পুজো প্যান্ডেল যাতে খোলামেলা 
হয়, মণ্ডপে যাতে মাস্ক ছাড়া কেউ প্রবেশ না করেন এবং প্রতি পুজোয় স্যানিটাইজার রাখার বিষয়টিও 
নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

বেড বাড়ানোই লক্ষ্য

এবিষয়ে স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম জানান, বর্তমানে রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে সিসিইউ এবং
এইচডিইউ বেডের সংখ্যা ১,২৫০। তবে পুজোরে আগেই তা বাড়িয়ে ১,৫০০ করার করার লক্ষ্যমাত্রা 
নেওয়া হয়েছে। কোভিড বেডও বাড়ানো হবে কমপক্ষে ৫০০টি। বেড বাড়ানো হবে বালটিকুরি, চিত্তরঞ্জন 
ন্যাশানাল মেডিক্যাল কলেজ, মেডিক্যাল কলেজ ও এম আর বাঙুরে। সব জেলাতেও বাড়ানো হবে সিসিইউ 
এবং কোভিড বেডের সংখ্যা। এছাড়াও পুজোর দিনগুলিতে টেলি মেডিসিন, হাসপাতালে ভর্তির ক্ষেত্রে 
ফোনে সহায়তা ও অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা চালু থাকবে বলেই জানান স্বাস্থ্যসচিব। শনিবারের স্বাস্থ্য দফতরের 
বুলেটিন অনুযায়ী রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণের গ্রাফ ফের ঊর্ধ্বমুখী। সেক্ষেত্রে পুজোর পর যাতে পরিস্থিতি 
আরও অনবতি না হয় সে কারণেই সরকারের এই আগাম সতর্কতা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। 


 

Advertisement

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement