Howrah-Siliguri Bande Bharat Express: এবার হাওড়া থেকে শিলিগুড়ি রুটেও চালু হচ্ছে অত্যাধুনিক বন্দে-ভারত এক্সপ্রেস। আর এই ট্রেনের সুযোগ সুবিধা নিয়ে ইতিমধ্যেই উচ্ছ্বসিত কেন্দ্রীয় সরকার থেকে রেল। যাত্রীদের যাঁরা ট্রেনে চেপেছেন, তাঁরা জানেন এই ট্রেন মানেই দুর্দান্ত ভ্রমণের অভিজ্ঞতা। গোটা দেশেই বিভিন্ন রুটে একাধিক বন্দে-ভারত এক্সপ্রেস চালু হয়ে গিয়েছে। আরও ট্রেন চালু হচ্ছে। তার মধ্যে উত্তরবঙ্গগামী ট্রেন চালু হলে পর্যটন হবে আরও বেশি আকর্ষণীয়।
৩৬০ ডিগ্রি ঘোরে আসন
এই ট্রেনের বৈশিষ্ট্য বা অভিনবত্ব হল, এর কোনও আলাদা ইঞ্জিন নেই। অত্যাধুনিক এই রেকে যাত্রীদের আসনগুলি ৩৬০ ডিগ্রি ঘোরানো যায়। অর্থাৎ ইচ্ছে করলে বনবন করে ঘুরে যেতে পারবেন। এছাড়া ট্রেনটিতে সব সময় পাবেন ওয়াইফাইয়ের সুবিধাও। এছাড়া খাওয়া দাওয়া থেকে অন্যান্য সুবিধা সবই মিলবে টপ কোয়ালিটির। বিশেষ প্যান্ট্রি কারও রয়েছে। রেস্তোরাঁর মতো খানা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি রয়েছে রেলের।
সর্বোচ্চ গতি কত?
সেই বন্দে ভারতই এবার পেতে চলেছে হাওড়া। দেশের দ্রুততম ট্রেন এবার ছুটবে হাওড়া স্টেশন থেকে। রেলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল, আগামী বছর থেকে হাওড়া-শিলিগুড়ি রুটে চলবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস । এই ট্রেনের গতি থাকবে ঘণ্টায় সর্বনিম্ন ১০০ কিলোমিটার। সর্বোচ্চ প্রায় ১৬০ কিলোমিটার। তামিলনাড়ুর চেন্নাইয়ে ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরিতে তৈরি হচ্ছে এই রেক বলে জানা গিয়েছে।
কবে থেকে চলবে?
আগামী বছরের শুরু দিক থেকেই চালু হচ্ছে হাওড়া-শিলিগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। অর্থাৎ ২০২৩ এই মিলবে বন্দে-ভারত এক্সপ্রেসের যাত্রা। ইস্টার্ন রেলের তরফে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। স্বাধীনতার ৭৫ বছর উপলক্ষে দেশের ৭৫টি রুটে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল। তার মধ্যে একটি রুট জুড়ছে হাওড়ার সঙ্গে। রেল জানিয়েছে, এই ট্রেনের জন্য হাওড়ার দিকে বিশেষ ট্র্যাক তৈরির কাজ শেষ। শিলিগুড়ির দিকে কিছুটা কাজ বাকি আছে।
গতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেশি ভাড়া
বন্দে-ভারত এক্সপ্রেসের গতি যেমন বেশি, তেমন ভাড়াও অনেকটাই বেশি। দিল্লি ও বারাণসীর মধ্যে এই ট্রেনের চেয়ারকারের ভাড়া ১৭৯৫ টাকা। যা শতাব্দী এক্সপ্রেসের প্রায় দেড় গুণ। আর এক্সজিগিউটিভ ক্লাসের ভাড়া প্রায় ৩৫২০ টাকা। যা ওই যে কোনও প্রিমিয়াম ট্রেনের এসি কামরার ভাড়ার চেয়ে অনেকটাই বেশি।
খাবার কেমন মিলবে?
তবে এই ভাড়ার মধ্যে পাবেন উচ্চমানের খাবার বলে রেলের প্রতিশ্রুতি। রেলের দেওয়া হিসাব অনুসারে, এগজিকিউটিভ ক্লাসে সকালের চা, ব্রেকফাস্ট ও লাঞ্চের জন্য ভাড়ার মধ্যে ধরা যাত্রীদের কাছ থেকে ধরা হয়েছে ৩৯৯ টাকা। চেয়ারকারের যাত্রীদের খাবারের জন্য খরচ হচ্ছে ৩৪৪ টাকা।