আরজি কর কাণ্ডে প্রথমবার 'বাংলা ডট আজতক ডট ইনে' মুখ খুললেন কবীর সুমন। চলতি বছরের শুরুর দিকে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল। সুস্থ্য হওয়ার পর বাড়িতেই বিশ্রামে রয়েছেন। কোনও মঞ্চে তাঁকে দেখা যায়নি। কোনও বিষয়ে মন্তব্যও করেননি। তবে এবার এই ঘটনায় তিনি মন্তব্য করলেন। চিকিৎসক-ছাত্রীর ধর্ষণ ও নারকীয় খুনের ঘটনায় ফোনে সুমন বললেন, 'বিভৎস ঘটনা। অসম্ভব কষ্ট দিয়ে মারা হয়েছে। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তাঁদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদেরও শাস্তি হওয়া উচিত।'
পাশাপাশি কবীর সুমনের বক্তব্য, বিষয়টি নিয়ে ঘোলা জলে মাছ ধরার চেষ্টা করছে কিছু রাজনৈতিক দল। তাঁর কথায়, 'নোংরা ও কদাকার রাজনীতি হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীকে যে ভাষায় অপমান করা হচ্ছে, তা মেনে নেওয়া যায় না। মুখ্যমন্ত্রীও একজন মহিলা। আমরা মুখ্যমন্ত্রীকে না-ই চাইতে পারি। কিন্তু তাঁকে ওইভাবে অপমান বা গালাগাল দিতে পারি না। এটা একদম উচিত নয়। একজন মহিলার যেভাবে সম্মানহানি ও অপমান করা হচ্ছে, তা ভাবা যায় না।'
উল্লেখ্য, ২ অক্টোবর বাংলা খেয়ালের অনুষ্ঠান করার কথা রয়েছে জনপ্রিয় এই শিল্পীর। কিন্তু পরিস্থিতির কথা ভেবে তিনি তা না করার কথা ভেবেছিলেন। কিন্তু উদ্যোক্তারা তাঁকে ছাড়ছেন না। সুমন বললেন, 'গুঞ্জন নামে একটি ছেলে এই আয়োজন করে। ওরা বলছে, বছরে একটিবারই আপনার অনুষ্ঠান হয়। এই অনুষ্ঠান বাতিল করবেন না। শ্রোতার অপেক্ষা করে থাকে সারাবছর।'
অনুরাগীদের কাছে কবীর সুমন এখনও সঙ্গীতের নদীতে বহমান সুর-স্রোতের মতো। বর্তমানে বাংলা খেয়াল নিয়ে কাজ করছেন তিনি। সঙ্গীতশিল্পী সুমন একটা সময় প্রত্যক্ষ রাজনীতিতেও এসেছিলেন। তৃণমূলের হয়ে যাদবপুর থেকে লোকসভার সাংসদ হন তিনি। যদিও পরবর্তী কালে তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব কিছুটা বেড়েছিল। পরে তা মিটেও যায়। পরে আর কোনও নির্বাচনে প্রার্থী হননি তিনি। এখন নিজেকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘সমর্থক’ বলে থাকেন সুমন।