Advertisement

Bankra Child Murder: সত্‍ বাবার হাতেই খুন, বাঁকড়ার নিখোঁজ শিশুর রহস্য ফাঁস

বাঁকড়ার নিখোঁজ শিশুর রহস্যমৃত্যুর পর্দা অবশেষে ফাঁস হল। ব্যক্তিগত স্বার্থ সিদ্ধির জন্যই শেখ সাহিল নামে শিশুটিকে খুন করেছিল তারই সৎ বাবা উমেশ দ্বিবেদী। তদন্তে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসার পরই গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত সৎ বাবা উমেশকে।

প্রতীকী ছবি
বৈদ্য়নাথ ঝা
  • বাঁকড়া,
  • 02 Feb 2022,
  • अपडेटेड 1:14 PM IST
  • বাঁকড়ার নিখোঁজ শিশুর রহস্যমৃত্যুর পর্দা অবশেষে ফাঁস হল
  • ব্যক্তিগত স্বার্থ সিদ্ধির জন্যই খুন
  • তদন্তে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে

বাঁকড়ার নিখোঁজ শিশুর রহস্যমৃত্যুর পর্দা অবশেষে ফাঁস হল। ব্যক্তিগত স্বার্থ সিদ্ধির জন্যই শেখ সাহিল নামে শিশুটিকে খুন করেছিল তারই সৎ বাবা উমেশ দ্বিবেদী। তদন্তে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসার পরই গ্রেফতার করা হয়েছে  অভিযুক্ত সৎ বাবা উমেশকে। ডোমজুড় থানার পুলিশের তরফে উমেশকে বুধবার হাওড়া আদালতে তোলা হবে।

কেন খুন হতে হল শিশুটিকে?
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর ছয়েক আগে টিকিয়াপাড়ার এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয় বাঁকড়ার নিউ মণ্ডলপাড়ার বাসিন্দা আমিনা বেগমের। সেই পক্ষেরই সন্তান সাহিল। কিন্তু বছর তিনেক আগে ওই যুবকের সঙ্গে আমিনার বিচ্ছেদ হয়ে যায়। সন্তানের দায়ভার বহন করার প্রয়োজনীয় অর্থ রোজগারের জন্য এরপর আমিনা পাড়ি দেয়  মুম্বাইয়ে। সেখানেই একটি কাপড়ের কারখানায় কাজ করার সময় পরিচয় হয় বিহারের বাসিন্দা উমেশ দ্বিবেদীর সঙ্গে। ধীরে ধীরে তার সঙ্গেই প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে আমিনা বেগমের। পরবর্তীকালে তারা ফিরে আসে হাওড়ায়। টিকিয়াপাড়ায় বেশ কিছুদিন থাকার পর ভাড়া নিয়ে চলে যায় বাঁকড়া এলাকায়। স্থানীয় এলাকাতেই রাজমিস্ত্রির ছোটখাটো কাজ করতে শুরু করে উমেশ। যদিও তার নিয়মিত রোজগারে অনীহা ছিল বলেই অভিযোগ। দীর্ঘদিন তাদের মেলামেশার পর মেয়েটির পরিবার থেকে উমেশকে বিয়ের জন্য চাপ দেওয়া হতে থাকে। সেই থেকেই শুরু দুজনের মধ্যে অশান্তি। কিন্তু বাচ্চা সমেত আমিনার সঙ্গে বিয়ে দিতে রাজি ছিল না উমেশের পরিবার। তাই প্রেমিকাকে বিয়ে করতে উমেষের কাছে ওই সন্তান ছিল একমাত্র বাধা। তাই সমস্যা মেটাতে সেই শিশুটিকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করে অভিযুক্ত। 

কীভাবে খুন কর হল?
মা আমিনা গত পরশু দিল্লির একটি খেলনা কারখানায় কাজ করতে চলে যাওয়ার পর উমেশ বাচ্চাটিকে তার মামার বাড়ি নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকেই অপহরণ করে খুন করে টিকিয়াপাড়ায় ভূগর্ভস্থ পার্কিংয়ের জমা জলে ফেলে আসে। এদিকে, সন্দেহের তীর যাতে তার দিকে না যায় সেজন্য নিখোঁজ পোস্টার তৈরি করে এলাকায় বিলি করা শুরু করে নিজেই। নিখোঁজ ডায়েরি করতে চলে যায় ডোমজুড় থানায়। কিন্তু সেখানেই তাঁর বক্তব্যে অসঙ্গতি লক্ষ্য করেন তদন্তকারীরা। এরপর তদন্তের জন্য তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়। সূত্রের খবর পুলিশের কাছে সে স্বীকারও করেছে সাহিলকে খুনের কথা। এর পরই পুলিশ উমেশ দ্বিবেদীকে গ্রেফতার করে। 

Advertisement

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement