Madan Mitra on Soham Chakraborty: বিধায়ক সোহমের রেস্তোরাঁ মালিককে চড় মারার বিতর্কে সরগরম রাজনীতি। নিউটাউনের এক রেস্তোরাঁর মালিককে মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূল বিধায়ক তথা অভিনেতা সোহম চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনার বিরুদ্ধে সরব হন তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেতা দেব। সোহমের চড় মারার বিরোধিতা করে তিনি বলেন, 'এরকম আচরণ ভালো নয়'। দেবের এই মন্তব্যে তাঁকে পাল্টা আক্রমণ শানান কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র।
মদন বলেন, "দেব যা বলেছেন তা দাদাগিরি। আসলে দেবেরও ক্ষতি হচ্ছে। যদি আমায় জিজ্ঞেস করা হয় তোমার দেখা এমএলএদের মধ্যে সবথেকে ভালো মানুষ কে? তাঁর নাম সোহম চক্রবর্তী। আমি মাঝেমধ্যেই ওর বাড়িতে যাই, একসঙ্গে খাওয়া দাওয়া করি। ওর একটাই দোষ নিতান্ত নিরীহ যুবক। দেবের সোহমকে বলা উচিত ছিল ক্ষমা চেয়ে নাও, তা না করে কঠিন সমালোচনা দাদাগিরি হয়ে গেল। সিনেমায় তুমি এক নম্বর, সিনেমা ছেড়ে রাজনীতির আঙিনায় তোমার পদক্ষেপ বেশি হয়ে যাচ্ছে। সোহমকে কিছু বলার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন।"
মঙ্গলবার সকালে সোহম প্রসঙ্গে দেব মন্তব্য করে বলেন, "জনপ্রতিনিধি বলে নয় মানুষ হিসেবেও এরকম আচরণ ভালো নয়। বন্ধু মানে সবটা ভালো তা নয়। সোহমের ক্ষমা চাওয়া উচিত। আমি নিজে ওকে ফোন করে যা বলার বলেছি। জনপ্রতিনিধির আলাদা দায়িত্ব থাকে, তাঁদের এসব থেকে দূরে থাকা উচিত।"
সম্প্রতি দেব ঘাটালের সবং, ডেবরা, পিংলা, কেশপুর, ঘাটাল, দাশপুর ও পশ্চিম পাঁশকুড়া এই সাত বিধানসভাতে গাছ লাগাতে যান। সেখানেও সোহমের চড় প্রসঙ্গে বলেন, "শুধু জনপ্রতিনিধি নয় প্রত্যেকটি মানুষকে সহনশীল হতে হবে। সোহমের সঙ্গে আমার কথাও হয়েছে, তো এই ধরনের আচরণ কারওরই করা উচিত নয় বলেই আমি মনে করি।" তিনি বলেন, "এই ঘটনাকে আমি কোনওভাবেই সমর্থন করি না। কোনও মানুষের ঔদ্ধত্য ভালো নয়, জনপ্রতিনিধিত্ব একেবারেই নয়।"
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাতে নিউটাউনের এক রেস্তোরাঁর মালিককে মারধরের অভিযোগ ওঠে। বিতর্কে জড়ান বিধায়ক সোহম। এই ঘটনায় শেষ পর্যন্ত ক্ষমাও চান তৃণমূল বিধায়ক। জনপ্রতিনিধি হিসেবে মেজাজ হারিয়ে কারও গায়ে হাত তোলা উচিত হয়নি বলে স্বীকার করেন তিনি। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন আক্রান্ত রেস্তোরাঁ মালিক। আর এই ঘটনায় এবার মুখ খোলেন ঘাটালের অভিনেতা সাংসদ দেব।