নাবালিকার মৃত্যুর ঘটনায় শনিবার থেকেই তপ্ত জয়নগর। রবিবারও তার আঁচ পাওয়া গেল। বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে রবিবার রাস্তায় নামলেন জয়নগরের মহিষমারি এলাকার বাসিন্দারা। পথে দেখা যায় মহিলাদেরও। দোষীর শাস্তির দাবিতে পথে নামেন তাঁরা। মিছিল থেকে মহিলারা জানান, আগে যদি পুলিশ পদক্ষেপ করত তাহলে নাবালিকার মৃত্যু হত না।
আরজি কর আবহে রাজ্য তোলপাড়। তার মধ্যেই জয়নগরে নাবালিকার মৃত্যু। রবিবারই নাবালিকার দেহের ময়নাতদন্ত করা হবে বলে খবর। এদিকে এই ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে কুলতলি থানা ঘেরাও করবে বিজেপি। বিকেলে বামেদের কর্মসূচিও রয়েছে। শুধু তাই নয়, আরজি কর কাণ্ডের সিনিয়র জাক্তারদের প্রতিনিধি দল ও যাবে জয়নগরে। বাম ও বিজেপির কর্মসূচি নিয়ে আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে প্রশাসন। জয়নগরের একাধিক জায়গাতে বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট। মোতায়েন করা হয়েছে বেশি সংখ্যক পুলিশ কর্মী।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার বিকেলে মহিষমারিতে পড়তে গিয়েছিল ক্লাস ফোরের ওই ছাত্রী। তারপর আর সে বাড়ি ফেরেনি। পরিবারের অভিযোগ, ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে নাবালিকাকে। রাতে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি পুকুর থেকে নাবালিকার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এদিকে সিসিটিভি দেখে শনিবার ভোররাতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যদিও পরিবারের দাবি, তাঁরা প্রথমে অভিযোগ জানাতে গেলেও পুলিশ গুরুত্ব দেয়নি। স্থানীয় ফাঁড়ির তরফে বলা হয়, থানায় যেতে। যদি সেই সময় গুরুত্ব দেওয়া হত তাহলে এমন ঘটনা ঘটত না। নাবালিকাকে বাঁচানো যেত। গ্রামবাসীর এও অভিযোগ, স্থানীয় একটি দোকানে সিসিটিভি ছিল। পুলিশ আগে থেকে তৎপর হয়ে যদি সেই ফুটেজ খতিয়ে দেখত তাহলে আগেই অভিযুক্তকে শনাক্ত করা যেত। কিন্তু পুলিশ সেই সময় কোনও পদক্ষেপ করেনি।
শনিবার সকাল থেকে জয়নগরে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। কুলতলির রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান এলাকার মানুষজন পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টিও করা হয় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের পক্ষ থেকে টিয়ার গ্যাস ছোরা হয়। বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে আটক করে পুলিশ। যদিও পুলিশের দাবি, অভিযুক্ত জেরায় খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছে।