নির্বাচনী আবহে তৃণমূলত্যাগীদের মধ্যে 'হেভিওয়েট' শুভেন্দু অধিকারী ও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে ফের জনসভা থেকে কটাক্ষ করলেন তৃণমূল সাংসদ তথা আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দু-রাজীবের 'ভাইপো হটাও' এবং 'পরিবারতন্ত্র' অভিযোগের বিরুদ্ধে একই খোঁচায় বিদ্ধ করলেন দুই নেতাকে। বাবা এবং কাকার কোটায় রাজনীতিতে এসেছেন দুই রাজনীতিক, কটাক্ষ কল্যাণের।
হাওড়ার জগৎবল্লভপুরের শিয়ালডাঙায় এক জনসভায় শুভেন্দুকে বাবার কোটায় আর রাজীব বন্দোপাধ্যায় কে কাকার কোটায় রাজনৈতিক নেতা বলে তোপ দাগেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ। এমনকী শুভেন্দু 'পান্তা খায় না, কাজু খায়' বলেও কটাক্ষ করেন তিনি। শিশির অধিকারি-পুত্রের 'মাটির মানুষ' ইমেজকে ভেঙে ফেলতেই এই ভাষায় আঘাত হানেন কল্যাণ, মত রাজনৈতিক মহলের।
যদিও একাংশের অভিযোগ বিজেপিতে যোগদান করা শুভেন্দু অধিকারি এবং রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণের সময় কল্যাণের ভাষার ভঙ্গি সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে। এদিন জনসভা থেকে কদর্য ভঙ্গিতে তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ থেকে শুরু করে লকেট চট্টোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন। তৃণমূল কর্মীদের চাঙ্গা করতে মঞ্চের মধ্যেই হাত পা ছুঁড়ে "করে খা, দে বেচে দে"-ইত্যাদি স্লোগান তোলেন। যা রাজনীতির সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
শুভেন্দুকে নিশানা করে কল্যাণ বলেন, 'জিততে তৃণমূলকে লাগে। আর এখন নিজেকে জননেতা বলছেন। আমি বলছি পদ্ম পিষে দিয়েই জোড়া ফুল ফুটিয়ে দেবো। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দু অধিকারিকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করেননি তাই গোঁসা হয়েছে।"
অন্যদিকে, কল্যাণগড় শ্রীরামপুরে জনসভা করতে এসে সম্প্রতি তৃণমূল সাংসদকে ‘মাতব্বর’ বলে কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু। শিশির-পুত্রের কথায়, "তৃণমূল শ্রীরামপুর এলাকায় মাতব্বরকে নামিয়েছে। খুব বড় বড় কথা বলছিল। আমার পরিবারকে নিয়ে কথা বলছিল। কিন্তু আমার সমাজ-সংস্কৃতি আমাকে কুকুরের পায়ে কামড়াতে শেখায়নি। এই বাহাদুর নেতাকে বলি, শ্রীরামপুরে হেরেছেন না জিতেছেন? রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় না জেতালে আপনি তো হেরে গেছেন শ্রীরামপুর থেকে। সেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এখন বেসুরো হয়ে গেছেন। যাঁর মেরুদণ্ড একটু সোজা তাঁরা কেউই এই দলে থাকতে পারবেন না।’’