মুকুুল ফুটতেই ফলের আশা অনুগামীদের
২৪ ঘণ্টাও হয়নি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরে গিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা বিধায়ক মুকুল রায়। তিনি অবশ্য তৃণমূলের প্রাক্তন সর্বভারতীয় সম্পাদক ছিলেন। এদিকে তিনি বিজেপি ছাড়তেই তৃণমূল এবং বিজেপির মুকুল অনুগামীদের মধ্যে নতুন করে সাড়া পড়ে গিয়েছে।
মুকুলের বিজেপি অনুগামীরা
যাঁরা মুকুল রায়ের হাত ধরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন, সেই সমস্ত মুকুল অনুগামীরা এখন দাদার নির্দেশের অপেক্ষায়। তাঁরা এখন ধীরে চলো নীতি নিয়ে চলছেন। উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ, কয়েক হাজার মুকুল অনুগামী এবং অনুগামীর অনুগামীরা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেন। আগামী কয়েকদিনে মুকুলবাবু পুরনো দলে থিতু হলে তাঁদের অনেককে ডেকে নেবেন বলে দাবি করেছেন।
মুকুলের তৃণমূল অনুগামীরা
অন্যদিকে আবার তৃণমূলে যাঁরা মুকুল অনুগামী হিসেবে ছিলেন ২০১৭ তে মুকুলবাবু বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগে পর্যন্ত, মুকুল রায় দল ছাড়ায় তাঁদের অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছিল। অনেকেই দলের মধ্যে কোনঠাসা এবং গুপ্তচরবৃত্তি করছেন বলেও তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনছিলেন তৃণমূলের অন্য গোষ্ঠী। মুকুল রায় ফেরায় হালে পানি পেলেন তাঁরাও। প্রকাশ্যে কেউ কেউ সে কথা স্বীকারও করেছেন। তবে বেশিরভাগই নাম না প্রকাশের শর্তে জানিয়েছেন, মুকুল রায় ফেরায় দলে তাঁদের প্রতিপত্তি আবার খানিকটা ফিরবে তো বটেই। তাঁরাও এখন মুকুলদা র একটা তলব বা নির্দেশের অপেক্ষায় রয়েছেন।
বিতাড়িতদের ফেরানোর দাবি
অন্যদিকে মুকুল রায় দল ছাড়ার পরেই কোচবিহারে ১৩ জনকে বিজেপির হয়ে চরবৃত্তি করার অভিযোগে দল থেকে বিতাড়িত করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁরাও মুকুলবাবুর নির্দেশেই সে কাজ করেছিলেন কি না তা নিয়ে ফের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি উঠেছে। মুকুল রায় ফিরতে পারলে, তাঁদের ক্ষেত্রে আপত্তি কি? এই দাবি উঠতে শুরু করেছে। যদিও সমস্তটাই এত নিচু তলার রাজনীতি, যাতে রাজ্য নেতৃত্ব মাথা ঘামাবে কিনা তা স্পষ্ট নয়।
বিজেপি থেকে তৃণমূল স্টেশন
দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার সহ উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদা, দুই ২৪ পরগণা, হাওড়া, হুগলি, বর্ধমান, আসানসোল। কিছুটা দুই মেদিনীপুরে মুকুল রায়ের প্রতিপত্তি রয়েছে। সব জায়গা থেকে মুকুল রায়কে গুরু হিসেবে সামনে বসিয়ে রাজনীতি করে আসা দু'দলের নেতাকর্মীদের মধ্যেই এখন তোলপাড় শুরু হয়েছে। ফলে আগামী দিনে বিধায়ক, শীর্ষ নেতৃত্বের পাশাপাশি বিজেপি ভেঙে নিচু স্তরেও ব্যাপক দলবদল হলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। তৃণমূলের ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর, দ্রুত বিজেপি ভেঙে প্রচুর লোক তৃণমূলে আসতে চলেছেন।