Nabanna Abhijan Protest: বেলা ১২টা পর্যন্তও পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত ছিল। কিন্তু কোথাও যেন একটা টানটান উত্তেজনার পরিস্থিতি ছিল। অনেকটা গ্রীষ্মের কালবৈশাখীর ঠিক আগে যেমন একটা থমথমে পরিবেশ তৈরি হয়। হাওড়া ব্রিজ থেকে বড়বাজারের দিকে যাওয়া রাস্তায় বিশাল ব্যারিকেড দিয়েছিল পুলিশ। বাস-গাড়ি চলাচল বন্ধ। পায়ে হেঁটেই কর্মস্থলের দিকে যাচ্ছেন নিত্যযাত্রীরা।
হঠাৎ উঠল ঝড়। হাওড়া ব্রিজের(Howrah Bridge) বড়বাজারের দিকের ব্যারিকেডে বিক্ষোভকারীরা ধাক্কা দিতে শুরু করতেই পাল্টা নিয়ন্ত্রণে এগিয়ে এলেন পুলিশকর্মীরা। আন্দোলনকারীদের ধাক্কায় অ্যালুমিনিয়াম ব্যারিকে়ড ভেঙে পড়তেই চালানো হল জলকামান। ফাটানো হল টিয়ার গ্যাসের শেল। আর তারপরেই যেন আগুনে ঘি পড়ল। আরও উত্তেজিত হয়ে মারমুখী হয়ে উঠল বিক্ষোভকারীরা।
রীতিমতো ইট ছুঁড়তে শুরু করল তারা। ততক্ষণে ব্যারিকেড সম্পূর্ণ ভেঙে রাস্তায় ফেলে দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা।
এদিকে হাওড়া ময়দানের দিকেও অল্প সময়ের মধ্যে পরিস্থিতি রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে। এদিকে পুলিশকেও বাঁশ, ঢিল ছুঁড়তে শুরু করে আন্দোলনকারীরা। পরিস্থিতি এমনই দাঁড়ায় যে, কিছু স্থানে পুলিশকে রীতিমতো ঘিরে ধরে আক্রমণ করতে শুরু করে বিক্ষোভকারীরা।
এমনই পরিস্থিতিতে মাথা ফেটে যায় আইসি চণ্ডীতলা সঞ্জীব গঙ্গোপাধ্যায়ের। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
ফরশোর রোডের দিকের দুই দিকে ব্যারিকেড দিয়েছিল পুলিশ। বিক্ষোভকারীরা একপ্রান্তের ব্যারিকেড ভেঙে দেয়। তুঙ্গে ওঠে পুলিশ-বিক্ষোভকারী খণ্ডযুদ্ধ। পুলিশ লাঠিচার্জ, টিয়ার গ্যাস, জলকামানের মাধ্যমে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে।
এরপর অপর ব্যারিকেডও উপড়ে ফেলতে শুরু করে আন্দোলনকারীরা।
এমজি রোডে ক্রমাগত পুলিশের উপর ইটবৃষ্টি শুরু করে আন্দোলনকারীরা। এদিকে পুলিশ টিয়ারগ্যাস ছুঁড়তে শুরু করে। সব মিলিয়ে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় হাওড়া ব্রিজ সংলগ্ন এলাকা।