হেলিকপ্টার বিতর্কে আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সোমবার হলদিয়ায় সাংবাদিকদের অভিষেক বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছি। অভিযোগের পর কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাই হাইকোর্টের দারস্থ হবেন তিনি। অন্যদিকে, বিজেপিকে আক্রমণ শানান মমতাও।
অভিষেক বলেন, "কপ্টারে তল্লাশি চালিয়ে কিছু পায়নি। তল্লাশিতে কিছু না পেয়ে ট্রায়াল রানের অনুমতি দেয়নি। কপ্টারে তল্লাশি চালাক না, অসুবিধা নেই। ১০ পয়সাও পাওয়া যায়নি। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ ওরা প্রকাশ করে দেখাক না। ফোন ছিনিয়ে ভিডিও ডিলিট করেছে, আমার নিরাপত্তারক্ষীদের ধমকানো-চমকানো দেওয়া হয়েছে। এটি ক্রিমিনাল অফেনস। এটা করতে পারেন না। এটি আইনত ভুল। বিজেপি নেতার গাড়ি থেকে ১০ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে। আমরা নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছি। অভিযোগের পর কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। নির্বাচন কমিশন বিজেপির তল্পিবাহক হিসেবে কাজ করছে। আমরা হাইকোর্টে দারস্থ হচ্ছি। যা পরিস্থিতি ২০২১ সালে বিজেপির হয়েছিল তার থেকেও খারাপ হবে।"
অভিষেকের হেলিকপ্টারে আয়কর হানা নিয়ে বিজেপিকে তোপ দাগেন মমতাও। এদিন কোচবিহারের সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "সবার দুয়ারে সিবিআই, ইডি, এনআইএ, ইনকাম ট্যাক্স পাঠিয়ে দিচ্ছেন। অভিষেকের কাল একটা মিটিংয়ে যাওয়ার কথা ছিল। হেলিপ্যাডে চলে গিয়ে ইনকাম ট্যাক্স বাবুরা... হেলিকপ্টারে নাকি সোনা আর টাকা নিয়ে আসছে। আমরা এটা করি না। এটা বিজেপিরা করে। ওরা বিএসএফ, সিআইএসএফের হাতে আনে, ওরা প্লেনে আনে। কোনওদিন কোনও পুলিশের সাহস হয়েছে তাদের চ্যালেঞ্জ করার। আমরা এসব নিয়ে ঘুরি না। আমরা একটা সিস্টেমে চলি। যখন কিছু থাকবে না মায়ের কাছে আঁচল পাতব। মাগো একটা টাকা দাও, একটা নোট, একটা ভোট। দরকার হলে ভাই-বোন, যুব প্রজন্মকে এগিয়ে এসো, দেশকে বাঁচাও। মোদী খা লেগা।"
প্রসঙ্গত, রবিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হেলিকপ্টারে আয়কর হানা দেয়। তৃণমূল সূত্রে খবর, আয়কর দফতরের আধিকারিকেরা ওই কপ্টারে তল্লাশি অভিযান চালানোর সময় অভিষেকের নিরাপত্তারক্ষীদের ভিতরে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। তার পরে কপ্টারের ভিতরে রাখা ব্যাগ খুলে দেখেন আয়কর আধিকারিকেরা। কিন্তু হেলিকপ্টারের ভিতরে কিছু পাওয়া যায়নি। ওই কপ্টারে হলদিয়া যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। সোমবার কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর হেলিকপ্টারেও আয়কর হানা দেয়।