শুভেন্দুবাবুর মতো জননেতাকে সম্মান না দিলে তৃণমূল বাংলাকে কীভাবে সম্মান দেবে? দলে এলে স্বাগত জানাব বললেন ভারতী ঘোষ। এর আগে অনেকটা একই কথা জানিয়েছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়।
আরও এক বিজেপি নেতার মুখে রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর প্রশংসা। তিনি দলে এলে বিজেপি তাকে স্বাগত জানাবে বলে জানান হল। বুধবার বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষের মুখে শুভেন্দু অধিকারীর প্রশংসা শোনা গেল। সম্মান দেওয়ার কথাও জানালেন তিনি ৷
এদিন বিকেলে ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইলে 'গণতন্ত্র বাঁচাও' শীর্ষক সভাতে ভূয়সী প্রশংসা শোনা গেল ৷ তিনি বলেন, শুভেন্দুবাবুর মতো জননেতাকে সম্মান না দিলে তৃণমূল বাংলাকে কীভাবে সম্মান দেবে। তিনি দলে এলে স্বাগত জানাব ৷
সাঁকরাইল থানার অন্তর্গত কালরুই গ্রামে ভারতী ঘোষ একটি সভাতে হাজির হয়েছিলেন ৷ সেখানে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। এই সভা মঞ্চ থেকেই ভারতী ঘোষের হাত ধরে একশোর বেশি স্থানীয় মানুষজন বিজেপিতে যোগদান করেন ৷ সভাতে জঙ্গলমহলের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অজস্র মানুষ উপস্থিত হয়েছিলেন ৷
সভা শেষে নন্দীগ্রামে রাজ্যের দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও শুভেন্দু অধিকারীর সভা নিয়ে মন্তব্য করেন ভারতী ঘোষ ৷ সেখানে ফিরহাদ-সহ তৃণমূলের বিরুদ্ধে কটাক্ষ করলেও শুভেন্দু অধিকারীর প্রতি বিশেষ সম্মান দিতে দেখা গিয়েছে ৷ তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা করার ক্ষেত্রে শুভেন্দু অধিকারীর মদত রয়েছে বলে ভারতী ঘোষ দাবি করে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন ৷ রাজনৈতিক মহলের বলে, শুভেন্দুর কারণেই ভারতী ঘোষের সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। তবে সে সব এখন অতীত। এবার অন্য সুর শোনা গেল ভারতী ঘোষের মুখেই ৷
এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ভারতী ঘোষ বলেন- "ববি হাকিম যেখানে সভা করেছিলেন, সেখানে ১৪৭ জন লোক হয়েছিল। আমি জানি না আমি ঠিক বলছি কিনা। তবে ওটাকে ঠিক সভা বলা যায় না ৷ ওটাকে আমরা চা-য়ে পে চর্চা বলি৷ শুভেন্দুবাবু যেটা করেছেন সেটা জনসভা ৷ উনি একজন জননেতা। জনসভা করে উনি ওনার মনের কথাগুলো জানিয়েছেন ৷ বাংলার মানুষ পরিষ্কার বুঝতে পেরেছেন, শুভেন্দুবাবুর মতো জননেতাকে যদি তৃণমূল সম্মান না করে, যিনি তৃণমূলের একজন প্রাথমিক সদস্য হিসেবে পরিচিত, তাকে যদি সম্মান না করে, তাহলে সেই তৃণমূল সরকার বাংলার মানুষকে কী দেবে আর বাংলার মানুষকে কী সম্মান করবে?"
ভারতী ঘোষের হুঁশিয়ারি, আমি এখানে দাঁড়িয়ে বলে যাচ্ছি এখানে বিজেপির সরকার হবে ৷ তৃণমূলের সরকারকে দুরবীন নিয়ে খুঁজে পাওয়া যাবে না ৷ এই অবস্থায় বিজেপিতে যদি অন্য দল থেকে যদি নেতারা আসেন, তাঁদের অভ্যর্থনা জানাব ৷ কোনও অসুবিধা নেই, আমরা একসঙ্গে কাজ করে মানুষকে ভাল একটা প্রশাসন দিতে পারব ৷ সেটাই আমাদের লক্ষ্য ৷"