Junior Doctors: জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি মানল না রাজ্য সরকার। 'খোলা মনে' আলোচনা অর্থাৎ চিকিৎসকদের দাবি ৩০ জন প্রতিনিধি ও সংবাদমাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচারে সায় দিল না সরকার। যে কারণে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন তাঁরা।
এদিন আন্দোলনরত চিকিৎসকদের সাংবাদিক বৈঠকে তাঁরা বলেন, "এই মুহূর্তে প্রশাসনের তরফে কোনও সদর্থক ভূমিকা নেই। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন এটা জেদ নয়, সমাজের সমস্ত শুভ বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের অধিকার।" এ-ও বলেন, "আমরা চাইছি অপরাধীর শাস্তি। এই দাবি যদি কারও জেদ মনে হয়, কিছু বলার নেই। জেদ বলে আমাদের আন্দোলনকে ছোট করা হচ্ছে।"
স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের 'চিকিৎসকরা রাজনীতি করছে' মন্তব্যে তাঁদের দাবি, 'মাননীয়া বলেছেন আমরা রাজনীতি করছি। আমরা রোদ-ঝড়-জল নিয়ে বসে আছি। আমরাও দ্রুত আন্দোলনে ফিরতে চাই। এতে কোনও রাজনীতি ছিল না। যারা এর মধ্যে রাজনীতি দেখছেন, তারাই আসলে রাজনীতি করছেন। কাল আমাদের জানানো হয়নি মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী সাড়ে ৭টা পর্যন্ত অপেক্ষা করেছেন। এরপর আজ আবার আমরা মেইল করেছি।"
ভোর ৩টে ৪৫-এ মেল করায় প্রশ্ন তুলেছেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তার উত্তরে চিকিৎসকেরা বলেন, "আমরা আশা করেছিলাম সরকার থেকে দাবিগুলিতে মান্যতা দেবেন এবং দ্রুত কাজে ফিরে যাব। আমাদের কারও ইচ্ছে নেই রাস্তায় বসে থাকার। কিন্তু এখনও অবধি পেলাম না।"
তাঁরা আরও প্রশ্ন তোলেন, "কেন এমন পরিস্থিতি হবে যে শিক্ষানবীশ কর্মবিরতি করলে স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়ে? ৯ তারিখে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে তাদের সুরক্ষা ব্যবস্থা দিলে হাসপাতালে ফেরাতে হবে। কিন্তু সরকারের তরফ থেকে কোনও পদক্ষেপ দেখতে পাইনি।"
তাঁরা আরও বলেন, "খোলামেলা আলোচনা করতে চেয়েছিলাম আমরাও। তাই আমরা লাইভ ভিডিওতে আলোচনা চেয়েছি, যাতে ৩০ জন উপস্থিত থাকবে। আমাদের বোনের সঙ্গে এই ঘটনার পরও খোলা মনে আলোচনা করতে চেয়েছি।"
আজ ডিসি নর্থকে সিবিআইয়ের তলব প্রসঙ্গে তাঁদের দাবি, সিবিআইয়ের তদন্তের দিকে তাকিয়ে আছি। দ্রুত এর বিচার হোক। পাশাপাশি, এও বলেন, এই ৩২ দিন আমরা অবস্থান, মিছিল করছি তার মধ্যেও খোলা মনে আলোচনা হোক চেয়েছি। মিডিয়ার সামনে আলোচনা হোক চেয়েছি। সেটা নিয়েও দর কষাকষি চলছে।