কুন্তল ঘোষের বিরুদ্ধে চলা চাকরি দুর্নীতির মামলায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। ইডি (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট) আদালতকে জানিয়েছে যে কুন্তলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ইডির দাবি, কুন্তল গ্রেফতারের পরও তাঁর অ্যাকাউন্টে নিয়োগ দুর্নীতির টাকা ঢুকেছিল।
ইডির তদন্তে আরও প্রকাশ, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকে জেরা করে তথ্য এসেছে যে প্রায় ৩২৫ জন হবু শিক্ষকের থেকে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রায় ৩ কোটি টাকা নিয়েছিলেন কুন্তল। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির প্রায় ১৯ কোটি টাকা ঘুরপথে তাঁর অ্যাকাউন্টে গিয়েছে, যা এখন তদন্তাধীন। এই প্রেক্ষিতে ইডি কুন্তলের জামিনের বিরোধিতা করেছে এবং বলেছে যে তাঁর জামিন মঞ্জুর করা উচিত নয়।
কুন্তলের পক্ষের আইনজীবী আদালতে দাবি করেন যে, যথাযথ প্রমাণ ছাড়া কুন্তলকে আটকে রাখা হচ্ছে, যা আইনত বৈধ নয়। তাঁর বিরুদ্ধে বাজেয়াপ্ত হওয়া সম্পত্তিগুলি ২০০৯ সালের, যা শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির অনেক আগের। আইনজীবীর যুক্তি অনুযায়ী, কুন্তলকে বিনা প্রমাণে আটক রাখা সংবিধানের ২১ ধারার ন্যাচারাল জাস্টিসের পরিপন্থী।
ইডির পক্ষের আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি জানান, কুন্তলের অ্যাকাউন্টে গ্রেফতারের পর টাকা ঢোকা সন্দেহজনক এবং প্রতিটি মামলার মেরিট ভিন্ন হওয়ায় কুন্তলের জামিন মঞ্জুর করা অনুচিত।