Advertisement

Year Ender 2022 : নড়িয়ে দিয়েছেন নিয়োগ দুর্নীতির ভিত, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্যগুলি...

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির বিচার প্রক্রিয়ার সঙ্গে যে মানুষটির নাম ওতোপ্রতোভাবে জড়িয়ে, বা বলা ভাল যাঁর বিভিন্ন নির্দেশ ও পর্যবেক্ষণ দুর্নীতির পাহাড়ের সেই ভিতকে গোড়া থেকে নড়িয়ে দিয়েছে, তিনি কলকাতা হাইকোর্টের (High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। শুনানি চলাকালিন তাঁর বিভিন্ন মন্তব্য বারেবাবছরের শেষে একবার ফিরে দেখা যাক, তাঁর তেমনই কিছু মন্তব্য। 

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ কিছু মন্তব্য
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 21 Dec 2022,
  • अपडेटेड 8:14 PM IST
  • শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে তোলপাড় রাজ্য
  • বিচার প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ে
  • ফিরে দেখ বিচারপতির কিছু মন্তব্য

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি ইস্যুতে বিগত কয়েক মাস ধরেই তোলপাড় গোটা রাজ্য। আর সেই দুর্নীতির বিচার প্রক্রিয়ার সঙ্গে যে মানুষটির নাম ওতোপ্রতোভাবে জড়িয়ে, বা বলা ভাল যাঁর বিভিন্ন নির্দেশ ও পর্যবেক্ষণ দুর্নীতির পাহাড়ের সেই ভিতকে গোড়া থেকে নড়িয়ে দিয়েছে, তিনি কলকাতা হাইকোর্টের (High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। শুনানি চলাকালিন তাঁর বিভিন্ন মন্তব্য বারেবারেই উঠে এসেছে সংবাদ শিরোনামে। বছরের শেষে একবার ফিরে দেখা যাক, তাঁর তেমনই কিছু মন্তব্য। 

'উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি নয়' - এসএসসি (SSC) দুর্নীতি মামলায় একবার রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee) বিকেল সাড়ে ৫টার মধ্যে সিবিআই দফতরে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। একইসঙ্গে বিচারপতি নির্দেশ দেন, "সিবিআই হাজিরা এড়াতে পার্থবাবু কোনওভাবেই এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে যেতে পারবেন না। প্রয়োজন হলে তাঁকে গ্রেফতার পর্যন্ত করতে পারেন সিবিআই অফিসাররা।"

'দুর্নীতির দায় মাথায় নিয়ে পদত্যাগ করা উচিত' - এই মামলায় আরও একবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে বলতে শোনা যায়,''যাবতীয় দুর্নীতি সামনে আসার পর তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী ও বর্তমানে যে পদেই থাকুন সেই ব্যাক্তিকে সমস্ত পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া উচিত। আবার এই দুর্নীতির দায় মাথায় নিয়ে তাঁরও পদত্যাগ করা উচিত।''

'সুবীরেশকে আমার নাম বলুন' - নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ভুয়ো সুপারিশপত্র দেওয়ার অভিযোগ ওঠে এসএসসির বিরুদ্ধে। যে সময় এই ঘটনা ঘটে, সেই সময় এসএসসি-র চেয়ারম্যান ছিলেন সুবীরেশ ভট্টাচার্য (Subiresh Bhattacharya)। তদন্তে গ্রেফতার করা হয় তাঁকেও। তবে সম্প্রতি জেরায় তিনি সহযোগিতা করছেন না বলে অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি আদালতে জানানো হলে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তদন্তকারী সংস্থাকে বলেন, 'সুবীরেশকে গিয়ে আমার নাম বলুন। যদি তিনি সহযোগিতা না করেন তো ফের তাঁকে হেফাজতে নিন'।

Advertisement

'বড় ইঁদুর এবার জলে উঠবে' - সম্প্রতি এসএসসি-র নবম-দশম শ্রেণির নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ভুয়ো শিক্ষকদের তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করার নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই বিষয়ে শুনানি চলাকালীন একদিন তিনি মন্তব্য করেন, ''আমার বিশ্বাস বড় ইঁদুর এবার জলে উঠবে।'' 

'ঢাকি সমেত বিসর্জন' - কিছুদিন আগে প্রাথমিক শিক্ষক (Primary Teacher) নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নতুন অভিযোগ দায়ের হওয়ায় চরম ক্ষোভপ্রকাশ করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি বলেন, "আমি যত দুর্নীতি সরানোর চেষ্টা করছি, তত নতুন নতুন অভিযোগ আসছে। এভাবে চলতে থাকতে ২০১৬ সালের গোটা প্যানেলটাই বাতিল করে দেব। ঢাকি সমেত বিসর্জন দিয়ে দেব"। তবে তাঁর এই মন্তব্যের জন্য প্রশ্ন ওঠে কোনও কোনওমহলে। প্রশ্ন ওঠে, তবে কি ঢাকির পেশা নিয়ে কোনও অবমাননাকর মন্তব্য করলেন বিচারপতি? এমনকী তিনি কোনও নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে উদ্দেশ্য করে এই মন্তব্য করেছেন কিনা, সেই প্রশ্নও ঘুরপাক খেতে শুরু করে। রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের তরফেও বিচারপতির এই মন্তব্যের প্রতিবাদ করা হয়। যার জেরে পরে নিজের মন্তব্য প্রত্যাহার করে নেন বিচারপতি। তিনি বলেন, "আমি কোনও পেশা বা ব্যক্তিকে উদ্দেশ করে এই কথা বলিনি। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আমার সুসম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু এব্যাপারে সংবাদমাধ্যমে যা প্রচারিত হচ্ছে তার সবটা ঠিক নয়"।

আরও পড়ুন - ফের চোখ রাঙাচ্ছে করোনা, সতর্ক থাকা ও কমিটি গড়ার নির্দেশ মমতার

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement