নিম্নচাপ ও টানা তিন দিনের বৃষ্টিতে নদীগুলিতে জলস্তর বেড়েছে। ডিভিসি থেকে অতিরিক্ত জল ছাড়ার ফলে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে হাওড়ার উদয়নারায়নপুর, আমতায়। আগামিকাল আমতায় এই জল এসে পৌঁছবে। হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়ায় বানভাসি গ্রামগুলি। সূত্রের খবর, আজ সকালে ডিভিসি থেকে প্রায় দেড় লক্ষ কিউসেক জল ছাড়ে। এর ফলে কুরচি শিবপুর, কানুপাট মনসুকা এবং সিংটি শিবানীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কমপক্ষে ১৬ টি গ্রাম ভেসে যেতে পারে।
বাংলার ঝাড়খন্ড সীমান্তে পাঞ্চেত এবং মাইথন থেকেও জল ছাড়া শুরু করেছে ডিভিসি কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি, দামোদর নদে জলস্তর বাড়ায় এবার জল ছাড়া শুরু করল দুর্গাপুর ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটা থেকে ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ জল সারছেন ২১ হাজার ২০০ কিউসেক। যদিও এই জল ছাড়ার কারণে চিন্তার কোনও কারণ নেই বলেই জানাচ্ছেন প্রশাসন। তবে জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়লে আশঙ্কা করা হচ্ছে দামোদর তীরবর্তী উপকূল এলাকা প্লাবিত হতে পারে।
মঙ্গলবার মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য বন্যা পরিস্থিতিতে কী ব্যবস্থা নিচ্ছে তা জানান। তিনি বলেন, "হাওড়ায় যাচ্ছেন প্রধান সচিব এমএসএইচএমই, বীরভূমে যাচ্ছেন প্রধান সচিব হাউসিং, পশ্চিম মেদিনীপুরে যাচ্ছেন প্রধান সচিব পাবলিক হেলথ ইঞ্জিনীয়রিং, হুগলিতে যাচ্ছেন কৃষি, পূর্ব মেদিনীপুরে যাবেন প্রধান সচিব খাদ্য, ঝাড়গ্রামে যাচ্ছেন পরিবহন সচিব, বাঁকুড়ায় শ্রম সচিব, পুরুলিয়ায় শিল্প দফতরের অন্তর্গত সচিব, পশ্চিম বর্ধমানে ব্য়াকওয়ার্ড ক্লাসেস ওয়েলফেয়ার বিভাগের সচিব ও পূর্ব বর্ধমানে যাচ্ছেন পঞ্চায়েত সচিব। রাজ্যের সকল বিশেষত, নিম্ন বঙ্গের অধিবাসীদের সতর্ক থাকার, প্রয়োজনে প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার অনুরোধ রাখা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী, মুখ্যসচিব, সিনিয়র অফিসারেরা সকলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।"
গত কয়েকদিন টানা বর্ষণের ফলে দামোদর এবং মুণ্ডেশ্বরী নদীর জল স্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। নিম্নচাপের মেঘ সরলেও বিপর্যস্ত বিনপুর ও লালগড় থানা এলাকার বাসিন্দারা। জলমগ্ন নদী তীরবর্তী কয়েকটি গ্ৰাম, অতিরিক্ত ভারী বৃষ্টির জেরে বেশ কয়েকটি বাড়িতে ফাটল ধরেছে, পুজোর মুখে নষ্ট হচ্ছে সবজি থেকে ফসল।