পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায় সাড়ে ৪ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে স্থানীয় সীমান্ত মাঝি নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছিল রবিবার, যখন শিশুটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অভিযুক্ত ব্যক্তি ঘটনার পরপরই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়, তবে পুলিশ আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে দ্রুত তাকে ধরতে সক্ষম হয়। রাজ্য পুলিশ এই অভিযান সংক্রান্ত একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে, যেখানে ড্রোন ও ড্র্যাগন লাইটের মাধ্যমে অভিযুক্তকে খুঁজে বের করার বিস্তারিত দেখা গেছে।
শুক্রবার সকালে নির্যাতিতা শিশুটি প্রতিবেশী সীমান্ত মাঝির বাড়িতে ভুট্টা কিনতে যায়। দীর্ঘ সময় কেটে যাওয়ার পরও শিশুটি বাড়ি না ফেরায়, তার দাদু প্রতিবেশীর বাড়িতে গিয়ে শিশুটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় কাঁদতে দেখেন। শিশুটিকে উদ্ধার করে দ্রুত কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা শিশুটির শারীরিক পরীক্ষা করে যৌন নির্যাতনের প্রমাণ পান এবং জানান যে শিশুটি বিপদমুক্ত, তবে তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
ঘটনার পরপরই পুলিশ অভিযুক্তকে খুঁজতে তল্লাশি অভিযান শুরু করে। জানা যায়, অভিযুক্ত সীমান্ত মাঝি কাটোয়ার একাইহাট এলাকায় পালিয়ে গেছে। স্থানীয় কৃষিজমি সংলগ্ন একটি জঙ্গলে তাকে ঢুকতে দেখা যায়। পুলিশের সঙ্গে স্থানীয় মানুষও অভিযানে সাহায্য করে। অভিযুক্তের অবস্থান শনাক্ত করতে ড্রোন ও ড্র্যাগন লাইট ব্যবহার করা হয়। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত সীমান্ত মাঝি বিবাহিত এবং তার স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে। ঘটনার সময় তার স্ত্রী বাড়িতে ছিলেন না। সেই সুযোগে সে শিশুটির উপর যৌন নির্যাতন চালায়। এই ঘটনার পর পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে এবং স্থানীয়রা অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায়।
শিশুটির ঠাকুমা জানান, এর আগে কখনও তারা নাতনিকে একা ভুট্টা আনতে পাঠাননি। ঘটনার দিন বাড়ির বৌমা থাকায় নাতনি একাই গিয়েছিল। তারা কখনও কল্পনাও করতে পারেননি যে এমন একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটবে। শিশুটির দাদু যখন তাকে প্রতিবেশীর বাড়িতে খুঁজতে যান, তখন শিশুটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় পেয়ে বাড়িতে নিয়ে আসেন এবং দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করান।