Advertisement

করোনা ও লকডাউনের জের, বিপাকে জলপাইগুড়ির ভাস্কর শিল্পীরা

করোনা ও লকডাউনের জেরে রীতিমতো বিপাকে পড়েছেন জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) বাগরাকোট অঞ্চলের চা-বাগানের (Tea Garden) ভাস্কর শিল্পীরা। এলাকার এক শিল্পী জানাচ্ছেন, ২০২০ সালের শুরুতে ভাল কাজ হয়েছিল। ভেবেছিলেন নিজের স্টুডিও বানাবেন। কিন্তু মাঝে করোনার দাপট শুরু হওয়ায় কার্যত সব ওলটপালট হয়ে গিয়েছে।

শিল্পীদের তৈরি মূর্তি
রাজেন প্রধান
  • জলপাইগুড়ি,
  • 01 Jun 2021,
  • अपडेटेड 4:30 PM IST
  • দীর্ঘ লকডাউনের জেরে সমস্যা
  • প্রায় রোজগারহীন জলপাইগুড়ির শিল্পীরা
  • সরকারের তরফে সাহায্য মেলেনি বলে দাবি

গতবছর থেকে করোনা (Corona) ও সেই সংক্রান্ত লকডাউনের (Lockdown) প্রভাব পড়তে দেখা গিয়েছে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে। কর্মহীন হয়েছেন বহু মানুষ। চাহিদা কমে যাওয়া ও পরিবহণ ব্যবস্থা বন্ধ থাকার জন্য ব্যাপক সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়েছে ব্যাবসায়ীদেরও। আর সেই সবের প্রভাব পড়েছে দেশের অর্থনীতিতে। করোনার সেই প্রথম ঢেউয়ের ধাক্কা সামলাতে না সামলাতেই চলে এসেছে দ্বিতীয় ঢেউ। এবারেও দেশের বিভিন্ন রাজ্য হেঁটেছে লকডাউনের পথে। প্রায় লকডাউন জারি রয়েছে বাংলাতেও। ফলে এবারেও তার প্রভাব পড়তে দেখা গিয়েছে মানুষের রোজগারে। এমনকী রেহাই পাননি ভাস্কর শিল্পীরাও। 

করোনা ও লকডাউনের জেরে রীতিমতো বিপাকে পড়েছেন জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) বাগরাকোট অঞ্চলের চা-বাগানের (Tea Garden) ভাস্কর শিল্পীরা। এলাকার এক শিল্পী জানাচ্ছেন, ২০২০ সালের শুরুতে ভাল কাজ হয়েছিল। ভেবেছিলেন নিজের স্টুডিও বানাবেন। কিন্তু মাঝে করোনার দাপট শুরু হওয়ায় কার্যত সব ওলটপালট হয়ে গিয়েছে। লকডাউনে পরিবহণ ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় কাজের জন্য প্রয়োজনীয় রাসায়নিক বা অন্যান্য উপকরণ পাওয়া যায়নি। আবার এই সমস্ত কাজের বরাত দেয় যে সমস্ত সংগঠন বা রাজনৈতিক দল তারাও লকডাউনের ফলে সমস্যায় পড়ছে। যার জেরে বিপাকে পড়তে হয়েছে শিল্পীদেরও। এমনকী সামাজিক দূরত্ব বিধি লাগু থাকায় যে কাজগুলো ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে সেগুলির পেমেন্ট পাওয়া বা ডেলিভারি দেওয়ার ক্ষেত্রেও অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন শিল্পীরা।

এই অবস্থায় সরকারে তরফেও কোনওরকমের সহযোগিতায় মেলেনি বলে জানাচ্ছেন চা-বাগানের ওইসব ভাস্কর শিল্পীরা। আর শুধু শিল্পীরাই নয়, এই কাজের সঙ্গে যুক্ত আরও বহু মানুষ একই সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। এক্ষেত্রে কেউ কেউ তো ইতিমধ্যে শিল্পকর্ম ছেড়ে উপার্জনের অন্যকোনও উপায় খুঁজে বের করার বিষয়েও চিন্তাভাবনা শুরু করে দিয়েছেন। এখন দেখার শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় চা-বাগানের ওইসব ভাস্কর শিল্পীদের ভবিষ্যৎ। 

Advertisement


 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement