Advertisement

এই ৫ কারণে প্রতি বর্ষায় ভাসে হাওড়া-হুগলির বিস্তীর্ণ অঞ্চল

লাগাতার বৃষ্টিতে ইতিমধ্যেই জলমগ্ন হাওড়া ও হুগলির বিস্তীর্ণ অঞ্চল। এমনকী কোথাও কোথাও তো হেলিকপ্টারে করে উদ্ধারকাজ চালাতে হয়েছে। তাছাড়াও উদ্ধারকার্য চালাচ্ছে এনডিআরএফ-ও। কিন্ত কেন প্রতি বছর এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় এই সমস্ত অঞ্চলে?

জমা জলজমা জল
প্রীতম ব্যানার্জী
  • কলকাতা/মাইথন/হুগলি/হাওড়া ,
  • 05 Aug 2021,
  • अपडेटेड 5:51 PM IST
  • আরামবাগ-গোঘাট-খানাকুলে বন্যা পরিস্থিতি
  • উদয়নারায়ণপুর-আমতার ছবিটাও একইরকম
  • প্লাবনের কারণ জানালেন স্থানীয়রা

বর্ষা এলেই মনে আতঙ্ক বাসা বাঁধতে থাকে হুগলির (Hooghly) গোঘাট, আরামবাগ, খানাকুল এবং হাওড়ার (Howrah) উদয়নারায়ণপুর, আমতা সহ বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষের। কারণ বর্ষার মরশুমে প্লাবন পরিস্থিতি এখানে ফি বছরের ঘটনা। এইবছরও তার ব্যতিক্রম নেই। লাগাতার বৃষ্টিতে ইতিমধ্যেই জলমগ্ন এই সমস্ত অঞ্চল। এমনকী কোথাও কোথাও তো হেলিকপ্টারে করে উদ্ধারকাজ চালাতে হয়েছে। তাছাড়াও উদ্ধারকার্য চালাচ্ছে এনডিআরএফ-ও। কিন্ত কেন প্রতি বছর এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় এই সমস্ত অঞ্চলে?

জমা জল

এই প্রসঙ্গে গোঘাট (Goghat), আরামবাগ (Arambagh) ও খানাকুলের (Khanakul) বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, সমগ্র এই এলাকাকে ঘিরে রেখেছে মূলত ৪টি নদী। সেগুলি হল, দামোদর, মুন্ডেশ্বরী, দ্বারকেশ্বর ও রূপনারায়ণ। মুষলধারে বৃষ্টি হলে এই চারটি নদী জল প্লাবিত হয়ে পুরো এলাকাকে গ্রাস করে। তারমধ্যে ডিভিসি যদি জল ছাড়ে তাহলে এই নদীগুলির জলস্তর আরও বেড়ে যায়। ফলে পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটে। তাছাড়া প্রতিবছর নদীর বাঁধগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তা স্থায়ীভাবে মেরামত করা হয় না বলেই অভিযোগ স্থানীয়দের। পাশাপাশি এলাকার নিকাশী ব্যবস্থা নিয়েও অসন্তোষ রয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মনে। তাঁদের অভিযোগ, সঠিক নিকাশী ব্যবস্থা না থাকায় জমা জল বেরোতে পারে না। ফলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে ওঠে। 

ডিভিসির জল ছাড়া

এদিকে প্লাবন পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন উদয়নারায়ণপুর (Udaynarayanpur) ও আমতাবাসীও (Amta)। তাঁদের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে ঠিক মতো ড্রেজিং করা হয় না দামোদরে। ফলে জমে রয়েছে প্রচুর পরিমান পলি। সঙ্গে বর্ষার মরশুমে প্রচুর পরিমান জল ছাড়ে ডিভিসি-ও। কিন্তু ড্রেজিং না হওয়ায় দামোদর সেই চল ধারণ করতে পারে না। ফলে নদীর কূল ছাপিয়ে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।  

আরও পড়ুন

মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, খারিজ করল ডিভিসি

প্রসঙ্গত এই প্লাবন পরিস্থিতির জন্য ডিভিসিকে (DVC) দায়ী করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও। ডিভিসি হঠাৎ করে অনেক বেশি পরিমান জল ছাড়ার কারণেই এই পরিস্থিতি বলে অভিযোগ তাঁর। এমনকী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) কাছেও এটিকে 'ম্যান মেড বন্যা' বলে তুলে ধরেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। যদিও ডিভিসির তরফে অবশ্য এই অভিযোগ পুরোপুরি খারিজ করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে ডিভিসির মাইথন ড্যামের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর সত্যব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সম্মতি নিয়েই জল ছাড়া হয়েছে। না জানিয়ে জল ছাড়া হয়েছে এমনটা হতেই পারে না। আর সেই সমস্ত রেকর্ড তাঁর কাছে রয়েছে বলেই জানান সত্যব্রতবাবু। 

Advertisement

 

Read more!
Advertisement
Advertisement