Advertisement

প্রশাসন 'নিষ্ক্রিয়', শান্তিপুরে বালতি হাতে জমা জল সরাচ্ছে ছাত্রীরা

জমা জল নিষ্কাশনের কাজে কোমর বেঁধে নেমে পড়ল স্কুল-কলেজের একদল ছাত্রী। ঘটনাস্থল নদীয়ার শান্তিপুর (Santipur Nadia) ব্লকের বাগআঁচড়া বাজারপাড়া এলাকা। সেখানেই এলাকার একদল ছাত্রী বাড়ি থেকে বালতি নিয়ে গিয়ে দুদিন ধরে জমা জল নিষ্কাশনের কাজ চালাচ্ছে। কারও ভুল ত্রুটির দিকে আঙুল না তুলে, ভোরবেলা সকলে ঘুম থেকে ওঠার আগেই হাতে হাতে কয়েকশ বালতি জল তুলে ফেলে দিচ্ছে তারা। 

এই জল পেরিয়েই যাতায়াত করতে হয় মানুষকে
বিশ্বজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়
  • নদিয়া,
  • 23 Jun 2021,
  • अपडेटेड 7:34 AM IST
  • জমা জলে নাজেহাল এলাকাবাসী
  • জল নিষ্কাশনের উদ্যোগ নেই প্রশাসনের
  • শেষ পর্যন্ত হাত লাগাল ছাত্রীরা

বিগত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে জল জমেছে রাস্তায়। যার জেরে ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন এলাকাবাসী। কিন্তু তা সত্ত্বেও সেই জমে থাকা জল বের করতে উদ্যোগ নেই কারও। এবার তাই জল নিষ্কাশনের কাজে কোমর বেঁধে নেমে পড়ল স্কুল-কলেজের একদল ছাত্রী। ঘটনাস্থল নদীয়ার শান্তিপুর (Santipur Nadia) ব্লকের বাগআঁচড়া বাজারপাড়া এলাকা। সেখানেই এলাকার একদল ছাত্রী বাড়ি থেকে বালতি নিয়ে গিয়ে দুদিন ধরে জমা জল নিষ্কাশনের কাজ চালাচ্ছে। কারও ভুল ত্রুটির দিকে আঙুল না তুলে, ভোরবেলা সকলে ঘুম থেকে ওঠার আগেই হাতে হাতে কয়েকশ বালতি জল তুলে ফেলে দিচ্ছে তারা। 

জল ফেলছে ছাত্রীরা

ছাত্রীদের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাতে বাধ্য হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানও। মূলত বাগআঁচড়া-ভালুকা রোডের বাজারপাড়া এলাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই জল জমে যায়। যদিও সাম্প্রতিককালে কাঁচা থেকে পাকা রাস্তা হওয়ার পর জল নিকাশীর জন্য নর্দমা তৈরির পরিকল্পনা হয়। কিন্তু স্থানীয় কয়েকজন ব্যবসায়ীর বাধায় শেষপর্যন্ত তা আর সম্ভব হয়নি। ফলে গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে ওই রাস্তার বেশ কিছুটা এলাকা জলমগ্ন হয়ে যায়। যার জেরে প্রায় হাঁটু সমান জল পারাপার করেই চলাচল করতে বাধ্য হন এলাকার মানুষজন। কাছেই তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত বাগআঁচড়া গ্রাম পঞ্চায়েত। সেখানকার প্রধান থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত সদস্য, প্রত্যেককেই সেই জল পেরিয়ে যাতায়াত করতে হয়। একইভাবে জলের মধ্যে দিয়েই চলাচল করতে থাকে যানবাহনও। অথচ সেই জল নিষ্কাশনের উদ্যোগ দেখা যায়নি কারও মধ্যে। 

জল ফেলছে ছাত্রীরা

কিন্তু জল পেরিয়ে যাতায়াত করতে ভাল লাগেনি এলাকার ওই ছাত্রীদের। তারা প্রতিদিনই প্রাতঃভ্রমণে বের হয়। আর রোজই সেই জল পেরোতে হয়। তাই তারা সিদ্ধান্ত নেয়, প্রাতঃভ্রমণ বন্ধ রখে, জল নিষ্কাশনের কাজে হাত লাগাবে। যেমন ভাবা, তেমন কাজ। ভোরের সূর্য ওঠার আগেই ঘণ্টা দুয়েক বালতি বালতি জল তুলে নিয়ে গিয়ে পাশের একটি গর্তে ফেলার কাজ শুরু করে তারা। কিন্তু বর্ষার তো সবে শুরু, বৃষ্টি হলে তো ফের জল জমবে, তখন কী হবে? ছাত্রীরা জানাচ্ছে, যখনই জল জমতে তখনই বালতি হাতে নেমে পড়বে তারা।  

Advertisement


 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement