খালে মাছ ধরতে গিয়ে বাজ পড়ে মৃত্যু হলে ৩ জনের। ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও সাত-আট জন ব্যক্তি। তাঁদের চিকিৎসা চলছে। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার বিকেলে নদিয়ার ভীমপুরে।
তাঁদের নামে হাফিজুল মণ্ডল, যাদব ঘোষ ও সুপ্রিয় ঘোষ। মাছ ধরার আনন্দ যে এমন বিপদ ডেকে আনতে পারে, ভাবেনি কেউই। অনেকে আক্ষেপ করছেন, মাছ ধরতে না গেলেই হত।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ নদিয়ার ভীমপুর থানা এলাকার কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকের ঘটনা। সেখানকার ঘোষপাড়া কুলতলা এলাকার রয়েছে টেংরী খালে। এদিন বিকেলে ওই এলাকার ওই খালে মাছ ধরতে নামে বেশ কয়েকজন ব্যক্তি।
এর আগে অনেকেই সেখান মাছ ধরেছেন। সেখানে মাছ ধরা নতুন কিছু নয়। এদিন মাছ ধরাকে ঘিরে হইহই পড়ে গিয়েছিল। অনেকে জমা হয়েছিলেন সেখানে।
তবে তাঁরা যে এমন বিপর্যয়ের মধ্যে পড়বেন, কে জানত। এদিন বিকেলের দিকে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয় প্রবল ঝড়বৃষ্টি। ওই এলাকাতেও প্রাকৃতিক দুর্যোগ শুরু হয়। সেই সময় প্রবল বর্ষণের সঙ্গে শুরু হয় বজ্রপাতও।
আর তার জেরেই প্রাণ হারালেন ৩ ব্যক্তি। বাজ পড়ে গুরুতর আহত হন বেশ কয়েকজন। এর মধ্যে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে দু'জনের। এছাড়াও গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা আর একজনকে উদ্ধার করে কৃষ্ণগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান।
সেখানকার চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তাঁদের নাম হাফিজুল মণ্ডল, যাদব ঘোষ ও সুপ্রিয় ঘোষ। এদের মধ্যে হাফিজুলের বয়স ২২ বছর। বাকি দু'জন ৩৫ বছর বয়সী বলে জানা গিয়েছে।
এই ঘটনায় আহত আরও ৭ জন ব্যক্তি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনায় কালীতলা ঘোষপাড়া এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। এই ঘটনায় সকলেই হতবাক।
এদিন নদিয়া প্রবল প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে পড়ে। হবিবপুরে ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় হয়েছে ছোট জায়গার মধ্যে। বিকেলে মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে গোটা এলাকা। কী করে রাত কাটাবেন, তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন সেখানকার মানুষজন।