রবিবার শ্রীরামপুরের মাহেশের জগন্নাথ মন্দিরে ২ হাজার কণ্ঠে গীতাপাঠ। অনুষ্ঠান শুরুর আগেই তাই ঘিরে শুরু হল রাজনৈতিক চাপানউতোর। আমন্ত্রিতদের তালিকায় শুধুই শাসক দলের নেতাদের ডাকা হয়েছে। বিরোধীদের কাউকে ডাকা হয়নি। এমনই অভিযোগ বিজেপি নেতৃত্বের। তবে আয়োজকদের পাল্টা দাবি, এটি কোনও রাজনৈতিক অনুষ্ঠান নয়। সম্পূর্ণ ধর্মীয় অনুষ্ঠান। তাই এতে রাজনৈতিক কোনও পক্ষপাতিত্ব নেই। যে কেউ চাইলে এই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারেন।
মাহেশে রবিবার ২ হাজার কণ্ঠে গীতাপাঠ ও বিশ্ব শান্তি মহাযজ্ঞের আয়োজন করা হয়েছে। স্থানীয় সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এসে যজ্ঞে অংশগ্রহণ করেন। পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারও এই যজ্ঞে ইতিমধ্যেই যোগ দিয়েছেন।
জগন্নাথ মন্দির চত্বরে গীতাপাঠের জন্য বিশেষ ডেস্কে বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগামী ২৪ ডিসেম্বর ব্রিগেডে লক্ষকণ্ঠে গীতাপাঠের আয়োজন করা হয়েছে। সেদিন ব্রিগেডে যাঁরা গীতাপাঠ করবেন তাঁদের নাম নথিভুক্ত করারও ব্যবস্থা করা হয়েছে মাহেশেরই মন্দির চত্বরে। আয়োজকরা জানিয়েছেন, এর আগেই ফর্ম বিলি করা হয়েছিল। এরপর বালি থেকে বৈদ্যবাটী পর্যন্ত প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ হাজার ফর্ম জমা পড়ে বলে দাবি আয়োজকদের।
যাঁরা ২৪ ডিসেম্বর ব্রিগেডে গীতাপাঠে যাবেন, তাঁদেরও ফর্ম ফিলআপ চলছে। মন্দির চত্বরে এদিন গীতাপাঠ, যজ্ঞের অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে স্থানীয়রা ভিড় জমান।
উল্লেখ্য, ২৪ ডিসেম্বর ব্রিগেডে লক্ষ কন্ঠে গীতা পাঠের আয়োজন করছে অখিল ভারতীয় সংস্কৃত পরিষদ, সংস্কৃত সংসদ ও মতিলাল ভারত তীর্থ সেবা মিশন আশ্রম। সেদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীরও এখানে আসার কথা রয়েছে।