চিতা বাঘের মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দার্জিলিংয়ের সুকনা অঞ্চলে। ঘটনাটি ঘটেছে, ৫৫ নম্বর জাতীয় সড়কে কাছে। রাস্তার উপর একটি শিশু চিতাবাঘের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে বনদফতরে খবর দেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
তারপরেই, তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সুকনা বন দফতরের আধিকারিকরা। তবে ঠিক কী কারণে মৃত্যু হয়েছে ওই বাঘটিই তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, জাতীয় সড়কের গাড়ির ধাক্কাতেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। মৃত ওই বাঘটির বয়স ১ বছর বলে জানান হয়েছে। কারণ ঘতিয়ে দেখতে পুরো ঘটনার তদন্ত করছে সুকনা বনদফতর।
প্রসঙ্গত, এ ঘটনা প্রথমবার নয়। এর আগেও বিভিন্ন কারণে মৃত্যু ঘটেছে বাঘেদের। বেশ কিছু জায়গায় আবার চিতাবাঘের আক্রমণের শিকার হয়েছেন সাধারণ মানুষ। উত্তরবঙ্গে মাঝে মধ্যেই জঙ্গল থেকে বেরিয়ে রাস্তায় চলে আসে। গাড়ির ধাক্কায় দুর্ঘটনাও কম ঘটে না। একবছর আগেই জলপাইগুড়ির ব্যস্ত রাস্তায় বসে থাকতে দেখা গিয়েছিল চিতাবাঘকে।
ভিড় বাড়তে থাকলেও নিজের জায়গা ছেড়ে সরেনি সে। বরং, কখনও শুয়ে পড়ে বা কখনও বসে আর্তনাদ করতে থাকে। সাধারণ মানুষ পাথর ছুড়তে থাকলে কোনওরকমে পাশের চা বাগানে যাচ্ছিল বাঘটি। পরে বন দফতরের কর্মীরা এসে বুঝতে পারে কোনও গাড়ির ধাক্কায় মেরুদণ্ড এবং পেছনের পায়ে গুরুতর আঘাত পেয়েছে বাঘটি। তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় বনদফতরের আধিকারিকরা।