Jyotipriya Mallick: চাকদহে (Chakdah) গ্রামবাসীর ক্ষোভের মুখে পড়লেন রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick)। করজোড়ে চাইতে হল ক্ষমা। যাবতীয় ক্ষোভ এলাকার উপপ্রধানকে ঘিরে। উপপ্রধান সকলের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন, এই অভিযোগ মন্ত্রীকে জানান তাঁরা। বৃহস্পতিবার নদিয়ার (Nadia) চাকদহে 'দিদির সুরক্ষা কবচ' (Didir Suraksha Kawach) কর্মসূচিতে গিয়েছিলেন বনমন্ত্রী। গ্রামবাসীরা উপপ্রধানের নামে অভিযোগ তুলতেই হাতজোড় করে ক্ষমা চান তিনি।
কী ঘটেছিল?
বৃহস্পতিবার চাকদহের সহিসপুরে যান মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়। তিনি আসায় গাড়ি নিয়ে উপস্থিত হন ঘেঁটুগাছির উপপ্রধান পরেশ ঘোষ। সেই মুহূর্তে গাড়ি দাড় করিয়ে তাঁরা নিজেদের দাবি-দাওয়ার কথা বলতে যান। গ্রামবাসীদের অভিযোগ,'নানা কাজে পঞ্চায়েতে গেলে উপপ্রধান সকলের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন।এদিন ও গালিগালাজ করেন।' ঘেঁটুগাছির উপপ্রধান অবশ্য দাবি করেন,'ওরা আমার গাড়ি আটকায়। আমি ওদের কোনও খারাপ কথা বলিনি।'
গ্রামবাসীদের উত্তেজনা দেখে গাড়ি থেকে নেমে আসেন জ্যোতিপ্রিয়। অভিযোগ, চিৎকারে ফেটে পড়েন গ্রামবাসীরা। তাঁদের শান্ত করার চেষ্টা করা হয়। আধঘণ্টা পরিস্থিতি উত্তেজনাময় হয়ে থাকে। তাদের সমস্ত সুরাহার ব্যবস্থা করার কথা জানালে গ্রামবাসীরা রাস্তা ছেড়ে দেন। হাতজোড় করে ক্ষমা চান মন্ত্রী। এরপর গাড়িতে উঠে রওনা দেন তিনি।
এদিনের ঘটনায় চাকদহের বিজেপি বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ কটাক্ষ করে বলেন, "গত ১১ বছরে তৃণমূলের নেতা, প্রধানদের যা ঔদ্ধত্য হয়েছে, তাতে ওদের মন্ত্রীদের ক্ষমা চাওয়ারই কথা।”
গত কয়েক দিন ধরেই, জনসভা করতে এসে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে কুণাল ঘোষকে। পাঁশকুড়ায় ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় কুণাল ঘোষকে। রাস্তার কাজ হচ্ছে না বলে গ্রামবাসীরা দাবি করেন।
এলাকার পঞ্চায়েত প্রধানদের নিয়ে ক্ষোভ বিভিন্ন পঞ্চায়েত স্তরের গ্রামবাসীরই। তাদের সাহায্য পান না, কাজ হয় না, রয়েছে একাধিক অভিযোগ। আবাস প্রকল্প নিয়ে ইতিমধ্যে অভিযোগের পাহাড় জমেছে। এর ওপর ছোট ছোট সমস্যারও সুরাহা করেন না প্রধান,উপপ্রধানরা অভিযোগ একাধিক গ্রামবাসীর।