ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার দম্পতির মৃতদেহ। ঘটনার জেরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল হাওড়ার চ্যাটার্জিহাট থানার অন্তর্গত ২২/২ নন্দলাল মুখার্জি লেনে। মৃতদের নাম গৌতম মাইতি ও মৌসুমী মাইতি। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, দুই মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন গৌতম মাইতি। রবিবার সকালে গৌতমবাবুর দুই মেয়ে আঁকার ক্লাসে গিয়েছিল। ফিরে এসে অনেক ডাকাডাকির পরেও কেউ দরজা খোলেনি। তারপর তারা পাড়া প্রতিবেশীদের ডেকে আনে। প্রতিবেশীরাও ডাকাডাকির পর কোনও সাড়া পাননি। এরপর খবর দেওয়া হয় থানায়। পুলিশ গিয়ে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে দেখে মাটিতে চাদর ঢাকা অবস্থায় পড়ে রয়েছে মৌসুমী মাইতির দেহ। আর গৌতমবাবুর দেহ ঝুলছে সিলিং থেকে।
এই বিষয়ে মৃত দম্পতির বড় মেয়ে মৌরুসী মাইতি জানাচ্ছে, তার মা ফেসবুক করতেন, যা নিয়ে তীব্র আপত্তি ছিল বাবার। তাই নিয়ে প্রায়শই অশান্তিও হত তাঁদের বাবা-মায়ের মধ্যে। মৌরুসীর এই কথার সূত্র ধরেই পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, এদিনও হয়তো অশান্তি শুরু হয় দম্পতির মধ্যে। তারপরেই হয়তো স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী হন গৌতমবাবু। এতিমধ্যেই দেহদুটি ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন পুলিশ আধিকারিকরা।