Jaynagar Child Murder Case Updates: জয়নগরের ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন RG Kar-এর নির্যাতিতার মা-বাবা
জয়নগরের ঘটনা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিলেন আরজি করের নির্যাতিতা চিকিৎসকের মা-বাবা। তাঁরা বললেন, 'রাজ্য সরকার বা পুলিশ প্রশাসন যে আরজিকরের ঘটনা থেকে যে কোন শিক্ষা নেয়নি- এটা তারই জ্বলন্ত উদাহরণ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতই বড়াই করে বলুন না কেন, নারী সুরক্ষা যে আজ বিঘ্নিত হচ্ছে, এই ঘটনাই প্রত্যক্ষ প্রমাণ।'
জয়নগরে 'ধর্ষণ-খুন', বড় সিদ্ধান্ত 'মেয়ের বাবা' সুকান্তের
উৎসবে শামিল হচ্ছেন না বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি জানান,'দেবীপক্ষে স্বস্তির নয়। অভয়ার বিচার এখনও হয়নি। তাঁর বিচারের দাবিতে মন ভারাক্রান্ত। দুর্বৃত্তদের বাঁচানোর চেষ্টা হয়েছে। মমতার বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর মানুষ রুষ্ট। জয়নগরে যেভাবে নাবালিকার উপরে নির্যাতন করা হয়েছে, তার প্রতিবাদে মেয়ের বাবা হিসেবে ঠিক করেছি মণ্ডপে যাব। কিন্তু পুজো উদ্বোধন করব না'।
মুখোমুখি বচসা অগ্নিমিত্রা-প্রতিমার
নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে শনিবার সকাল থেকেই উত্তাল জয়নগর। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। শনিবার দুপুরে হাসপাতালের সামনে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল সাংসদ প্রতিমা এবং বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা। 'পুলিশ কেন নিষ্ক্রিয়? আপনাকে জবাব দিতে হবে দিদি,' প্রতিমার উদ্দেশে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন অগ্নিমিত্রা। অন্যদিকে হাত জোড় করে তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করেন প্রতিমা। এরপর অগ্নিমিত্রা আরও বলতে থাকেন, 'আপনি এখানকার সাংসদ। আপনি অভিভাবক। আপনাকে জবাব দিতে হবে।' প্রতিমার উদ্দেশ্যে 'গো ব্যাক' স্লোগান দিতে থাকেন বিজেপি কর্মীরা।
এদিকে প্রতিমা পরে পাল্টা বলেন, 'এটাই ওঁদের শিক্ষা। আমি কাউকে কিছু বলিনি। কিন্তু ওঁরা শেখাচ্ছে, আমার শাড়ি খুলে দেওয়া হোক। এতে আমি ভয় পাই না।'
পোস্ট সুকান্ত মজুমদারের
' মহিলাদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ,' প্রশাসনের তুলোধনা করে পোস্ট সুকান্ত মজুমদারের
স্তম্ভিত! শিহরিত! কুলতলী থানা এলাকার কৃপাখালী এলাকায় টিউশন পড়ে ফেরার পথে বলপূর্বক তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে নৃশংসভাবে খুন করা হলো চতুর্থ শ্রেণীর একজন নাবালিকা ছাত্রীকে। পরে নদীর চর থেকে গ্রামবাসীরা উদ্ধার করলেন ছোট্ট মেয়েটির নিথর দেহ। মহিলাদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ বাংলার… pic.twitter.com/AlSsWh48lY
Jaynagar Child Murder Case: অভিযুক্ত যুবকের স্বীকারোক্তি
অভিযুক্ত যুবক পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে যে, সে নাবালিকাকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে। গত দু'দিন ধরে আইসক্রিম ৯ বছরের শিশুটির সঙ্গে ভাব জমানোর ভান করে সে। এরপর গতকাল সন্ধ্যায় সে তার সাইকেলে মেয়েটিকে লিফট দেয়। সেই সময়ই তাকে কোনও অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।
গতকাল রাত ৮টার দিকে পরিবারের পক্ষ থেকে নাবালিকার অপহরণের অভিযোগ দায়ের করা হয়। রাত ২টো নাগাদ পুলিশ অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেফতার করে। খুনের পর যেখানে অভিযুক্ত দেহ ফেলে রেখেছিল সেখানে সে পুলিশকে নিয়ে যায়।
তদন্ত রিপোর্ট তৈরি হচ্ছে।
ফাঁড়িতে ভাঙচুর, বাইরে আগুন
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জয়নগর কার্যত অগ্নিগর্ভ চেহারা নেয়। প্রতিবাদীদের একাংশ ফাঁড়িতে গিয়ে বিক্ষোভ, ভাঙচুর শুরু করে। ফাঁড়ির বাইরে রাস্তায় আগুনও জ্বালানো হয়।
লাঠি নিয়ে বিক্ষোভ-ভাঙচুর
শনিবার বাড়ি থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে একটি জলাজমি থেকে শিশুর দেহ উদ্ধার হয়। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে ১৯ বছরের এক যুবককে আটক করা হয়।
তবে গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে(Jaynagar protests)। বাড়ি থেকে এত কাছেই যখন এই ঘটনা ঘটেছে, তখন পুলিশ তৎপর হলে আগেই এটি রুখে দেওয়া যেত বলে দাবি করেন তাঁরা। লাঠি নিয়ে রাস্তায় নেমে সকাল থেকেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয়রা।
'নিখোঁজের অভিযোগে আমল দেয়নি পুলিশ,' দাবি স্থানীয়দের
স্থানীয়দের একাংশ শিশুর দেহ উদ্ধারের পর থেকেই বিক্ষোভ শুরু করেন। বলা হচ্ছে, শুক্রবার টিউশন থেকে ফেরার সময় পেরিয়ে গেলেও শিশুটি ফেরেনি। এদিকে রাত বাড়তে থাকে। এরপরেই শিশুর পরিবার মহিষমারি পুলিশ ফাঁড়িতে যায়। অভিযোগ, সেখানে তাঁদের সেভাবে গুরুত্ব দেয়নি পুলিশ। দ্রুত পদক্ষেপ করা হয়নি, দাবি বিক্ষোভকারীদের। গ্রামবাসীদের দাবি, সঠিক সময়ে পুলিশ পদক্ষেপ নিলে এই ঘটনা এড়ানো যেত।
অভিযুক্ত ধর্ষণের কথা স্বীকার করেনি
জয়নগরের ঘটনায় অভিযুক্তকে শুক্রবার রাতেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বারুইপুর পুলিশ জেলার সুপার পলাশচন্দ্র ঢালি জানিয়েছেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে খুনের কথা স্বীকার করেছে অভিযুক্ত যুবক। তবে ধর্ষণের অভিযোগ যুবক স্বীকার করেনি। ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।