২০২০ সালে শিলান্যাস করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অবশেষে সেই মন্দির তৈরির কাজ শেষ হওয়ার পথে। এগিয়ে আসছে অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন। ২০২৪-এর ২২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীই মন্দির উদ্বোধন করবেন। প্রাণ প্রতিষ্ঠা কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার জন্য সব ভিভিআইপি দের আমন্ত্রণ জানান হয়েছে। ২২ জানুয়ারি শুধুমাত্র যাঁরা আমন্ত্রণ পেয়েছেন তাঁরাই অযোধ্যায় প্রবেশ করতে পারবেন। তবে অভিষেক অনুষ্ঠান মিটে গেলে আপনি যেতেই পারেন রামলালা দর্শনে। ট্রেন থেকে বিমান, সব পথেই এবার অযোধ্যা পৌঁছতে পারবেন দর্শনার্থীরা। বাংলা থেকে কীভাবে সহজেই এবং কম খরচে অযোধ্যার রাম মন্দির পৌঁছানো যাবে, চলুন জেনে নেওয়া যাক।
বিমান পথে যাওয়া যাবে রাম নগরী
আগামী ৩০ ডিসেম্বর অযোধ্যার ‘মর্যাদা পুরুষোত্তম শ্রীরাম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে’র উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে সম্পূর্ণ পরিষেবা চালু হবে আগামী ৬ জানুয়ারি থেকে। ওই দিন থেকে আকাশ পথে অযোধ্যার সঙ্গে জুড়ে যাবে কলকাতা সহ দেশের প্রথমসারির সমস্ত বিমানবন্দর। সেই তালিকায় রয়েছে দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই, কলকাতা, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, আহমেদাবাদ, গোয়া। এছাড়াও অযোধ্যার নিকটতম বিমানবন্দর গোরক্ষপুর এবং আমায়ুসি। প্রথমটি অযোধ্যা থেকে ১১৮ কিলোমিটার দূরে এবং দ্বিতীয়টি ১২৫ কিলোমিটার। এই দুই বিমানবন্দরে নেমেও আপনি গাড়ি করে অযোধ্যা চলে আসতে পারেন।
ট্রেন পথেও জুড়ছে অযোধ্যা
ভারতীয় রেল অযোধ্যা রাম মন্দির দর্শনের কথা মাথায় রেখেই ভক্ত ও দর্শক বা পর্যটকদের জন্য ট্রেন চালাচ্ছে। যদিও আগে থেকেই অযোধ্যায় রেল স্টেশন ছিল। কিন্তু বর্তমানে যাত্রীর চাপ সামলে ও যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের কথা মাথায় রেখেই অযোধ্যা রেল স্টেশনকে বিশেষ করে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। তথ্য অনুযায়ী, দেশের বড় শহর যেমন মুম্বাই, দিল্লি, বেঙ্গালুরু, কলকাতা, আহমেদাবাদ, চেন্নাই, নাগপুর, পুনে থেকে অযোধ্যায় বিশেষ ট্রেন চালানো হতে পারে। অযোধ্যা রেলস্টেশনে যাত্রীদের চাপ কমাতে অযোধ্যা ক্যান্ট ও দর্শননগর রেলস্টেশনে ট্রেন থামানো হতে পারে। ট্রেনে চেপে রামমন্দির দর্শনে যেতে গেলে নামতে হবে অযোধ্যা অথবা ফৈজাবাদ জংশনে। কলকাতার ভক্তরা হাওড়া থেকে দুন এক্সপ্রেসে চেপে সহজেই পৌঁছতে পারেন অযোধ্যায়। কলকাতা রেলস্টেশন থেকে জম্মু তাওয়াই এক্সপ্রেসও ধরতে পারেন। এছাড়াও আসানসোল থেকে আসানসোল-গন্ডা এক্সপ্রেস ধরা যেতে পারে। এই ট্রেনটিতে করে সরাসরি পৌঁছানো যেতে পারে অযোধ্যা রেলওয়ে স্টেশন।
সড়কপথেও যাওয়ার সুবিধা
সড়কপথে লখনউ থেকে অযোধ্যার দূরত্ব ১৩০ কিলোমিটার। বারাণসী থেকে ২০০ কিলোমিটার, এলাহাবাদ থেকে ১৬০ কিলোমিটার, গোরক্ষপুর থেকে ১৪০ কিলোমিটার এবং দিল্লি থেকে সড়কপথে অযোধ্যার দূরত্ব ৬৩৬ কিলোমিটার। যদি কেউ নিজের পার্সোনাল গাড়ি নিয়ে অযোধ্যার রাম মন্দির যেতে চান তাহলে তিনি স্বাধীনভাবে নিজের সময় মত যেতে পারবেন তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। এক্ষেত্রে কলকাতা থেকে আসানসোল, ধানবাদ হয়ে অযোধ্যার রাম মন্দির পৌঁছানো যাবে। মোট যাত্রাপথ ৮৯৪ কিলোমিটার। সময় লাগবে মোটামুটি ১৯ ঘন্টা। কলকাতা থেকে গাড়িতে করে আরও একটি রুট রয়েছে যাওয়ার জন্য। সেটি হল খড়গপুর, রাঁচি, বারাণসী হয়ে অযোধ্যার রাম মন্দির। তবে এই পথ দিয়ে যদি কেউ যান সে ক্ষেত্রে তাকে অনেক বেশি পথ অতিক্রম করতে হবে। মোট যাত্রাপথ বেড়ে দাঁড়াবে ১০৫৭ কিলোমিটার। যাত্রাপথ বেড়ে যাওয়ার ফলে সময়ও অনেক বেশি লাগবে। আগের রুটের তুলনায় অন্ততপক্ষে পাঁচ ঘন্টা বেশি সময় লাগবে অর্থাৎ সময় লাগবে ২৪ ঘন্টা।