CV Anand Bose: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এবার আদালতের দ্বারস্থ হতে চলেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, মহিলারা তাঁর কাছে অভিযোগ করেছিলেন তাঁরা রাজভবনে যেতে ভয় পাচ্ছেন। এই বক্তব্যের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছেন রাজ্যপাল বোস। শনিবার রাজ্যপাল বলেছেন, 'মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করব।'
রাজ্যপাল এর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেছিলেন, জনপ্রতিনিধিরা "মিথ্যা এবং মানহানি" করবেন না বলে আশা করা হচ্ছে। সূত্র বলেছে, শুধু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নয়, রাজ্যপাল কিছু তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধেও মানহানির মামলা করেছেন।
মমতার এই বক্তব্যের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে দ্বারস্থ হন রাজ্যপাল
রাজ্য সচিবালয়ে একটি প্রশাসনিক বৈঠকের সময়, বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছিলেন, "মহিলারা আমাকে বলেছেন যে সেখানে সাম্প্রতিক ঘটনাগুলির কারণে তাঁরা রাজভবনে যেতে ভয় পাচ্ছেন।"
২ মে, রাজভবনের একজন চুক্তিভিত্তিক মহিলা কর্মচারী সি ভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছিলেন। এর পরে কলকাতা পুলিশও তদন্ত শুরু করেছিল। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, "দলের নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা না করে এই বিষয়ে মন্তব্য করতে পারবেন না।"
দোলা সেন বলেন, "আমাকে আমার দলের নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলতে হবে আসলে কী ঘটেছে। এটা খুবই স্পর্শকাতর বিষয়।" বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা এ প্রসঙ্গে বলেছেন, "আমি মনে করি তিনি সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁর অনেক আগেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত ছিল। আমি এর জন্য তাঁকে সম্পূর্ণ সমর্থন করি।"
সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, "রাজ্যপাল-মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংঘাতের কারণে রাজ্য অবহেলিত। মনে হচ্ছে তাঁরা তাঁদের সাংবিধানিক দায়িত্ব ভুলে গেছেন।" যা রাজ্যের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে, বলেও অভিযোগ করেন সুজন চক্রবর্তী।
প্রসঙ্গত, তৃণমূলের দুই সদ্য নির্বাচিত বিধায়ক রায়াত হোসেন সরকার এবং সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শপথ নিয়েই মূলত বিতর্ক চলছে। জটিলতা কাটাতে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি দিয়েছেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টিতে বলেন, ‘আমার বিধায়কেরা এক মাস ধরে বসে আছেন। মানুষ নির্বাচন করেছে। ওঁর কী অধিকার আছে? রাজভবনে যা কীর্তি-কেলেঙ্কারি চলছে, তাতে মেয়েরা যেতে ভয় পাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে আমাকে।’
মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের কড়া নিন্দা করা হয়েছে রাজভবনের বিবৃতিতে। বিবৃতিতে বলা হয়, গত ২১ জুন দুই সদ্য নির্বাচিত বিধায়ককে জানানো হয় যে, ২৬ জুন দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজভবনে শপথ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। তার পর ২৪ জুন রাজ্যপালকে সায়ন্তিকা জানান, বিধানসভার স্পিকারের সামনেই তিনি শপথ নিতে চান। শপথ গ্রহণ যাতে বিধানসভায় হয়, তা নিশ্চিত করার অনুরোধও করেন।