Rajeev Kumar DG West Bengal: আইপিএস রাজীব কুমারকে ফের পশ্চিমবঙ্গের ডিজিপি পদে নিয়োগ করা হল। তাঁকে লোকসভা নির্বাচনের আগে সরিয় দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। বর্তমান ডিজিপি সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়কে বদলি করে ডিজি (ফায়ার) হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে।
লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্য পুলিশের ডিজি পদ থেকে রাজীব কুমারকে সরানো হয়েছিল। ভোট সংক্রান্ত কোনও কাজে থাকতে পারবেন না রাজীব, এমনই নির্দেশের পর সরতে হয় তাঁকে।
এর আগে কলকাতার পুলিশ কমিশনার ছিলেন রাজীব। সারদা কেলেঙ্কারির তদন্তে রাজীবকে তলব করেছিল সিবিআই। যা ঘিরে সরগরম হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। সম্প্রতি সন্দেশখালির ঘটনায় রাজীবের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন বিরোধীরা। ভোটের তারিখ ঘোষণার পরই তাঁকে ডিজিপি পদ থেকে সরানো হয়েছিল।
এর আগে বারবার বিতর্কে নাম জড়িয়েছে রাজীবের। সারদা গ্রুপের আর্থিক কেলেঙ্কারি মামলায় একসময় গ্রেফতার করা হয়েছিল তৃণমূলের বর্তমান মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে। এই মামলার তদন্তেই কলকাতায় রাজীব কুমারের বাড়িতে অভিযান চালায় সিবিআই। সেই সময় কলকাতার পুলিশ কমিশনার ছিলেন রাজীব। এর প্রতিবাদে ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলে ধর্নায় বসেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। যা ঘিরে সেই সময় তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। পরে রাজীবকে জিজ্ঞাসাবাদও করে সিবিআই। কুণাল এবং রাজীবকে মুখোমুখি বসিয়েও জেরা করা হয়।
এরপর যখন রাজীবকে ডিজি পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়, সেই সময় রাজীব সম্পর্কে মন্তব্য করে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। রাজীব কুমারকে দক্ষ পুলিশ অফিসার বলেও শুভেচ্ছাও জানান। তারপরই কুণাল বলেন, 'আমার মতো কোনও নির্দোষকে কারও নির্দেশে বলি দিতে দেবেন না। তাহলে ভগবান ভাল করেন না।' তারপরই বিতর্ক শুরু হয়।
পরে অবশ্য লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে বিজেপি সহ বিরোধীরা তৃণমূলের হয়ে কাজ করছেন বলে অভিযোগ তোলেন। রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও রাজীবের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ আনেন। ভোট প্রক্রিয়া মিটতেই, ফের তাঁকে ডিজিপি পদে ফিরিয়ে আনা হল।